ভ্রমণ কাহিনী ০২ : (দ্বিতীয় পর্ব ) মায়াপুর সত্যিই মায়ার জায়গা।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে এবং আপনাদের ভালোবাসায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
মন্দিরে প্রবেশ করে প্রথমে আমরা গদা ভবনে গেলাম ঠাকুরের প্রসাদ খাবার জন্য টিকিট কাটতে।
গদা ভবন।
টিকিট কাটার পর আমরা মন্দিরের বিভিন্ন দিক ঘুরে বেড়াতে লাগলাম।
খাবারের জন্য টিকিট কাটা।
তারপর জুতা খুলে মোবাইল বাইরে রেখে মন্দিরের ভিতর ঠাকুরের মুর্তি দর্শনের জন্য গেলাম।
মন্দিরের পিছনের দিক।
জুতা রাখা নিষেধ। কিন্তু সবাই জুতা খুলে মন্দিরে ভিতর সবাই প্রবেশ করছে।
পরবর্তীতে আমরা মন্দিরের গোসালা দেখতে গেলাম। মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ মিনিটের দূরত্ব। ওখানে বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। এই গরুর দুধ দিয়ে ঠাকুরের জন্য প্রসাদ তৈরী করা হয়।
গোশালার প্রধান দ্বার।
আমি একটু সাহস করে গরুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম। গরুগুলোর আদর খেতে খুব ভালো লাগছিল।
ক্যামেরা দেখে তারা একটু পোস দিচ্ছে।
দুই প্রাণী একই সাথে একটু সেলফি নিচ্ছি।
তারপর আমরা পুনরায় গদা ভবনের দিকে যেতে লাগলাম। কারণ ০১:০০ থেকে প্রসাদ দেওয়া শুরু করবে।
দূর থেকে মন্দিরের দৃশ।
মন্দির প্রাঙ্গনে ছোট ছোট কুটির ঘর থাকার জন্য।
এই প্রসাদ খাবার জন্য অনেক বড় লাইন হয়। তাই আমরা একটু আগে গিয়ে লাইন দিলাম।
খাবার লাইনে দাঁড়িয়ে একটা সেলফি।
ভিতরে প্রায় এক সাথে পাঁচ হাজার লোক এক সাথে খাবার ব্যবস্থা রয়েছে।
খাবার নিয়ে সবাই নিজেদের জায়গায় চলে যাচ্ছে।
মন্দির প্রাঙ্গনে বকুল গাছের ফল পেকে গেছে।
ফলগুলো খুবই সুস্বাদু।
প্রধান মন্দির।
সংগ্রহ শালা।
প্রসাদ খেয়ে আমরা একটু বিশ্রাম করে পুনরায় বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
ফেরার সময় একটা সেলফি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই পোস্ট এর সব ছবি নিন্মোক্ত ডিভাইস দিয়ে তোলা।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 01/12/2022
বাড়িতে এসে খুব ক্লান্ত লাগছিলো তাই হাত-মুখ ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আমার খুব ভালো লাগছিলো কারণ এই প্রথম আমি মায়ের সাথে কোথাও ঘুরতে গেছিলাম। আসলে মায়াপুরের মন্দিরটা অনেক সুন্দর।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনার মায়ের সাথে ঘুরে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আর মন্দিরের ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর পুরোটা। আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো দিয়েছেন সেগুলো দেখে আমার ভালই লাগছে। জায়গাটা খুবই মনোরম দেখাচ্ছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে আজকের ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।