প্রতিযোগিতা-৪০|বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি|

in আমার বাংলা ব্লগlast year

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


আসলে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। ফটোগ্রাফি কনটেস্ট আর আমি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করব না এটা কি ভাবা যায়। তো আমি চলে এলাম আমার তোলা অনেক ফটোগ্রাফি নিয়ে। আসলে বলতে গেলে ফটোগ্রাফি আমার শিরায় শিরায় মিশে গেছে। আর ফটোগ্রাফি করার সব থেকে ভালো সময় হলো বর্ষাকাল। একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হিসেবে আমি সব ঋতুর মধ্যে বর্ষাকালকেই ফটোগ্রাফির জন্য একটা সেরা কাল হিসেবে মনে করি। কারণ এই সময় প্রকৃতি তার নিজের রূপে গুণে ভরে ওঠে। কারণ এই সময় প্রকৃতির সব ধুলো ময়লা বৃষ্টির জলে ধুয়ে এক নতুন রূপ ধারণ করে। মনে হয় যেন প্রকৃতি এক নতুন জীবন ফিরে পায় এই বর্ষাকালে।


তো ফটোগ্রাফি কনটেস্ট এর কথা শুনে আমি আবার বেরিয়ে পড়লাম বর্টির বিলে। এর আগে হয়তোবা আপনারা এই বর্টির বিলের নাম শুনেছেন। আমার মনে হয় বর্ষাকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হলে গ্রাম অঞ্চলে দিকে চলে যেতে হবে। কারণ গ্রাম বাংলার এই রূপের মতো রূপ আর পৃথিবীর কোথাও নেই।



অবশ্য এই বর্ষাকালে ক্যামেরা নিয়ে বের হওয়া একটা বিপদজনক ব্যাপার। কারণ যে কোন সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি হতে পারে এবং এই বৃষ্টির জলে যেকোনো সময় ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আমি সঙ্গে একটা ছাতা নিয়ে বের হলাম।


IMG_5302.jpg


আমি যখন এই বিলে পৌছালাম তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ করে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল। আমি কোন মতে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলাম ছাতা মাথায় করে। কিন্তু তখন আমি দেখতে পেলাম জলের উপর এই বৃষ্টির ফোঁটা যেন হীরের মত চমকাচ্ছে। তাই দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে ক্যামেরাটা নিয়ে জলকণার এই ছবিটি তুলতে চেষ্টা করলাম।


IMG_8389_edited.jpg


IMG_8579.jpg


এর কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম একটা লোক জাল নিয়ে মাছ ধরছেন। অবশ্য ততক্ষণে বৃষ্টি থেমে গেছে। এদিকে তো আমি জুতো খুলে জুতো ক্যারিব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে পিঠের ব্যাগের সাথে বেঁধে দিয়েছি। আর আমি বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় একটা ক্যারিব্যাগ সব সময় সঙ্গে রাখি। তাই আমি খালি পায়ে লোকটির কাছে গিয়ে লোকটির মাছ ধরার ছবিটি তুলতে লাগলাম। লোকটি যখন জাল তুলে উপরে নিয়ে আসলো তখন আমি জালের ভেতর একটা পুঁটি মাছ দেখতে পেলাম। তখন লোকটিকে বললাম, দাদা আমি পুটি মাছের একটা ছবি নিতে পারি কি? তখন উনি বললেন, ঠিক আছে একটা ছবি তুলে নাও তাড়াতাড়ি।


IMG_8259.jpg


লোকটির মাছ ধরার সময় আমি পাশে শাপলা দেখতে পেলাম। এই শাপলা কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। আমরা সাধারণত বিভিন্ন ধরণের শাপলা দেখতে পাই। আমাদের দেশে লাল শাপলাও দেখতে পাই। কিন্তু লাল শাপলার সংখ্যা খুব কম।


IMG_5586.jpg


IMG_5605.jpg


আপনারা একটি জিনিস খেয়াল করবেন গ্রামাঞ্চলের দিকে গেলে কোন ছবিটি থেকে কোন ছবিটির ফটোগ্রাফি করব তা বুঝে উঠতে পারা যায় না। জলের ভিতর তখন দেখা মিলল ব্যাঙ সাহেব। উনি মনের আনন্দে ডাকাডাকি করছিলেন। কারণ বর্ষা এলে এই ব্যাঙ সাহেব মনের আনন্দে গান গাইতে লাগেন।


IMG_6364.jpg


IMG_6384.jpg


এরপরে আরেকটু সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। দূর থেকে দেখতে পেলাম যে একজন ব্যক্তি গরুর পাল নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছেন। তখন মনে পড়ে গেল সেই কবিতাটির লাইন, রাখাল গরু পাল লয়ে যায় মাঠে। তার পিছন পিছন আরেকজন মহিলা তার দুটো গরু নিয়ে তল্পিতল্পা সহ বাড়ির দিকে ফিরছিলেন।


IMG_1720.jpg


তখন পাশে আমি দেখতে পাই একটা শাপলা ফুলের উপর একটা ফড়িং বারবার উড়ে উড়ে আবার বসছিল। আমি কাছে যাওয়াতে ফড়িংটি বারবার উড়ে যাচ্ছিল। তাই আমি একটু স্থির ভাবে বসে রইলাম। তার কিছুক্ষণ পর ফড়িং বাবুটি এসে আমায় অনুরোধ করলো একটু ছবি তোলার জন্য। যাইহোক ফড়িংটির একটি পারফেক্ট ছবি আমি তুলতে সফল হলাম।


IMG_6266_edited.jpg


IMG_6268_edited.jpg


একটু সামনে এগোতেই আমি দেখতে পেলাম একদল ছেলে ফুটবল নিয়ে এই বৃষ্টির জলে খেলা করছিল। আমি কিছুক্ষণ ওদের খেলা দেখতে লাগলাম। কিন্তু যখন আমি ওদের ছবি তুলতে আরম্ভ করলাম তখন আমি বুঝতে পারছিলাম যে ছেলেগুলো আমার ছবি তোলা দেখে খুব খুশি। আর আমার ছবি তোলা দেখে মাঝে মাঝে তারা একটু পোস দিচ্ছিল।


IMG_6059.jpg


IMG_6060_edited.jpg


আরেকটু সামনে এগোতেই দুটো ছেলে রাস্তা দিয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছিল। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট্ট একটা খালে তাদের ছবি প্রতিফলিত ছিল। আর আমি তাদের এই প্রতিফলিত ছবি আমার ক্যামেরায় বন্দি করলাম।


IMG_0101_edited.jpg


IMG_0110_edited.jpg


এরপর আমি মাঠের মাঝখানের দিকে এগোতে লাগলাম। একটি লোক মাঠে যাওয়ার জন্য হেঁটে যাচ্ছিল। আমি দূর থেকে তার ছবিটি আমার ক্যামেরায় বন্দি করলাম। আরেকজন লোক জলের ভিতর দিয়ে মাঠের মাঝে যাচ্ছিল মাছ ধরার জন্য। আসলে মাঠের মাঝে হাঁটু সমান জল থাকে। কোথাও কোথাও আবার জলের গভীরতাটা অনেক বেশি।


IMG_0127.jpg


IMG_1302_edited.jpg


আরেকজন লোক নৌকা নিয়ে মাঠের মাঝে অর্থাৎ যেখানে জলের গভীরতা অনেক বেশি সেখানে জাল পেতে মাছ ধরছিলেন। আরেকজন বয়স্ক লোক তার ছোট নাতিকে নিয়ে মাঠের দিকে নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে যাচ্ছিলেন। অবশ্য ছোট ছেলেটি আমার ছবি তোলা দেখে প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিল।


IMG_4842_edited.jpg


IMG_4908.jpg


আর আমরা সবাই জানি যে, বর্ষাকালের এই সময়টিতে সবাই পাট কেটে জলে ভিজিয়ে রাখেন। আবার অনেকে বর্ষা শুরুতে পাট কেটে জলে ভিজিয়ে রাখেন পচানোর জন্য। এই সময় তারা পাটের আঁশ ছাড়িয়ে সেই পাঠের আঁশ রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করেন এবং পরবর্তীতে বিক্রি করে দেন।


IMG_4880.jpg


IMG_4890.jpg



একটি ছোট্ট মেয়ে তার বাবা কাজে সাহায্যের জন্য সেও এগিয়ে আসে। সে দূর থেকে তার বাবার জন্য পাটের আটি জলের উপর দিয়ে টেনে নিয়ে আসে। এতে তার বাবার অনেকটা সাহায্য হয়।


IMG_4939_edited.jpg


IMG_4837.jpg

আসলে রাস্তার দুপাশে এরকম পাট কাঠি সারি সারি করে রেখে এখানকার লোকেরা রোদে শুকায়। এতে রাস্তা অনেকটা সরু হয়ে যায়। আসলে দূর থেকে এই পাট কাঠির সারি গুলোকে দেখলে মন ভরে যায়। আর আমরা সবাই জানি যে, এই পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়।


IMG_4911.jpg


আসলে একজন শ্রমজীবী লোকের চেহারাটা কতটা করুন হয় তা এই ছবির মাধ্যমে বোঝা যায়। সেই সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা অবধি এই লোকগুলো কঠোর পরিশ্রম করে তার পরিবারকে সঠিকভাবে চালনা করার জন্য।সত্যিই এই মানুষ গুলোকে দেখলে আমাদের খুব কষ্ট লাগে।



IMG_4831.jpg


এরপরে আমি একটা জিনিস দেখতে পেলাম জলের ভিতর। আপনার তো সবাই ভাবছেন এই জিনিসটা কি। আসলে এটি হলো শোল মাছের পোনা। এই মাছের পোনা গুলোকে জলের মাঝে সোনালী রঙের মতো দেখাচ্ছিল। তো যেহেতু রাস্তার পাশে জলের ভিতর দেখেছিলাম। তাই এই দৃশ্যটি দেখে আমি আমার ক্যামেরায় বন্দি করলাম।


IMG_4846.jpg


IMG_4863.jpg


এরপর আমি দেখতে পেলাম যে একটি মাছরাঙ্গা পাখি পাট গাছের উপর বসে মাছ শিকার করছিল। পাখিটি একবার উড়ে গিয়ে জলের ভিতর দিয়ে মাছ ধরে আবার পুনরায় এই একই জায়গায় চলে আসছিল। দূর থেকে এই বিষয়টি আমি লক্ষ্য করতে পেলাম। তাই সাবধানে পাখিটির কাছে গিয়ে তার ছবি তুলতে লাগলাম।


IMG_4873_edited.jpg


IMG_1315.jpg


এছাড়াও দেখতে পেলাম যে চারটি নৌকা একসাথে একটি বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে। নৌকা গুলোকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। মনে হচ্ছিল একটা ফুল। আর পাশের এই একটা নৌকাকে বাঁধা দেখে আমার মনে হচ্ছিলো যে, নৌকাটির প্রিয়জন তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তাই সে এক হয়ে গেছে।


IMG_5679_edited.jpg


IMG_6340_edited.jpg


সচরাচর এই ছোট কুঁড়েঘরটি আমরা মাঠের মাঝখানে দেখতে পাই। বিশেষ করে মৎস্যজীবী লোকেরা রাতের বেলায় এইসব কুঁড়েঘরে থেকে মাছ পাহারা দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবারো মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল। তাই আমি দৌড়ে এই কুঁড়েঘরে গিয়ে আশ্রয় নিলাম। যাক বাঁচা গেল এই কুঁড়েঘরটিকে পেয়ে।


IMG_4565.jpg


IMG_4511.jpg


আস্তে আস্তে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে শুরু করল। চারিদিক যেন এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হতে লাগলো প্রকৃতি। মনে হচ্ছিল যে, প্রকৃতির এই রূপ দেখে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আসলে এই রূপের কোন তুলনা হয় না। যেদিকেই তাকাই প্রকৃতির এই রূপ দেখে আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারি না। আসলে প্রকৃতির এই রূপ আমাদের আকৃষ্ট করে।


IMG_4533.jpg


আর বিকেলের এই আকাশের দৃশ্যের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে যখন মাঠের মাঝখানে হেঁটে বেড়াতাম তখন বাবা আঙুল দিয়ে মেঘের এই বহুরূপী সাজ আমাদের দেখাতো। বিভিন্ন সময়ে এই মেঘ বিভিন্ন মূর্তির মত আকার ধারণ করে। সত্যিই মনমুগ্ধকর এক দৃশ্য।

ক্যামেরা পরিচিতি : CANON
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : বর্টির বিল



আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমার খুব ভালো লাগে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Sort:  
 last year 

ও মাই গড!
এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করা ও সম্ভব! আমি মুগ্ধতায় বারবার একটা ছবি দেখছি।কোন ছবি রেখে কোন ছবির প্রশংসা করবো ঠিক বুঝতে পারছি না। আপনি মনে হচ্ছে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। বিশ্বাস করুণ আমি আসলেই মুগ্ধ। ফার্স্ট প্রাইজটা আপনারই কাম্য।

 last year 

বর্ষাকালীন সময়ের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়েছি যেটা করতে আমিও পছন্দ করি। বর্ষাকাল আসলেই এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো মানুষের জীবনযাত্রা সত্যি দেখতে ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি অসাধারণ এক কথায়।

 last year 

প্রথমে আপনাকে জানাই প্রচারিত অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমরা বর্ষাকালীন কিছু দারুন ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। আসলে বর্ষাকালের অনুভূতি প্রত্যেকটি মানুষের কাছেই বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই বর্ষাকালীন এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ভাইয়া আপনার বর্ষাকালীন এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কোনটা রেখে কোনটা সুন্দর বলবো বুঝতে পারছি না। একদম বর্ষাকালের প্রকৃতি যে নতুন রূপে দেখা যায় তার সবটাই আপনার ফটোগ্রাফি তে ধরা পড়েছে। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখে বুঝা যাচ্ছে আপনি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের এদিকে কোন বৃষ্টি হচ্ছে না। এবং যে রোদ গরম পড়তেছে বর্ষাকাল বলে মনে হয় না। আপনার বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। সবগুলো ফটোগ্রাফি এত ভাল হয়েছে কোনটি ছেড়ে কোনটি ভালো বলবো তা আসলে বুঝতে পারছি না। আশা করি ভালো একটি অবস্থানে আপনি পৌঁছাতে পারবেন। বর্ষাকালীন এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

প্রথম পুরস্কারটা মনে হচ্ছে, আমাদের নিলয় দাদাই পাচ্ছে। তুমি সব সময় অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করো দাদা, যতই ফটোগ্রাফি দেখি তোমার ততই অবাক হয়ে যায়। কোন ফটোটা ছেড়ে কোনটা প্রশংসা করব বুঝতেই পারছিনা। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। তবে জলের মধ্যে ব্যাঙটাকে হাত-পা ছাড়ানো অবস্থায় দেখতে খুব মজা লাগছে আমার, হি হি হি।

 last year 

সত্যি দাদা এত বেশি মুগ্ধ হয়েছি আমি তো আপনার ফটোগ্রাফির দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি, কোনটা রেখে কোনটা দেখব এটা তো ভেবেই পাচ্ছিলাম না। বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল দাদা। আশা করছি এই প্রতিযোগিতায় সম্মানজনক একটা স্থান অর্জন করতে পারবেন আপনি।

 last year 

দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে।আপনার জন্য অভিনন্দন রইলো। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বাহ্! ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা খুবই ভালো এটা বলতেই হয়। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। কোনটা রেখে কোনটার প্রশংসা করবো সেটা বুঝতে পারছি না। বিশেষ করে ব্যাঙ এবং শাপলার ফটোগ্রাফি দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

জাস্ট অসাধারণ ভাই, একদম প্রফেশনাল ভাবে প্রত্যেকটি ছবি আপনি ক্লিক করেছেন। সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62255.52
ETH 2449.42
USDT 1.00
SBD 2.63