এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -২২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
তো আবারও বেরিয়ে পড়লাম ফটোগ্রাফির উদ্দেশ্যে। আসলে এবার উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফির জন্য নয়। আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম আমার পিসি বাড়িতে। আমার পিসির বাড়ির এলাকাটা গ্রামের মত। চারিদিকে অনেক বড় ফাঁকা মাঠ এবং মাঠের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা নদী।
তো সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার ক্যামেরাটি। তো সকালে খেয়ে দেয়ে ক্যামেরাটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ছবি তোলার উদ্দেশ্যে। কিছু দূর যেতেই দেখলাম একজন লোক জাল নিয়ে মাছ ধরছেন খাল থেকে। আসলে এখানে খালে মাছের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। দূর থেকে আমি প্রথমে কিছু ছবি তুললাম আগে। এরপর উনার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যে, মাছ কি খাল থেকে ধরা পড়ে। তখন আমার প্রতিউত্তর উনি বললেন যে, আগের মত খালে আর মাছ নেই।
পাশে আরেকজনকে দেখলাম জাল পাতিয়ে রেখেছিলেন রাতে এখন সেই জাল তুলছেন। জালে মাছের বদলে গুলি শামুক বেশি ধরা পড়েছে। একরাশ দুঃখ নিয়ে লোকটি জালতে তুলছিলেন। এই শামুক কিন্তু একশ্রেণীর লোক খায়। আমার পিসির পাশের একটি গ্রাম আছে তার নাম মাহাতো পাড়া। সেইখানের লোক এই শামুকগুলো খায়।
মাছ ধরার জন্য একজন ব্যক্তি এই ধরনের একটা মাছের ফাঁদ তৈরি করে গেছেন। আসলে এখানে এই বাঁশের ঝুড়ির ভিতর কিছু ডালপালা এবং কচুরিপানাও দিয়ে গেছেন। আসলে মাছ একটু ঝোপঝাড় বেশি পছন্দ করে তো তাই মাছ এখানে এসে আশ্রয় নেয়।
কিছুক্ষণ পরে সে লোকটি এই মাছের ফাঁদটি তুলেন। দ্রুত তুলে তিনি একটু পরিষ্কার জায়গায় নিয়ে আসলেন। এরপর ওই বাঁশের ঝুড়ির ভিতরের সব নোংরা একে একে তুলে ফেললেন।
তারপর দেখা গেল ঝুড়িটিতে কিছু পুটি মাছ কিছু বেলে মাছ এছাড়াও সবচেয়ে চালাক একটি মাছ হল ল্যাটা মাছ। এই ল্যাটা মাছকে অনেকে আবার শোল মাছও বলেন। আসলে মাছটিকে ধরা খুবই কঠিন। কারণ যতবারই ধরতে যা হয় মাছটিকে, মাছটি হাত ফসকে ততবারই বের হয়ে যায়।
এই গরমে একদল হাঁস একটা বদ্ধ জায়গার ভিতরে নেমে খেলা করছিল। দূর থেকে তাদের একটু ছবি নেওয়ার চেষ্টা করলাম। কারন আমাকে দেখে তারা অনেক দূরে পালিয়ে গেল।
আসলে হাঁসগুলি জলের ভিতরে এই ছোট ছোট শামুক খুঁজে বের করছিল এবং খাচ্ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা একটু এদিক-ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
আসলে আস্তে আস্তে হাঁসের সংখ্যা দুটো থেকে চারটে বেড়ে গেল। আমাকে আবার পুনরায় দেখে তারা প্যাক প্যাক করতে করতে আরো দূরে চলে যেতে লাগলো এবং দূরে গিয়ে মাথা জলের নিচে নিয়ে ছোট ছোট শামুক খুঁজতে লাগলো।
আসলে ছবিটি এই ফুলটির নাম কিন্তু আমি জানিনা। এটা একটা ঘাস জাতীয় ফুল আমার মনে হয়। কারণ এই ফুলটা আমি মাঠের ভিতরে একটা ঝোপের ভিতর দেখতে পেয়ে ছবিটি তুলে নিলাম। আপনাদের কারো ফুলটির নাম জানা থাকলে কমেন্ট অবশ্যই জানাবেন।
ফড়িংঙের ছবি তোলা কিন্তু খুবই কঠিন। কারণ আমি যতবারই ওর ছবি তুলতে যাই সে ততোবারই বারবার উড়ে পালায়। তাই আমি রোদের ভিতর একটা জায়গায় চুপচাপ বসে রইলাম। এবং কিছুক্ষণ পর ফড়িংটি উড়ে এসে আবার আমার সামনে বসলো। আমি আর দেরি না করে তার ছবিটি তুলে নিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : Nikon D5200
ক্যামেরা লেংথ : 300 mm
তারিখ : 02/04/2019
দূরে একটা ছবি। আসলে পুরো ফাঁকা মাঠটাই রোদের আলো যেন দখল করে নিয়ে আছে। মাঠে পুনরায় ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষক জমি পরিষ্কার করছে। দূর পানের ওই গাছের সারি যেন আমার মনটাকে ব্যাকুল করে দেয়।
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনার ফটোগ্রাফির অবাক করা টাইমিং দেখে অনেক বেশি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আপনি অসম্ভব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন। আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আসলে এখন এ কাজের চাপে এই ফটোগ্রাফির শখটা আস্তে আস্তে কমে আসছে। আর যখনই সুযোগ পাই আপনাদের ভালো লাগার মত কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করি।
আপনার প্রতিটি ছবি ভীষণ ভালো ছিল। প্রথম ছবিটি আমাকে মুগ্ধ করেছে, তাছাড়াও সবগুলো ছবি দেখার মতো ছিল। আর ছবির সাথে চমৎকার বর্ননা দিয়েছেন ভাই।
আসলে কথায় আছে না ছবি কথা বলে। আসলে ছবিগুলো অনেক কিছুই বলতে চায়। কিন্তু অল্প কিছুই ছবির বিবরনে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করি।
আপনি আপনার পিসির বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। মাছ ধরার জ্বাল ফেলার ছবিটা অনেক বেশি সুন্দর। ফটোগ্রাফিগুলো কিন্তু অনেক ভালো তুলেছেন। শোল মাছটা দেখে তো আমার কাছে মনে হয়েছে নিয়ে রান্না করে খেয়ে ফেলি। এটাকে আপনার ল্যাটা মাছ বলেন আমরা শোল মাছ বলে থাকি। শামুকগুলো কত সুন্দর ভাবে জালের সাথে আটকে গেছে আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম এগুলো আবার কি মাছ।
আসলে একটা সুবিধা হয়েছে পিসির বাড়ি গ্রামে থাকায় ফটোগ্রাফি করার মাঝে মাঝে সুযোগ পাই।
আপনার পিসির বাড়ি খোলামেলা মাঠের পাশ দিয়ে নদী বয়ে যাওয়া কি অসাধারণ দৃশ্য এবং সেখানে কে কি করছে তার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। কেউ জাল দিয়ে মাছ ধরছে কেউ মাছের ফাঁদ তৈরি করে মাছ ধরছে আবার নদীতে অনেকগুলো হাঁস সাঁতার কাটছে, খাবার খুঁজে খাবার খাচ্ছে সবমিলিয়ে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত চমৎকার ও অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলে এসব নদী গুলো আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলায় অনেক বড় নদী ছিল। কিন্তু এখন তার অর্ধেকও নেই।
দাদা আপনার তোলা প্রতিটি ছবি দেখতে অসাধারন লাগতেছে। আপনার ফটোগ্রাফির হাত অনেক ভালো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির চমৎকার বর্ননা করেছেন। জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য অনেক দিন পরে দেখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
এখনো গ্রাম অঞ্চলের অনেক লোকই জাল দিয়ে মাছ ধরে। আসলে এগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।
আপনার করা ফটোগ্রাফি হলে আমার বেশ ভালো লাগে। আপনার ফুফির বাড়ির এলাকাটা আসলেই একদম গ্রামের মত। মনে হচ্ছে আমাদের গ্রাম। যাইহোক গ্রামীণ প্রকৃতির অনেকগুলো দৃশ্য আপনি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আসলে গ্রামের যেদিকেই তাকাই সেদিকে খুব সুন্দর লাগে। শহরের এই কোলাহল পরিবেশ আমার আর ভালো লাগেনা।
নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য দেখিনা অনেক দিন থেকে। নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে সেই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। এর আগেও আপনার ফটোগ্রাফি দেখেছি। আপনার ফটোগ্রাফি যতই দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই।
আপু সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের মনের মত কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য। কিন্তু দিন দিন এই সময় সুযোগ অনেকটাই কমে যাচ্ছে।
সব সময় আপনি খুব মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে মুগ্ধ হই। আজকের প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে চেষ্টা করি আপনাদের মনের মত কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আরে বাহ্ ভাইয়া, আপনি তো দেখছি খুবই চমৎকার ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি একেবারে আকর্ষণীয় ছিল, যেগুলোর দিক থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। কোনটা রেখে কোনটা দেখব আমি তো এটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না । ফটোগ্রাফি গুলোর বর্ণনাও খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন। সব মিলিয়ে আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির প্রশংসা তো অবশ্যই করতে হয়। সত্যি একেবারে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের মত ফটোগ্রাফি করলেন। জাল ফেলার মুহূর্তের ফটোগ্রাফি টা একেবারে ঠিক সময়ে করেছিলেন, যা দেখতে একটু বেশি ভালো লাগলো।
আসলে আমার ক্যামেরাটা কিছুদিন আগে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ফটোগ্রাফির সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। চেষ্টা করব দ্রুত ক্যামেরাটি সরিয়ে নিয়ে আরো অনেক ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি খুব চমৎকারভাবে এলোমেলের কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে আপনার ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আসলে প্রতিদিন আপনাদের এই সুন্দর কমেন্ট গুলো দেখে আমার আগ্রহ আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।