বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৬২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে এই জল সেচ দিতে দিতে আমাদের প্রায় দুপুর হয়ে এল। কারণ আমরা খুব সকালে এসেছিলাম এই জায়গাটি সেচ দেওয়ার জন্য। আসলে যত বেলা বাড়ছিল ততই গরমের পরিমাণ বেশি বাড়ছিল। তাইতো এই গরমের মধ্যে জল সেচ দিতে আমার জামা প্রায় ভিজে গিয়েছিল। যাই হোক আমি মাঝে কিছুটা সময় একটু রেস্ট নিয়ে নিলাম। কেননা এত কাজ করার অভ্যাস আমার যেহেতু আগে নেই তাই আমি খুব হাপিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর আমার সাথে যে ছোট ভাইটি এসেছিল সেও জল সেচ দিতে শুরু করে দিল। কারণ ও দূর থেকে দেখছিল যে আমার অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে এবং আমি ঠিকঠাক কোন কিছু পারছিলাম না।
এরপর যখন আমরা রেস্ট শেষ করে আবার পুনরায় সেই জায়গাতে চলে এলাম তখন এসে দেখলাম যে জল সেই আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। অর্থাৎ এতক্ষণ সেচ দিয়ে আমাদের কোন মানে হলো না। তাইতো এই দেখে আমার মেজাজটা একদম গরম হয়ে গেল। তারপরে দুজন মিলে একটানা প্রায় ১০ মিনিট সেচ দেওয়ার পর জলের পরিমাণ অনেকটা কমে গেল এবং নিচের কাদা মাটি আমরা দেখতে পেলাম। আসলে মাটির উপরে মাছগুলো লাফালাফি করছিল। যাইহোক আমি একদিক থেকে মাছ ধরতে শুরু করলাম।
যেহেতু মাছগুলো অনেক ছোট এবং মাছগুলো প্রায় কাদার ভিতরে ঢুকে গেছে তাই আমরা হাত দিয়ে তেমন একটা বেশি মাছ ধরতে পারছিলাম না। আর তখন কি করা যায় ভেবে ওই ছিদ্রযুক্ত ঝুড়িটা দিয়ে আস্তে আস্তে কাঁদার ভিতর দিয়ে মাছ তুলতে শুরু করলাম এবং যেখানে জল ফেলেছি সেখানে গিয়ে পরিষ্কার জলে মাছগুলো ধুয়ে হাড়িতে রাখতে শুরু করলাম। আসলে এখানে প্রথম অবস্থায় আমরা ভেবেছিলাম যে অল্প মাছ পাব। কিন্তু জল সেচ দেওয়ার পর দেখি এখানে প্রচুর পরিমাণ ছোট মাছ রয়েছে। আর আমরা জানি যে ছোট মাছ আমাদের শরীরের জন্য সবথেকে ভালো।
এরপর আমিও আবার পুনরায় নেমে গেলাম। তাইতো দুজনে যেহেতু একসাথে মাছ ধরছিলাম তাই বাকি কিছু ছবি আর তোলা হলো না। যাই হোক দুজনে মিলে অনেকক্ষণ মাছ ধরলাম। আসলে এই ছোট পুঁটি মাছ গুলো বাজারে তেমন একটা পাওয়া যায় না। আর যদিও বাজারে পাওয়া যায় সেইসব মাছের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পার কেজি। কিন্তু বাজারের সেসব মাছের সাইজ এই মাছের থেকে কিছুটা বড় হয়। যাইহোক আমরা মনের আনন্দে মাছ ধরছিলাম। যেহেতু ছোট জায়গাতে আমাদের মাছ ধরতে তেমন একটা বেশি সময় লাগলো না।
এরপর মাছ ধরার শেষ করে আমরা উপরে উঠে এলাম। আর উপরে উঠে দেখি আমাদের সারা গা ভর্তি কাদায় মেখে গেছে। যেহেতু আমি এখানে মাছ ধরার আগে আমার ল্যাপটপের ব্যাগটি নিয়ে এসেছিলাম। কারন আমার কিছু কাজ ছিল। যাইহোক মাছ ধরতে ধরতে আমাদের অনেক বেশি সময় চলে গেল এবং আমি আমার সেই কাজগুলো আর করতে পারলাম না। যাইহোক আমি দ্রুত উঠে এসে পাশের একটা পুকুর থেকে হাত পা ধুয়ে আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আসলে যেহেতু পুকুরের জল দিয়ে পা ঠিকঠাক করে পরিষ্কার করা যায়নি। তাই আমি পিঠে ব্যাগ আর হাতে জুতো নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আসলে বাড়ির দিকে যেতে যেতে আমার খুব মজা হচ্ছিল। কারণ আজ আমি সর্বপ্রথম জল সেচ দিয়ে মাছ ধরেছি। আসলে এই অনুভূতিগুলো সত্যিই বলে প্রকাশ করা যাবে না। একমাত্র যারা এগুলো করেছেন তারাই এইসব অনুভূতি বুঝতে পারবেন। যাইহোক আমি আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাংলাদেশ ভ্রমণের এ পর্বে আপনি মাছ ধরার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নিলেন।
এরকম ভাবে মাছ ধরতে আমারও অনেক ভালো লাগে নদীতে অনেক মাছ ধরেছে বন্ধুদের সাথে এরকম ভাবে।
আপনার মাছ ধরার দৃশ্য গুলো সত্যি ছোটবেলাকে স্মরণ করিয়ে দিল।
জল সেচ দিয়ে মাছ ধরাটা মোটেও কোন সহজ কথা নয়।যাদের মাঠের মধ্যে কাজ করার অভ্যাস রয়েছে শুধু তারাই এই কাজ করতে পারবে। আপনি হঠাৎ রোদের মধ্যে জল সেচ দিতে গিয়ে অনেকটা হাঁপিয়ে গিয়েছিলেন। যাইহোক অবশেষে আপনারা পানি সেচ শেষ করে মাছ ধরতে পেরেছেন, বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। তবে ছোট মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো।
এই কথাটাই বেশ মজা পেলাম ভাইয়া 😁। আবার খারাপও লাগতেছে। এমনিতেই রোদ তারপরে আবার এরকম পরিশ্রম কখনো করেননি কষ্ট করে যেটুকু পানি সেচ দিয়েছিলেন পুনরায় তা আগের মত হয়ে গিয়েছিল এটা দেখে তো এমনিতেই মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার কথা। যাইহোক আপনি কিন্তু দারুন মাছ ধরতে পারেন দেখতেছি। আসলে এরকম ছোট ছোট পুটি মাছ গুলি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী এবং পুষ্টিকর ও বটে।সেচ দিয়ে মাছ ধরার সুন্দর অনুভূতি লিখেছেন আজকে পড়ে ভালই লাগলো আমার কাছে।
দেখতে দেখতে একটি বছর পার করে ফেলেছেন ভাইয়া আর আজকে ৬২ তম পর্ব বাংলাদেশ ভ্রমণ বিষয়ে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনি ভারত থেকে এসে দেখছি আমাদের দেশের অনেক কিছু দেখে গেছেন এবং ফটোগ্রাফি করে নিয়ে গেছেন। আর সে সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেন দেখে খুবই ভালো লাগে আমার।
বাংলাদেশে আপনাকে স্বাগতম। ভাইয়া খুবই ভালো লাগলো যে আপনি আমাদের দেশে ভ্রমণ করতে এসেছেন। আসলে নিজের দেশে যদি অন্য কোন দেশের মানুষ ভ্রমন করতে আসে বিষয়টা খুবই ভালো লাগে। ভাইয়া ইতিপূর্বে আপনার অনেক আগে ই এই পর্ব আমি দেখেছিলাম সত্যিই আমার দেশে এসে খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রকৃতির সৌন্দর্য হয়তো আপনাকে মনোমুগ্ধকর করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পর্বটি শেয়ার করার জন্য আপনার পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। যেখানেই থাকবেন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই আশা ব্যক্ত করি।
অপরূপ সৌন্দর্যের এই দেশ বাংলাদেশ , এই বাংলাদেশে যে একবার ভ্রমণ করে যাবে তার অন্যান্য জায়গার তুলনায় বাংলাদেশের কথা মনে থাকবে কারণ এখানে অপরূপ সৌন্দর্যে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাই আপনার ৬২ তম পর্বতে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।