বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৫৯
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিভিন্ন জেলাতে অনেক দর্শনীয় জায়গা ঘুরে দেখছিলাম। একদিন হঠাৎ করে আমরা একটু সকাল ভোরের দিকে একটু খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কারণ সেখানে আমাদের কিছু কেনাকাটা ছিল। তাই আমরা খুব সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম খুলনার উদ্দেশ্যে। তখনও বাইরের আবহাওয়াটা অনেকটা কুয়াশা প্রকৃতির ছিল। আর বাইরের মৃদু ঠান্ডা হাওয়া খুব ভালো লাগছিল। আর এরপর আমরা সকালবেলায় গিয়ে দেখতে পেলাম যে দোকানপাট তেমন একটা খোলেনি।
তাই আমি আমার এক দূর সম্পর্কে মাসি বাড়িতে গিয়ে সকাল এবং দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু রেস্ট নিলাম। এরপর বিকালের দিকে আমরা আবার মার্কেট করতে বেরোলাম। আসলে আসার সময় আমরা যখন বাসে করে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম তখন রাস্তার পাশে দেখতে পেলাম একটা বড় মসজিদ টাইপের কিছু একটা। কিছুক্ষণ পরে আমি বুঝতে পারলাম যে এটা সেই বিখ্যাত ষাট গম্বুজ মসজিদ। যদিও ছবিগুলো চলন্ত বাস থেকে নেওয়া তাই ছবিগুলো তেমন একটা ভালো হয়নি।
আসলে এই জায়গাটিতে ঘোরারও আমার প্রচুর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে আমি তেমন আর বেশি ঘোরাঘুরি করতে পারেনি। তাইতো আমি এই ষাট গম্বুজ মসজিদের বাইরের দিকটা ক্যামেরায় বন্দি করে সে ছবিগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো। এখানে প্রচুর পর্যটক প্রতিনিয়ত ঘুরতে আসে এছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন পর্যটকও কিন্তু এখানে পরিদর্শন করতে আসে।
যেহেতু বাসটি কিছু সময়ের জন্য অর্থাৎ কয়েক সেকেন্ডের জন্য এই ষাট গম্বুজের পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা ছিলেন এবং যাত্রী নামাছিলেন ছিলেন তাই আমি সেই ফাঁকে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। এছাড়াও দেখতে পেলাম যে অনেকগুলো দোকান সারি সারি ভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে রয়েছে। আসলে এই দোকানগুলোতে বাচ্চাদের খেলনার বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ছিল।
এরপর খুলনার কেনাকাটা করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র কিনলাম। আসলে এত বেশি জিনিস কিনেছিলাম যে আমাকে একটা রিক্সা নিতে হয়েছিল। আসলে এই রিক্সার প্রচলন আমাদের ইন্ডিয়াতে অনেক কম। কিন্তু বাংলাদেশের অলিতে গলিতে সব জায়গায় আমি এই রিক্সা যানবাহনকে দেখতে পাই। তাই আমারও ইচ্ছে হলো যে এই রিক্সায় করে আমি মাসির বাড়ির দিকে যাব। কিন্তু আমি অনেকগুলো ইঞ্জিন চালিত রিক্সা দেখতে পেলাম।
যেহেতু ইঞ্জিন চালিত রিকশা গুলো খুব দ্রুত ছুটে চলে তাই আমি করতে লাগলাম যে ইঞ্জিন ছাড়া কোন রিক্সাটি পাওয়া যায়। এরপর আমি এক কাকুকে দেখতে পেলাম যে উনি রিক্সা নিয়ে এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই আমি উনার কাছে গিয়ে দামাদামি করে রিক্সায় উঠে পড়লাম। এরপর বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে শুরু করলাম ওই কাকার সঙ্গে। আর দেখতে দেখতে যে কখন সময় পার হয়ে গেল আমি নিজেও বুঝতে পারলাম না।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
প্রিয় দাদা আপনার বাংলাদেশ ভ্রমণের ৫৯ তম পর্বের লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ভ্রমণ করা জায়গার পরিবেশটি দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। একই সাথে ভ্রমণ করার পাশাপাশি অনেকগুলো জিনিস ক্রয়ের কথাটি জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো আমার। এরপর রিকশায় ওঠার পরের কথাগুলো জানার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
রিক্সায় ঘোরার যে মজা সেটা কিন্তু ইঞ্জিন চালিত রিক্সায় পাওয়া যায় না একেবারেই। ষাট গম্বুজ মসজিদ আমি একবার ঘুরে এসেছি। ভেতরে বেশ দারুণ একটা জায়গা। এককথায় অসাধারণ। এবং এটা ইউনেসকো কতৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার স্বীকৃতি পেয়েছে। খুলনা শহরে কেনাকাটার জন্য বেশ দারুণ ঘোরাঘুরি করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য মূহূর্তটা।
আপনি সবসময়ই আমাদের এই বাংলাদেশ ভ্রমণের খুব সুন্দর সুন্দর কিছু পর্ব শেয়ার করে আসছেন৷ আজকেও খুব সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করেছেন৷ আজকে এর ৫৯ তম পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ আর রিকশা করে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা৷ আমরা বেশিরভাগ সময় রিকশায় চলাচল করি এবং চলাচল করার মধ্যে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ যা অন্য কিছুতে চড়ার মধ্যে সে মজা আসে না৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷