এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -২৯
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে কনটেস্টের কথা শুনে আমি তো ফটোগ্রাফি করতে বেরিয়ে গিয়েছিলাম বর্টির বিলে। তো আসলে আমি যখন ক্যামেরা নিয়ে কোথাও বের হই তখন আমি চেষ্টা করি অনেক বেশি ফটোগ্রাফি করার। আর আপনারা তো সবাই জানেন যে গ্রামের দিকে ফটোগ্রাফির অনেক দৃশ্য থাকে। কোনটা রেখে কোনটা ছবি তুলবেন আপনি ভেবে উঠতে পারবেন না। তো যেতেই এই বিলের পাশ দিয়ে একটা ছোট খাল বয়ে গেছে। কিন্তু খালে প্রচুর পরিমানে কচুরিপানা থাকায় খালটি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। এই খালে বিভিন্ন জেলেরা মাছ তৈরির এই ফাঁদ দিয়ে মাছ ধরেন। আসলে খাল ছোট হলে কি হবে। সেখান থেকে অনেক ব্যক্তিরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।
তো যেহেতু বিলে জল থৈ থৈ করছে তাই বিভিন্ন লোকেরা তাদের নৌকা নিয়ে এইসব বিলের মধ্য থেকে মাছ ধরেন এবং তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। আসলে বিলের মাঝের দিকে মাছের পরিমাণ একটু বেশি থাকায় সবাই এই নৌকা নিয়ে বিলের মাঝের দিকে চলে যান। তারা দিনে প্রায় দুবার মাছ ধরতে এই মিলে আসেন। সকালে একবার আসেন আর বিকালে একবার আসেন। কারণ মাছ বেশিক্ষণ জালে আটকে থাকলে মাছগুলো মারা যায়।
তো আরেকটু দূরে যেতেই দেখলাম এক ব্যক্তি খালি গায়ে মাঠের মাঝে জাল পাতছিলেন। আসলে এই ধরনের জাল কিন্তু নিষিদ্ধ প্রতিটা দেশে। কারণ এগুলো হলো চায়না জাল। এইজালের ফলে পরিবেশের অনেক ক্ষতি সাধন হয়। এছাড়াও সরকার এই জাল বন্ধের বিরুদ্ধে কঠোর তৎপর হচ্ছেন। তবুও এসব মৎস্য শিকারীরা বেশি মাছ পাবার আশায় এই ধরনের জাল ক্রয় করে এই জাল দিয়ে মাছ ধরেন। যদিও সবকিছু জানেন তারা। তার সত্বেও তারা এই জাল বাজার থেকে ক্রয় করেন। কারণ এই জালে বেশি সংখ্যক মাছ ধরা পড়ে।
তো বিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা নৌকা একটা তাল গাছের সাথে বেঁধে রাখা দেখলাম। আসলে নৌকার উপরে বসে একটি কাক কি যেন একটি খাবার খাচ্ছিল এবং অন্য একটি কাক একটা লাঠির উপরে বসে ছিল। যদিও এরকম একটা দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগছিল। তাই আমি এই ছবিটি আমার ক্যামেরায় বন্দি করলাম।
আরেকটু দূরে যেতেই দেখলাম দুটি বালক এই বৃষ্টির জলে স্নান করছিল। আসলে বৃষ্টির সময় নদী নালা জলে থৈ থৈ করে এবং এই জ্বলে অনেকে ফুটবল খেলে আবার খেলাধুলা শেষে এই জলেই তারা স্নান করে। আসলে এরকম জলে স্নান করতে সবারই খুব ভালো লাগে। কারণ তখন সেখানে জলের গভীরতা খুবই কম থাকে।
কিছুক্ষণ পর একটি ছেলেকে তার মা ডাকতে এল। আমিও দূর থেকে সেই ছেলেটির মায়ের ডাক শুনতে পেলাম। যদিও তার মা জেগে ছিল। তাই ছেলেটি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি স্নান করে বাড়ির দিকে রওনা দিল।
ফিঙে পাখি তো আমরা সবাই চিনি। এই পাখিটা সাধারণত পোকামাকড় শিকার করে খায়। ছোটবেলা একটা কাহিনী আছে যে আমি যখন রাস্তা দিয়ে স্কুলের দিকে যেতাম তখন এই পাখিটি আমার মাথার উপর দিয়ে ছো মেরে ঘোরাঘুরি করত। কারণ এই পাখিটি কালো জিনিস কখনো সহ্য করতে পারে না। আর আমাদের মাথার চুল কালো থাকায় তারা আমাদের মাথার চুল সহ্য করতে পারে না।
আসলে পাখিটি বৃষ্টির জলে ভিজে গিয়েছিল। তাই সে একটি লাঠির উপরে চুপচাপ বসেছিল এবং বসে বসে সে রোদ পোহাছিল। যদিও তার নজর ছিল বিভিন্ন পোকামাকড়ের দিকে। মাঝে মাঝে সে উড়ে গিয়ে পাট ক্ষেত হতে পোকামাকড় ধরে আবার এই লাঠির উপর বসে সেই পোকামাকড় খাচ্ছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি : CANON
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে লক্ষ্য করে দেখেছি নৌকা চালিত একজন ছেলে মানুষের দৃশ্য। এদিকে পাখি বসে রয়েছে একটি বাঁশের আগায়, ওদিকে গোসল করা অবস্থায় মানুষের দৃশ্য, সব মিলে ছিল অনেক সুন্দর।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বরাবরই খুবই ভালো লাগে। আজকের গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে। তবে বিশেষ করে প্রথম ফটোগ্রাফি শেষের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে থেকে আমার কাছে নৌকা চালানোর ফটোগ্রাফি এবং মাছ ধরার ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে।
বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা।চমৎকার লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো। এমন প্রকৃতির ফটোগ্রাফি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কনটেস্টের জন্য বর্তির বিলে গিয়ে বেশ অনেক ফটোগ্রাফিই তো করলেন।এটা ঠিক গ্রামের দিকে গেলে ফটোগ্রাফি অনেক করা যায়। আমি গ্রামে থাকলে অনেক ফটোগ্রাফি করতে পারতাম।যাই হোক খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।