কিছু পুরাতন আবার কিছু নতুন।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের সবাই। আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি কিছু পুরাতন জিনিস আবার কিছু নতুন জিনিস আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 4 mm
তারিখ : 03/11/2022
আমি আমার এক দাদু বাড়ি গিয়েছিলাম। ওই দাদুর বয়স ছিল প্রায় ৮৭ বছর। এখনো তিনি কর্মঠ একজন ব্যক্তি। কিন্তু এখনকার সময়ে আমরা একটু বেশি কাজ করলেই হাঁপিয়ে যায়। কিন্তু ওই দাদু সারাদিন কিছু না কিছু করতেই থাকেন।
ওই দাদুর বাড়িতে গিয়ে দাদুর এক পুরনো বাক্স থেকে আমায় জিনিসটি বের করে দেখালেন। দাদু বললেন, এই হুক্কাটির বয়স নাকি ১০০ বছরেরও বেশি। ওই দাদুর বাবা নাকি এই হুক্কা ব্যবহার করতেন এবং পরবর্তীতে দাদুও ওই হুক্কাটি ব্যবহার করতেন। মানে ভাবা যায়, আমার বয়সের থেকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি বয়স এই হুক্কাটির। তখন আমি দাদুকে জিজ্ঞাসা করলাম, দাদু তুমি এই হুক্কা কিভাবে ব্যবহার করতে। তখন দাদু আমাকে বলল, এই হোক্কা ব্যবহারের জন্য মসলার দরকার হয় অর্থাৎ তামাক পাতার দরকার হয়। এই তামাক পাতাকে নানা প্রসেসিং এর মাধ্যমে এই হুক্কায় ব্যবহার করা হয়। সবশেষে এই হুক্কার মুখে আগুন দিয়ে দেয়া হয় এবং এই নারকেলের খোলসের মতো অংশটিতে জল দিয়ে দেওয়া হতো।
তখন আমি দাদুকে জিজ্ঞাসা করলাম, এতে কি কোন ক্ষতি আছে? দাদু বলল, অবশ্যই ক্ষতি আছে। তখন আমি দাদুকে জিজ্ঞাসা করলাম, তাহলে তুমি কেন এটি ব্যবহার কর। আমার প্রশ্নে দাদু একদম নিশ্চুপ হয়ে গেল। এরপর দাদু আমাকে কিভাবে এই হুক্কাটি ব্যবহার করতে হয় সেটি দেখালেন।
আসলে দাদু এই জিনিসটি যত্ন করে রেখে দিয়েছেন তার বাবার স্মৃতি হিসেবে। আজকালকার দিনে এইসব ইউনিট টাইপের জিনিস আর দেখা যায় না। এই হুক্কার উপরে যে অংশটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ওখানেই মসলা এবং আগুন দেওয়া হতো। এই হুক্কা নাকি একসাথে পালাক্রমে অনেকেই খেতেন। কেউ যখন এই হুক্কা তৈরি করে বারান্দায় বসতেন, তখন বিভিন্ন লোক এই হুক্কা খেতে সেখানে জড়ো হতো।
আমি তখন দাদুকে বললাম, দাদু তুমি জিনিসটা আমায় দিয়ে দাও আমি এটাকে যত্ন করে রেখে দেবো। তখন দাদু প্রতিউত্তরে বললেন, আমি যখন মারা যাবো তখন তুই এসে এই জিনিসটি নিয়ে যাবি এবং যত্ন করে রাখবি। কারণ এটা আমার বাবার স্মৃতি এবং আমার স্মৃতি হিসেবে তোর কাছে গচ্ছিত থাকবে। আমি এই কথাটা শুনে অনেকটা আবেগী হয়ে গেলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 4 mm
তারিখ : 26/12/2022
আপনারা কি এই জিনিসটাকে চেনেন। এটা দিয়ে অনেক আগেকার সময়ে বাচ্চারা খেলা করত। এই জিনিসটির নাম হল চরি। আপনারা যে লাঠির মত অংশটি দেখতে পাচ্ছেন সাধারণত এই লাঠিটি ধরে এই গোল অংশটিকে চারিদিকে ঘুরালে অদ্ভুত একটা শব্দ বের হয়।
আমি দোকানদার দাদাকে জিজ্ঞাসা করলাম দাদা তুমি এই জিনিসটা কোথায় পেলেন। তখন ওই বয়স্ক দোকানদার দাদা আমাকে বললেন, এই জিনিসটি দিয়ে ছোটবেলায় উনি খেলা করতেন। উনি কোন এক মেলায় গিয়ে এই জিনিসটি দেখতে পেয়েছিলেন। তাই ওনার তখন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল এবং সাথে সাথে এই চরিটি কিনে নিয়ে এসেছিলেন।
জিনিসটা আমারও বাজাতে খুব ভালো লাগছিল। অনেক সুন্দর একটা শব্দ ভেসে আসছিল। তখন আমি ওই দাদাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি এটা বিক্রি করবেন। তখন তিনি এক কথায় আমাকে না বলে দিলেন। কারণ এটা ওনার একটি শৈশবের স্মৃতি।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 4 mm
তারিখ : 29/10/2022
আপনারা সবাই দেখেই বুঝতে পারছেন এটা একটা কলা গাছ। আমরা বিভিন্ন জাতের কলা দেখেছি। যেমন ধরুন কাঁচকলা, সবরি কলা, মর্তমান কলা, বিচি কলা আরো অনেক ধরনের কলা আছে। কিন্তু এই কলার একটা অদ্ভুত নাম আছে।
এই কলা গাছটির নাম হল মোচা ছাড়া কলা। কি অদ্ভুত তাই না। মোচাছাড়া কলা একটা অসম্ভব ব্যাপার না! আপনারা ভুল বুঝছেন কি? আসলে এই কলা গাছটি থেকে প্রথমে মোচা বের হয়। তারপর এই মোচা যতদিন থাকে ততদিন কলা হতে থাকে। সাধারণত সব গাছের কলা শেষ হয়ে গিয়ে নিচে এই মোচা ঝুলে থাকে। কিন্তু এই কলাগাছে মোচা একদম বিলীন হয়ে যায়। অর্থাৎ পুরোটাই কলায় রূপান্তরিত হয়। আর এর জন্যই এর নাম হয়েছে মোচা ছাড়া কলা।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে কিছু পুরাতন জিনিস আবার কিছু নতুন জিনিস শেয়ার করলাম। আশাকরি পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে আপনাদের মন্তব্য আমাকে জানাবেন।
আবার দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ দাদা এই অসাধারণ পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হুক্কা এবং চড়ি এই দু'টোকেই আমি চিনি। আমার দাদা এটা ব্যাবহার করতেন আর সাথে বিড়ি। এটাতে টান দিলে কেমন গুরুম গুরুম শব্দ করতো, আর দাদা ভীষণ তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলতেন। আজ দাদা নেই, কিন্তু হঠাৎ তার কথা মনে পরে গেলো 😕
আর খেলনাটা দিয়ে ছোটবেলায় খেলেছি, মেলায় পাওয়া যেতো এটা। ঘুরানো মাত্র কটকট শব্দ করতো। আর মোচা ছাড়া কলাগাছ আমি দেখিনি মনে হয়।
যাক আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক পুরোনো দিনে ফিরে গেলাম ভাই।
ধন্যবাদ দাদা।
দাদা ভাই বিগত কিছু দিন আগে আমিও একটি হুক্কার পোষ্ট শেয়ার করেছিলাম ৷ আমার দাদুও এখনো এই হুক্কা ব্যবহার করে ৷ আসলে আগের মানুষের প্রধান নেশা ছিল ৷ তখনকার মানুষের জীবনাচরন জীবন-যাপন সবকিছু ছিল ভিন্ন ৷ সত্যি এর একটা ভালো গুন আছে ৷ এই হুক্কা খেলে বা না কি শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে ৷ আর আমার দাদু যখন খেত এরকম শব্দ করতো ৷
যা হোক ভালো লাগলো ব্লগ টি পড়ে৷
ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ ইউনিক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।হুক্কা এবং চড়ি দু'টোকেই বিভিন্ন নাটকে দেখেছি । কিন্তু সামনা সামনি দেখিনি। বেশ ভাল লাগল। আরও একটি অন্যরকম কলা গাছের নাম জানলাম আপনার পোস্ট পড়ে। আপনার দাদুর জন্য শুভ কামনা উনি যেন সুস্থ্য থাকেন।
ধন্যবাদ আপু
হুক্কা চিনি তবে এভাবে বাস্তবে নেড়েচেড়ে দেখার সুযোগ হয় নি কখনো, যা দেখেছি তা ওই বাংলা ছায়াছবিতে হাহা।
আর দ্বিতীয় যে ছবিটি শেয়ার করেছেন এটা দিয়ে আমরাও আগে খেলতাম। আগে 5 টাকা দিয়ে দুটো লজেন্স সাথে এরকম একটা চরী থাকতো। আর চরি বাজিয়ে সবাইকে শুনিয়ে বিরক্ত করতাম হাহা😅।
Hii @nilaymajumder
Nice antic pice
Thank you