মিলন মেলা। পর্ব:-১০
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি মিলন মেলা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে ছোটবেলা থেকে আমার একটা জিনিসের প্রতি একটু দুর্বলতা রয়েছে। সেটি হলো বন্দুক। অর্থাৎ ছোটবেলায় কোন পূজা পার্বণে বন্দুক কিনব না সেটি কখনো হয়। প্রতিবার মেলায় আমরা বন্দুক কিনে সেই বন্দুক নিয়ে আমাদের বন্ধুদের সাথে আমরা অনেক লুকোচুরি খেলতাম। বিশেষ করে পুলিশ পুলিশ খেলাটা ছিল আমাদের সব থেকে একটা প্রিয় খেলা। কিন্তু বড় হলে যদিও সেই বাচ্চাদের বন্দুক নিয়ে আমরা খেলা করতে পারি না তাই প্রতিবার মেলায় যখন বেলুন ফাটানো কোন দোকান ওঠে তখন আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারি না। তাইতো এই দোকান গুলো দেখতে পেলে আমার সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। আর এজন্য আমি প্রতি মেলায় এই দোকানটার জন্য যেতে চাই এবং মেলায় গিয়ে এই দোকানটা খুঁজে পেলে আমি সেখানে অবশ্যই যাই।
আমার পুরো মেলা ঘুরে মনে হচ্ছিল যে এই ধরনের দোকান কোথাও বসেনি এবার। আসলে গিন্নির প্রেসারে আমার এই দোকানের কথা একদম ভুলে গেছিলাম। কিন্তু যখন শেষ গলিতে আমরা পরিদর্শন করছিলাম তখন আমার চোখে এই দোকানটি বেঁধে গেল। তখন আমি গিন্নীকে রেখে অর্থাৎ গিন্নি যখন অন্য একটি দোকানে বিভিন্ন জিনিস দেখছিল তখন তাকে আমি দেখে সোজা ওই দোকানে দৌড়ে গেলাম। একটা জিনিস আপনারা সব সময় খেয়াল করে দেখবেন যে এইসব দোকানে একটু দামাদামি করলে তারা আপনাকে দুই একটা বেলুন এক্সট্রা বেশি ফাটাতে দেবে। তাই আমি দোকানদার দাদার সাথে একটু দামের দরাদরি করলাম এবং তিনি আমাকে দুটি বেলুন এক্সট্রা ফাটাতে দিলেন। আসলে উনি কিছুদিন আগে আমার হাতের এই বন্দুকটি কিনে এনেছিলেন।
আর তাই আমি নতুন বন্দুকটি হাতে নিয়ে একটু প্রথম পরিদর্শন করে নিলাম। এরপর আমি প্রথমে বন্দুকটি হাতে নিয়ে বেলুন ফাটানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট বেলুনের উদ্দেশ্যে লক্ষ্য করে গুলি ছুরলাম। কিন্তু প্রথম গুলিতেই গুলিটি বের হলো না। অর্থাৎ মিস ফায়ার হল। তখন আমি ওই দোকানদার দাদাকে বললাম যে বন্দুকটি যেহেতু নতুন তাই আপনি বন্ধুকে একটু তেল দেবেন। তাই নতুন বন্দুকটি রেখে আমি পুরনো বন্ধুকে নিয়ে পুনরায় বেলুন ফাটাতে শুরু করলাম। ততক্ষণে গিন্নি আমার পাশে চলে এল। এরপর আমি গিন্নিকে একটা কাজ দিলাম। অর্থাৎ তাকে বললাম যে তুমি আমার ছবিগুলো তুলে দাও এবং আমি কোন বেলুনটি ফাটাবো তুমি সেটি আমায় বলে দাও। আর আমার কথামতো গিন্নি আমাকে বিভিন্ন দিকের বেলুন গুলো ফাটাতে বলল।
আসলে বন্দুকের ব্যাপারে আমি একদম সিরিয়াস থাকি। তাই আমার কোন ফায়ার একদম মিস হয় না। কেননা এই অভিজ্ঞতা আমার ছোটবেলা থেকে। মাঝে মাঝে ভাবি যে এরকম একটা বন্দুক যদি বাড়িতে কিনে এভাবে বেলুন ফাটাতে পারতাম তাহলে কি ভালো হতো তাই না। আসলে এই ভাবনা চিন্তাকে যদি সম্ভব হয় তাহলে আমি একদিন না একদিন অবশ্যই এই বন্ধুর বাড়িতে কিনে আনব। আসলে এই বন্দুকগুলো আমার খুব প্রিয়। এরপর আমি প্রথম রাউন্ড খেলা শেষে গিন্নীকে বললাম যে আমি কি আরেক রাউন্ড খেলতে পারি। আসলে গিন্নির সাথে যেহেতু আমি বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে দেখেছি তাই সে এ ব্যাপারে আমাকে আর না বলল না। আর আমি খুশিতে গদগদ হয়ে আবার দোকানদার দাদাকে আরেক রাউন্ড খেলার জন্য বললাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
মেলায় বেড়াতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। মেলাতে বেড়াতে গেলে অনেক মজা করা যায়, বিশেষ করে বন্ধুদের সাথে গেলে বেশি উপভোগ করা যায় সব কিছু। আপনার কাছে পুলিশ পুলিশ খেলাটা অনেক ভালো লেগেছে সেটা জানতে পারলাম। এয়ার গান দিয়ে বেলুন ফোটাতে অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি একবার মেলায় গিয়ে এভাবে বন্দুক দিয়ে বেলুন ফোটানোর চেষ্টা করেছিলাম। তবে আমি বরাবরি ব্যর্থ হয়েছিলাম। কারণ আমি তখন প্রথম এগুলো ট্রাই করেছিলাম। হয়তো একবার দুইবার করলে ধীরে ধীরে পারা যেতো। আর বর্তমানে মেলাতে এগুলো এখন একটি কমন খেলা।