অনু-কবিতা :- ১২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা আর একটি অনু-কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আজকের আমার এই অনু কবিতাটি একটি সচেতন মূলক কবিতা। আসলেই কবিতার মাধ্যমে আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরা, বন্যা এসব সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আসলে আমাদের পূর্ব পুরুষ যেমন বাবা, ঠাকুর দাদার তাদের মুখে শুনেছি যে, আগে এরকম ধরনের এত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কখনোই ছিল না। আগেরকার সময়ে আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা ছিল এবং নদীগুলো অনেক বড় ছিল। কিন্তু তাদের দেখা এসব নদী আজ ছোট ছোট নালা, নর্দমায় পরিণত হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো মানুষ্য সৃষ্ট বিভিন্ন আবর্জনা নদীতে ফেললে।
আগেরকার সময়ে বন জঙ্গল অনেক বেশিই ছিল। কিন্তু দিন দিন জনসংখ্যা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধির ফলে এইসব গাছপালা কেটে তারা বসবাসের উপযোগী জমি তৈরি করেছে। আর ফলেই অতিরিক্ত গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য দিন দিন প্রকৃতির উষ্ণতা বেড়েই চলে। এখনতো দিনের বেলা চলাচল একদম অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, একটু রোদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা গাছের ছায়ার নিচে গিয়ে দাড়াই। আর গাছের ছায়া অনেকটা ঠান্ডা। আমরা গাছকে বন্ধু বলি। কারণ গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় এবং আমাদের সৃষ্ট কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্বারা গ্রহণ করে। কিন্তু এই প্রকৃত বন্ধুকেই আমরা আমাদের প্রয়োজন ছাড়াই কেটে ফেলি।
আর এই অতিরিক্ত সংখ্যায় গাছপালা কাটার ফলে আমাদের পৃথিবীতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এর ফলে তাপমাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আসলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে গ্রীন হাউস ইফেক্ট দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
তাই আমাদের অবশ্যই সবাইকে সচেতন করতে হবে। অতিরিক্ত গাছ কাটার ফলে যেসব সমস্যা হয় তা সবাইকে অবগত করতে হবে। আসলে আমাদের দেশে অনেক ধরনের সংস্থা রইলেও গাছ লাগানোর মত সংস্থা একটাও নেই। আর আমাদের সরকারকে এই গাছ লাগানোর বিষয়ে যথেষ্ট নড়েচড়ে বসতে হবে। নতুবা দিন দিন আমরা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যেতে লাগবো।
আমাদের দেশকে আমরা নদীমাতৃক দেশও বলি। এই নদীকে আমরা কিন্তু মা বলি। আর এসব নদীকে এই আমরা বিভিন্নভাবে নোংরা করি। আসলে আমাদের পৃথিবীতে নদীর অবদান অনেক বেশি। নদীর মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থাও কিন্তু অনেক সুলভ। আর এই নদী টাকেই আমরা দিনদিন বিভিন্নভাবে দূষিত করে ফেলছি।
আসলে মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহার জিনিস নদীতে ফেলার ফলে নদীর গতিপথের পরিবর্তন হয়। আর এই নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে নদীতে চরের সৃষ্টি হয়। আসলে পূর্বপুরুষরা যেসব নদী অনেক বড় দেখেছেন আজ সেসব নদী ছোট হতে হতে একদম নালায় পরিণত হয়ে গেছে। আর এর ফলে নদীতে বিভিন্ন মাছের সংখ্যা দ্রুত হারে হ্রাস পাচ্ছে।
আর এর ফলে মানুষের খাদ্যেরও অনেকটা সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। আসলে নদীর সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে আমাদের পৃথিবীতে বড় বড় বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই বন্যার ফলে অনেক লোক মারা যাচ্ছে। আসলে বন্যা সৃষ্টির কারণ হলো জলের আঁধার কমে গেলে এই জল স্থল ভূমিতে চলে আসে। ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়। আর এর ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি ও হয়। আমাদের পৃথিবীতে জলের মাধ্যমেই সবথেকে বেশি রোগ ছড়ায়।
আসলে সরকারকে এই জল দূষণ সম্পর্কেও সবাইকে সচেতন করাতে হবে। বিশেষ করে বড় বড় কলকারখানার দূষিত পদার্থগুলো যাতে নদীতে না ফেলে সে বিষয়ে কঠোর তৎপর হতে হবে। নতুবা আমাদের এই পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে।
০১
দিন দিন বেড়েই চলেছে
বিভিন্ন দুর্যোগের ঘনঘটা।
প্রকৃতি হচ্ছে দূষিত,
কারণ গাছপালা হচ্ছে কাটা।
পৃথিবী যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে,
কি করি এখন উপায়।
বেশি করে গাছ লাগাও,
বাঁচতে যদি চাও।
গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু,
দেয় আমাদের অক্সিজেন।
বন্ধুকে যদি বাঁচাতে চাও,
রুখে দাঁড়াও আজকেই।
০২
নদী এখন খাল রূপে,
দেখতে পারছি এখন।
আবর্জনা ফেলার কারণে,
নদীর গতির হচ্ছে পরিবর্তন।
জলের আঁধার যাচ্ছে কমে,
হচ্ছে বন্যা সারাবছর।
মাছের সংখ্যা যাচ্ছে কমে,
বেড়েই চলেছে নানা অঘটন।
নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলে,
কোরনা নদীর জল দূষণ।
নদী হলো মায়ের সমান,
রাখো পরিষ্কার তাকে সারাক্ষণ।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।