✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

নাটকের প্রধান চরিত্রে আছেন গগন নামের মুশফিক আর ফারহান। প্রথম অবস্থায় বিজন নামের একজন প্রত্যন্ত নেতা বিভিন্ন হুমকি দেন ফোন মাধ্যমে। কিন্তু পরবর্তীতে তার ছোট ভাই গগনের বন্ধুকে বন্দুক দিয়ে গুলি করায় ফারহান এসে জনসম্মুখক্ষে বিজন নামে ঐ লোকটিকে গুলি করেন এবং গুলি করার শেষে সে হসপিটালে গিয়ে তার বন্ধুকে সব ঘটনা জানায়।

এদিকে বিজনের ভাই তার ভাইয়ের গুলি প্রতিষেদের জন্য সেই লোকজন জোগাড় করতে থাকে। এই দেখে গগনের বন্ধুরা খুব আতঙ্কে থাকে। কারণ তাদের চিন্তা গগনের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তাদের দেখার মত আর কেউ থাকবে না।

এদিকে পরক্ষণে গগন এসে বিজনের ভাইকে হুমকি দিয়ে যায়। কারণ সে যদি বাড়াবাড়ি কিছু করে তাহলে তার অবস্থা তার ভাই বিজনের মতো হবে।








এদিকে বিজন হসপিটাল থেকে ছাড়া পেয়ে সে খুব রেগে যায় এবং প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্লান করতে লাগে। তার ভাইকে এবং তাকে বিজন হুমকি দেওয়ায় তারা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি করতে লাগে। এদিকে বিজনের দলের একজন লোক বিজনকে বলে যে এলাকায় নাকি গগনের খুব ভালো নাম ডাকা আছে। সবাই তাকে নাকি খুব ভালোবাসে। আর এটাই নাকি তার পাওয়ার।





এর পরবর্তীতে বাঁধন নামের এক মেয়েকে আমরা দেখতে পাই। আসলে বাঁধন নামের এই মেয়েটিকে গগন মনে মনে খুব পছন্দ করে এবং এই মেয়ের কথা কখন সবসময় মনে মনে ভাবতে লাগে।





পরবর্তীতে একজন লোক আরেকটা বাচ্চা ছেলেকে দেখা যায় যে লোকটি বাচ্চাটিকে দিয়ে খারাপ কাজ করার জন্য কিছু কথা বলছিল এবং সেটি দেখতে পেয়ে বিজন তাদের তাড়া করে।





এদিকে বিজনের ভাই কতগুলো ছোট বাচ্চাকে ধরে নিয়ে আসে এবং তাদের থ্রেট দিতে লাগে হাত-পা বেঁধে। এই বাচ্চাটা নাকি বিজনের ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাইরে কমপ্লেন দিয়েছে। তাই বিজন তাদের বলেছে পড়াশোনা বাদ তোদের। পড়াশোনা বাদ দিয়ে তারা বিজনের ছোট ভাইয়ের কাজ করবে।





এদিকে বাঁধন নামে সেই মেয়েটি ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়াশোনা শেখায় এবং রাতে কখন এই মেয়েটিকে দেখার জন্য জানার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারে। মেয়েটি যখন বাচ্চাদের পড়াচ্ছিল তখন কখনো এসে হাজির হয়। এবং মেয়েটি গগনের প্রশংসা করতে লাগে কারণ গগন এসব বাচ্চাদের জন্য অনেক কাজ করেন।

এদিকে গগনের বন্ধুরা তার পছন্দের মেয়ে বাঁধনের বান্ধবীকে তুলে নিয়ে আসে গগনের জন্য। তারা বুঝতে পারিনি এ দেখে গগন খুব রেগে যাবে। তাই গগনের আসার আগে একটা বাচ্চা ছেলে এসে তাদের হুমকি দেয়। যাইহোক গগন এসে তার দুই বন্ধুকে খুব মারধর করে।

এদিকে বিজনের ভাই জানতে পেরে যায় যে গগন বাঁধন নামের মেয়েটিকে খুব পছন্দ করে এবং তার পিছনে সব সময় লেগে থাকে।





এদিকে বাঁধন খুব রেগে যায় কারণ গগন তার বান্ধবীকে তুলে নিয়ে এসেছিল। এদিকে বিভিন্ন কথোপকথনের পর আমরা জানতে পারলাম যে বাঁধনও গগনকে খুব ভালোবাসে এবং ইঙ্গিতে সে গগনকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে যায়।





এদিকে বাঁধনের মামাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজনের ভাই তাকে থ্রেট দেয়। তাই সে বাড়িতে এসে বাঁধনকে খুব রাগারাগি করে। এবং বাঁধন গগনের কাছে গিয়ে তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাবের জন্য কথা বলতে বলে। এদিকে গগন রাগে আবার বিজনের ভাইয়ের কাছে যায়।

পরবর্তীতে বাঁধনকে গগন বিয়ে করে নেয় তার মামার অমতে। এদিকে বাঁধন গগনের উপরে খুব রেগে যায় কারণ সে তার মামাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে বলে। কিন্তু কখন সরাসরি তাকে বিয়ে করে নেয়।

এদিকে সকাল হতে না হতেই বাঁধন তার স্বামী গগনকে একটা বড় বাজারের বিল ধরিয়ে দেয়। যেহেতু এর আগে গগনের সংসার করার কোন এক্সপেরিয়েন্স ছিল না তাই সে একটু হতবাক হয়ে যায় এবং এভাবেই তাদের সুখের সংসার চলতে লাগে।





এদিকে বিজনের ভাই বিভিন্ন মানুষকে মারতে শুরু করে। এছাড়াও বাচ্চাদের পড়ার স্কুলটি সে ভেঙে দেয়। পরবর্তীতে তারা বাঁধন এবং দুটো বাচ্চাকে মেরে ফেলে এবং কখন সেই দৃশ্য দেখে খুব ভেঙে পড়ে।





আরে জন্য প্রতিশোধ নিতে গগন বিজনের বিভিন্ন লোককে খুন করে ফেলে এবং পরবর্তীতে বিজন এবং বিজনের ভাইকে চেয়ারে বেধে রাখে। তো গগন বিজনের ভাইকে একটা বন্দুক ধরিয়ে তার ভাইকে খুন করতে বলে এবং সে কথামতো সে তার ভাইকে খুন করে ফেলে।

নিজস্ব মতামত

আসলে নাটকটি আমার খুব ভালো লেগেছে। নাটকটিতে যেমন রয়েছে ভালবাসার তেমনি রয়েছে একটু অ্যাকশন টাইপের দৃশ্য। আসলে এখানে ছোট বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটির সবচেয়ে খারাপ দিক লেগেছে যে প্রধান চরিত্রে গগন তার প্রিয় মানুষটি বাঁধনকে হারিয়ে ফেলে চিরতরে। এছাড়া নাটকের প্রতিটি গান এবং মিউজিক গুলো অসাধারণ ছিল। আমার কাছে নাটকটি খুব ভালো লেগেছে।

রেটিংস

আমি এই নাটকটিকে দশে নয় দিতে চাই।

নাটকটির লিংক

সোর্স


তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।