বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ১৬

in আমার বাংলা ব্লগlast year

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।


IMG_20221022_121148.jpg

তো আমরা ওই জামদানি তৈরির কারখানা থেকে পুনরায় আবার বেরিয়ে পড়লাম বারদীর উদ্দেশ্যে। আসলে বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে খুবই ট্রাফিক জ্যাম থাকে। রাস্তার দূরত্ব যাই হোক না কেন পৌঁছাতে কিন্তু অনেক সময় লাগে।


IMG_20221022_121124.jpg

আমার মতে আমরা প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে আমাদের প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লেগে যায়। আমি বাংলাদেশের দুর্নাম বলছি না কিন্তু। আসলে আমার চোখে যেটা ধরা পড়েছে আমি সেইটাই আমার এই পোস্টে আমি তুলে ধরছি। আর কমেন্ট আপনারাই অবশ্যই জানাবেন যে আমার কথাটা সঠিক কিনা।


IMG_20221022_121155_edited.jpg


কিন্তু বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি খাবারই অসাধারণ। সত্যিই আমি একবার যেতে চাই বারবার যেতে চাই খাবারের লোভে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের অলিগুলির খাবারগুলো আমার এক কথায় খুবই অসাধারণ লাগে।



IMG_20221022_121158_edited.jpg

IMG_20221022_121201.jpg

যাইহোক আমরা আবার রওনা দিলাম। মাঝ রাস্তায় এক ছোট ভাইয়ের বাথরুম চাপার কারণে আমরা রাস্তার পাশে একটা দোকানের সামনে গাড়িটা দাঁড় করানো হলো। তো পরবর্তী মুহূর্তে আমরা দোকান থেকে কিছু চিপস কিনে নিলাম। বাংলাদেশের একটা কোল্ড্রিংস আছে নাম স্পিড। আসলেই স্পিড কোলড্রিংসটা আমার খুবই ভালো লেগেছিল।

IMG_20221022_121204.jpg

কিন্তু দুর্ভাগের বিষয়ে এই হল, আমার পিসি এই স্পিডটা অর্ধেক খাওয়ার আগে আমাকে ফেলে দিতে বলল। আমি কিছুই না বুঝে ওঠার আগে ওরা আমাকে বলল এই স্পিড নাকি খুবই খারাপ একটা ড্রিংকস। আসলে এর আগে আমি জানতাম না।



IMG_20221022_121250_edited.jpg



যাই হোক আমাদের জানালার কাচ বন্ধ ছিল কারণ ভিতরে এসি চলছিল। হঠাৎ করে পিসির পাশে একটা পাগল এসে জানালা দিয়ে উঁকি মারছিল। পিসি তাই দেখে জোরে চিৎকার করে উঠলো। উনার চিৎকার দেখে আমিও খুব ভয় পেয়ে গেলাম। পাগল বেচারাও ভয় পেয়ে গেল। কারণ পিসি পাগল দেখলাম নাকি খুবই ভয় পায়। তো আমরা আবার আমাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর জন্য রওনা দিলাম।


IMG_20221022_121316.jpg



IMG_20221022_121654.jpg

প্রায় দেড় ঘন্টা পর আমরা আমাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছে গেলাম। অর্থাৎ বাবা লোকনাথ মন্দিরে আমরা পৌঁছে গেলাম। মন্দিরের প্রবেশ করার আগে বিভিন্ন ধরনের প্রসাদের দোকান ছিল। সেখান থেকে কিছু প্রসাদ কিনে আমরা বাবার মন্দিরে প্রবেশ করলাম।



IMG_20221022_121729.jpg



কিন্তু আরেকটা দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশে একটু ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা প্রবেশ করতেই প্রায় ১০-১২টা ভিক্ষুক আমার কাছে এসে ভিক্ষা চাইলো। আমি তো একটা বড় বিপদের মতো বললাম। এতজন ভিক্ষুক কে দশ টাকা করে দিলে আমার প্রায় অনেকগুলো টাকাই চলে যাবে। যাইহোক দশ টাকা না দিয়ে আমাদের সবার কাছ থেকে খুচরো কয়েন নিয়ে তাদের দিয়ে দিলাম।

IMG_20221022_122313.jpg



IMG_20221022_122319_edited.jpg



কিন্তু পরবর্তীতে ঘুরে ফিরে আবার এসে আমাদের কাছে একই ব্যক্তি বারবার ভিক্ষুক চাইলো। আমি একটু রেগে গেলাম। বললাম তোমাদের আমি একবার ভিক্ষা দিয়েছি। যাইহোক আমি আর কোন টাকাই দিলাম না তাদের।

IMG_20221022_122334_edited.jpg



এরপর আমরা বাবা লোকনাথের প্রধান মন্দিরে প্রবেশ করলাম এবং এই প্রসাদ মন্দিরে পুরোহিতের কাছে দিয়ে দিলাম। তারপর আমরা মোমবাতি নিয়ে বাবার মন্দিরের সামনে প্রদীপ উজ্জলন করলাম। এরপর পুরো বাবার মন্দির টা আমরা সাতবার প্রদক্ষিণ করলাম। আমার সাথে সাথে আমার সহধর্মীয় প্রদীপ উজ্জ্বলন করল।

IMG_20221022_122337_edited.jpg


আসলে বাবার মন্দিরের সামনের বড় বড় গাছগুলো চারিদিকের পরিবেশটা খুবই ঠান্ডা করে রেখেছে। একটা বড় ব্যাপার হলো এখানে একই সাথে হিন্দু মুসলিম সবই ধর্মের লোক হাজির হয়েছেন। আসলে এটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আসলে সবার ধর্মের প্রতি সবার সম্মান থাকা উচিত।



IMG_20221022_122412.jpg

ক্যামেরা পরিচিতি : Xiaomi
ক্যামেরা মডেল : M2007J20CI
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 12/10/2022



তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Sort:  
 last year 

বাংলাদেশ ভ্রমণের অনেক পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজ আপনি বাংলাদেশ ভ্রমণের ১৬তম পর্ব উপস্থাপন করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। এখানে অনেক বিষয় আপনি উপস্থাপন করেছেন ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আসলে ভাই এই পোস্ট আমার একটা বড় অংকের খরচের পোস্ট। কারণ অনেকগুলো টাকা খরচ হয়েছিল এই পোস্টে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 76338.99
ETH 2965.83
USDT 1.00
SBD 2.62