দ্বিতীয় বর্ষ উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমার অনুভূতি।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজকের পোস্টি আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
তো আগামীকাল আমার বাংলা ব্লগের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শেষ হলো। প্রথম দিনের মত দ্বিতীয় দিনও আমি কবিতা এবং গানে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তো দ্বিতীয় দিনে আমাকে কবিতা এবং গানে নাম নেয়ার জন্য সত্যিই আমি খুব গর্বিত ছিলাম। আসলে কবিতায় নাম দেওয়ার ব্যাপারটা পুরোটাই দাদার অনুরোধে করেছিলাম।
আসলে এর আগে কোনদিনও আমি কোন প্রকার কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠানে নাম দিইনি। আসলে এটা আমার জীবনের প্রথম কবিতা আবৃতিতে নাম দেওয়া। তাই আমি দাদার কথামতো দাদার প্রিয় কবিতা বিদ্রোহী কবিতাটি আবৃত্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। দাদা বলেছিল কবিতাটি কিন্তু অনেকটা কঠিন। তাই তুই ইউটিউব দেখে কবিতাটি শেখার চেষ্টা কর। তোর দাদার কথামতো আমি ইউটিউবে সার্চ করে কবিতাটি বারবার আবৃত্তি করা শুনেছিলাম এবং একই রকম ভাবে করার চেষ্টা করেছিলাম।
আসলে কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটি অনেক কঠিন ছিল। বিশেষ করে এই কবিতায় বিভিন্ন ধরনের কঠিন বাক্য ছিল। তাই কবিতাটি আবৃতির আগে আমি প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি বার কবিতাটি রিডিং পড়েছিলাম এবং মনোযোগ দিয়ে কবিতাটি আবৃত্তি করা ইউটিউব থেকে দেখেছিলাম। এছাড়াও দাদার কাছে গিয়ে দাদাকে স্পেশালি আমি কবিতাটি আবৃত্তি করে শুনিয়েছিলাম যে কবিতাটি ঠিকভাবে আবৃত্তি করতে পারছি কিনা।
যাইহোক দাদা আমাকে অভয় দিয়ে বলল কবিতা তুই অনেক সুন্দর আবৃত্তি করেছিস। এরপর দাদা আমাকে নির্ভয় দিয়ে বলল তুই কবিতাটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করিস। যাইহোক দাদার কথামতো অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে আমি কবিতাটি আপনাদের মাঝে আবৃত্তি করেছিলাম। আসলে আমি খুব খুশি হয়েছি যে আমার আবৃত্তি করা কবিতাটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছিল।
তো আমি একটু চাপেই ছিলাম। কারন আমাকে একই দিনে কবিতা এবং গান দুটোতেই অংশগ্রহণ করতে হবে। তাই আমি অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে থেকেই গান এবং কবিতা আবৃতি সঠিকভাবে করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। আসলে আপনাদের মাঝে গান এবং কবিতা আবৃত্তি করতে পেরে সত্যিই নিজেকে খুব ধন্য মনে করেছি।
আসলে আপনারা সবাই সব সময় আমাকে খুব অনুপ্রেরণা যোগান। আর একটা কথা সঠিক এই প্লাটফর্মের জন্য আমরা আমাদের ভেতরের সুপ্ত প্রতিভা গুলো ফুটিয়ে তুলতে পারছি। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের প্রথমে যে কুইজ গুলো হচ্ছিল তার কয়েকটা আমি পারতাম। কিন্তু আপনারা সবাই এত দ্রুত টাইপিং করেন যে আমার অনেক আগেই আপনারা আপনাদের উত্তর সাবমিট করে দেন। যাইহোক সবাই অনেক সুন্দর ভাবে কবিতা এবং গান কালকের দিনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছিলেন।
আর একটা কথা ঠিক বড় বড় অনুষ্ঠান থেকে আমাদের অনুষ্ঠান কোন অংশে পিছিয়ে নেই। দিন দিন আমাদের অনুষ্ঠান আরো সুন্দরভাবে এবং সফলভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসলে অনুষ্ঠানের মাঝে দাদার দেওয়া এয়ার ড্রপ গুলো কিন্তু আমি একদম মিস করছিলাম না। প্রায় প্রতিটি এয়ার ড্রপই আমি পেয়েছিলাম। আসলে কালকের দিনের অনুষ্ঠানের সবার গান এবং কবিতা আমার খুব পছন্দ হচ্ছিল।
আসলে অনুষ্ঠানের প্রথমে যে কুইজ গুলো দেওয়া হচ্ছিল সেগুলো খুবই সুন্দর ছিল। আসলে এই কুইজ গুলোর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছুই নতুন নতুন শিখতে পারছি না। আমার মনে হয় প্রাইস পাওয়ার উদ্দেশ্যে কুইজ গুলো না ভেবে শেখার উদ্দেশ্যে কুইজগুলো নেওয়া উচিত আমাদের। কথায় আছে না, জ্ঞানের কোনো শেষ নেই আর শেখার কোন বয়স নেই। কিন্তু বরাবরের মতোই দাদার দেওয়া কুইজ গুলো একটু কঠিন হয়। দাদার কুইজ মানে নতুন নতুন অনেক তথ্য।
এছাড়া আমাদের অনুষ্ঠানে সেলিনা সাথী আপু এবং শুভ ভাই খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেন। মাঝে মাঝে তো মনেই হয় না যে এটা আমাদের একটা অনুষ্ঠান। মনে হয় টিভিতে বড় বড় প্রোগ্রাম হচ্ছে এবং আমরা তার দর্শক। কালকের দিনের কবিতা আবৃত্তির মধ্যে সেলিনা সাথে আপুর কবিতা আবৃতি এবং পূজার কবিতা আবৃত্তি আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। আর গানের ভিতর ছোট ভাই সৈকতের গানটি অনেক সুন্দর ছিল। সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম কালকের অনুষ্ঠানের।
আসলে দেখতে দেখতে অনেকটা সময় পার হয়ে যায় এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কিন্তু বাস্তবে আমরা কখনোই বুঝতে পারি না। কারণ অনুষ্ঠান খুব সুন্দর হয়। যাইহোক অনুষ্ঠানের শেষে আবার শুরু হলো গিভওয়ে কনটেস্ট।
প্রথম দিন অনুষ্ঠানের মত দ্বিতীয় দিন দাদা পুনরায় ৪টি গিভওয়ে দিলেন। সময় ছিল কুড়ি সেকেন্ড। যাইহোক বরাবরের মতো আজকের দিনেও আমার কপালে কিছুই জুটলো না। কিন্তু কত দিনের মতো দ্বিতীয় দিনে মেয়ে এবং ছেলে সমানভাবে এই গিভওয়ে পেয়েছিলেন। এরপর এডমিন কর্তৃক গিভওয়েতে আমি অংশগ্রহণ করে সফলতা পেয়েছিলাম অর্থাৎ আমি প্রাইস পেয়েছিলাম। তো যাই হোক মনটা আবার খুশিতে ভরে গেল।
আসলে আমি সত্যিই খুব ভাগ্যবান যে আমার বাংলা ব্লগ কর্তৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমি থাকতে পেরে। আসলে আপনাদের মাঝে থাকলে আমার কখনোই বোরিং ফিল হয় না। আপনাদের সাথে কাটানো সময় গুলো খুব ভালো লাগে আমার।
আশাকরি কবিতাটি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
তো দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সুন্দর ছিল দাদা গান কবিতা কতুক সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি প্রোগ্রাম ছিল দিতে দিনে। আপনার কবিতা আবৃতি কিন্তু ভুলার নয়। মন ছুয়ে যাওয়ার মত একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন। যা নাকি অনুষ্ঠানের আকর্ষণ আরো বাড়ি তুলেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে আপনাদের মুখে আমার প্রশংসা শুনলে আমার খুবই ভালো লাগে।
তোমার কবিতা আবৃত্তি এককথায় অস্থির হয়েছিল ভাই। তোমার জন্য শুভেচ্ছা রইল 🙏❤️
ধন্যবাদ শুভ ভাই। আসলে অনুষ্ঠানে আপনিও না থাকলে অনুষ্ঠানটা কেমন যেন জল ভাত হয়ে যায়।
তুমি প্রমাণ করেছো যে, তুমি সব দিক থেকেই অলরাউন্ডার। তোমার জন্য মন থেকে শুভেচ্ছা রইল ভাই 🙏❤️
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির দ্বিতীয় বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত জমজমাট এবং মধুর হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে দাদা আপনার কবিতা আবৃত্তি এবং অন্যান্য ইউজারের কবিতা আবৃতি শুনে আমার খুবই ভালো লেগেছে।এডমিন কর্তৃক গিভওয়েতে অংশগ্রহণ করে আপনি পুরস্কার পেয়েছেন এটা আমরা সকলেই জানি। যাহোক দ্বিতীয় দিনের চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দাদা। অবশ্য দ্বিতীয় দিনের প্রোগ্রামের সকল অংশগ্রহণকারীরা খুব সুন্দর ভাবে তাদের কবিতা এবং গান উপস্থাপন করেছিলেন। যা সত্যি মনোমুগ্ধকর ছিল।