ঠান্ডার কষ্ট।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ ঠান্ডার কষ্ট সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
বিগত কয়েকদিন ধরে আমার ভীষণ ঠান্ডা লেগেছে। যদিও আমি শীতের পোশাক পরে বাইরেই বের হই। তবুও এই শীতের প্রচন্ড ঠান্ডায় আমার বেশ কিছুদিন ধরে শরীর অসুস্থ হয়েছে। হঠাৎ করে এই অসুস্থতার ভিতরে আমার মনে হলো যে, এই শীতের দিনে আমি গরম পোশাক, পায়ের জুতো, মাথায় টুপি এসব পড়েও আমার শরীর এতটা খারাপ অর্থাৎ আমার ঠান্ডা লেগেছে। তাহলে দেশে যেসব গরিব লোক রয়েছে তাদের এই শীতে কতটা বেশি না কষ্ট হচ্ছে তা আমি হয়তোবা একটু অনুভব করতে পারছি। আসলে ঘরের ভিতরে লেপের নিচে বসে মোবাইল চাপাচাপি করা আর রাস্তায় বসে পেটে ক্ষুধা নিয়ে শীতের পোশাক ঠিকঠাকভাবে না পড়ে থাকা যে কতটা কষ্টকর তা শুধুমাত্র সেই রাস্তার লোক গুলোই জানে। এই রাস্তার লোক গুলোর কষ্ট হয়তোবা আমরা সামান্য একটু হলেও বুঝতে পারি কিন্তু কখনো অনুভব করতে পারি না।
কিছুদিন যাবত শীতের প্রখরতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শীতের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিনিয়ত লেগেই রয়েছে। আসলে রোগ জীবাণুদের জন্য শীতকালটা মনে হয় বেশ একটা পছন্দের সময়। কারণ এই সময় আমাদের সব থেকে বেশি রোগাক্রান্ত করে। যদিও আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাই এই রোগের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার সত্বেও আমরা এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাই না। আসলে আমাদের দেশের এই এত বড় জনসংখ্যা রয়েছে যে, এই জনসংখ্যার ভেতরে অধিকাংশ লোকই কিন্তু গরিব লোক। আর এই বিশাল সংখ্যক গরিব লোক হওয়ার জন্য আমরা এখনো আধুনিক দেশ অপেক্ষা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আসলে যে দেশে যত বেশি গরিব লোকের সংখ্যা রয়েছে সেই দেশ উন্নত দেশ অপেক্ষা ততটা বেশি পিছিয়ে।
এত সংখ্যক গরিব লোক আমাদের দেশে বসবাস করে যে এই ধনীর লোকেদের একার পক্ষে এত সংখ্যক গরিব লোকেদের দুঃখ কষ্ট নিবারণ করা মোটেও সম্ভব নয়। কারণ আপনি যখন একজন ব্যক্তিকে সাহায্য করবেন তখন পাশের ব্যক্তিটি যে কিনা তার থেকে অনেক বেশি গরিব তাকে দেখে আপনার মনটা অনেক খারাপ হয়ে যাবে। আসলে এই শীতের সময়টাতে আমার কাছে মনে হয় যে সকল গরিব শ্রেণীর লোকেরা সবথেকে বেশি কষ্ট পায়। কারণ গরমকালে তো তারা ঘুমাতে পারে অথবা বর্ষাকালেও একটু তাদের বেশি কষ্ট হয়। কিন্তু এই শীতকালের মত কষ্ট আর কোন সময় এই গরিব লোকেদের হয় না। কারণ এই শীতের সময় একদিকে যেমন তাদের ভালো কোন ঘর থাকে না। আবার অন্য দিক থেকে তাদের শীতের পোশাক পরিমাণ মতো থাকে না।
তাদের এই শীতের পুরো সময়টা অনেক কষ্টের ভিতর কাটাতে হয়। তারা যদি এই সময় কোন অসুখে ভোগে তাহলে তাদের চিকিৎসা করার মত একদিকে যেমন টাকা থাকে না। অন্যদিকে তাদেরকে এই অসুখ-বিসুকে অনেক কষ্ট পেতে হয়। আমাদের সমাজের অনেক যুবক ব্যক্তিরা রয়েছে যারা তাদের সামান্য প্রচেষ্টার ফলে এই শীতের সময় বিভিন্ন গরিব লোকেদের শীতবস্ত্র এমন কি কম্বল দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। আসলে তারা সবসময় চেষ্টা করে যে প্রতিবছর শীতের সময় যাতে এই গরিব লোকগুলো কষ্ট না পায় সেজন্য তারা সবাই একসাথে মিলে বিভিন্ন ধরনের পোশাক এই গরিব লোকেদের দান করে থাকে। এছাড়াও সমাজের সকল ধনী শ্রেণীর লোকেরা যদি তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এই গরিবদের উদ্দেশ্যে তাহলে হয়তোবা আমাদের দেশ থেকে এই গরিবদের দুঃখ দুর্দশা একদিন না একদিন কমে যাবে।
আসলে শুধু ধনী শ্রেণীর লোকেদের নয় আমাদের মধ্যবিত্ত এমনকি সর্বসাধারণের লোকেদের এগিয়ে আসতে হবে এই গরিবদের সাহায্য করার জন্য। এছাড়াও এইসব গরিবদের জন্য সরকারি অনুদানের বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট ঘর তৈরি করে দেয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাতে হবে সরকারের প্রতি। যদিও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ফলে বিভিন্ন গরিব লোকেরা প্রতিবছর সরকারের দেওয়া বাড়ি পেয়ে থাকে। এছাড়াও এসব গরিব লোকেদের দুঃখ-দুর্দশা দূরের জন্য তাদের বিভিন্ন কর্মসংস্থান করে থাকে এই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও এর ফলে দেশ থেকে গরিবের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আসলে এই শীত কারো সুখের কারো বা দুঃখের।কারো শীত মানে ঘোরাঘুরি কারো বা শীত মানে গরম পোষাকের অভাবে থরথরে কাপুনি।আসলে একার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।ঠিক বলেছেন গরীব লোকেরা সত্যি কষ্টে থাকে এই শীতে।