পাখির ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -২৪
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু পাখির ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
শিল্পী পাখি তো আমরা সবাই চিনি। কিন্তু এই শিল্পী পাখি মানুষের থেকে অনেক সূক্ষ্ম কাজ করতে পারে। হ্যাঁ আমি বাবুই পাখির কথা বলছি। এই বাবুই পাখি আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়। এটা খুব সুন্দর বাসা তৈরি পারে বলে এদেরকে আবার তাঁতি পাখিও বলা হয়। এদের বাসা তৈরীর গঠন খুব জটিল এবং দেখতেও খুব সুন্দর। আসলে পুরুষ বাবুই পাখির দেহের গঠন অনেকটা উজ্জ্বল রঙের।
এই বাবুই পাখির বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে। এক এক প্রকারভেদের বাবুই পাখি দেখতে এক এক ধরনের। এদের প্রজনন সময় হল বর্ষার কাল। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তিদের জন্য দিন দিন এই পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কারণ এই অশধি ব্যক্তিরা এই পাখির মাংস খায় এবং পাখির বাসা নষ্ট করে দেয়। আর তাই সরকারকে এই পাখি রক্ষার জন্য কঠোর হস্তক্ষেপে এই অসাধু ব্যক্তিদের দমন করতে হবে।
এদের বাসা দেখতে অনেকটা উল্টো কলসির মত। এরা সাধারণত বর্ষার আগে নিজেদের বাসা তৈরি করে। এদের বাসা তৈরীর প্রধান গাছ হল তাল গাছ। বেশিরভাগ এরা তাল গাছেই বাসা বাঁধে। আমার মনে হয় তাল গাছের পাতা সরু থাকায় এদের বাসা তৈরি করতে অনেকটা সুবিধা হয়। এই পাখি খুবই পরিশ্রমই একটা পাখি।
এই পাখি যখন বাসা বাঁধে তখন এদের বিভিন্ন নলখাগড়া অথবা হোগলা বনে দেখা যায় এদের। এই পাতা দিয়ে এরা সুনিপুণভাবে এদের বাসা তৈরি করে। এদের বাসা অনেকটা জটিল প্রকৃতির। নিচ থেকে দেখলে মনে হয় এদের বাসার ভিতরে ডিম পারলে এরা সেই ডিম নিচে পড়ে যাবে। আসলে তা নয়। এদের বাসায় কোন প্রাণী আক্রমণ করতে না পারে এজন্য এরা খুব জটিল প্রক্রিয়ায় এদের ভাষা তৈরি করে। যাতে বাইরের প্রাণীরা সহজে এদের বাসায় আক্রমণ করতে না পারে।
এই পাখি সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ খেয়ে বাঁচে। এছাড়াও এরা বিভিন্ন গাছের ফল ধান ইত্যাদি খাবার খেয়ে জীবনধারণ করে। এরা সাধারণত এমন জায়গায় বাসা তৈরি করে যেখান থেকে এরা খুব সহজে পাশে কোন ক্ষেতে গিয়ে খাবার সংগ্রহ করতে পারে।
আসলে ছবি তুলতে তুলতে আমি একটা বাবুই পাখিকে দেখতে পেয়েছিলাম একটা ঝোপের মাঝে। আসলে এইসব পাখির ছবি তোলা খুবই কঠিন। আমি একটা নির্দিষ্ট জায়গা বেশি নিলাম যেখান থেকে খুব সহজেই এই পাখিটির ছবি তোলা যায়। কিন্তু এক জায়গায় স্থির ভাবে বসে থাকতে হবে। সামান্য একটু নড়াচড়া করলে পালিয়ে যাবে। তাই আমি একদম মূর্তির মত ক্যামেরাটা চোখে নিয়ে পাখিটির ছবি তুলতে লাগলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : Nikon D5200
ক্যামেরা লেংথ : 300 mm
এদিকে চরম রোদে আমার শরীর পুড়ে যেতে লাগল। যাইহোক পাখির ছবি তুলতে হবে বলে কথা। তাই যতই কষ্ট হোক না কেন আমি আর নড়াটরি করলাম না। ধীর মনস্থির করে আমি পাখিটির ছবি তুলতে লাগলাম। আসলে পাখির ছবি তোলাটা কতটা কঠিন তা যারা শুধু পাখির ছবি তোলে তারাই জানতে পারে।
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাবুই পাখির সৌন্দর্য এবং তার সম্পর্কে এত বিস্তারিত জানতে পেরে আসলে অনেক ভালো লাগছে। বাবুই পাখি আসলেই শিল্পী পাখি যা আমরা আগে থেকেই জানি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে বোঝাই যাচ্ছে না এগুলো কোন ফটোগ্রাফি। মনে হচ্ছে আমি বাস্তবে তাকিয়ে আছি।
ধন্যবাদ আপু। আসলে আপনাদের মুখে প্রশংসা শুনলে আমার সত্যিই খুব ভালো লাগে।
বাহ্ আপনি দারুন পাখির কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে এই পাখিটা চেনা চেনা লাগছে। তারপরও সম্পূর্ণভাবে বলতে পারছি না এই বাকিটার নাম কি। তবে যতটুকু বুঝতে পারছি মনে হচ্ছে টুনটুনি পাখি অথবা চড়াই পাখি। যাক আপনি খুব দারুণভাবে পাখিটির ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি পোস্ট দেওয়ার। আর এইসব ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে।
অনেকদিন পরে বাবুই পাখিকে খুবই কাছ থেকে দেখতে পেলাম আপনার এই ফটোগ্রাফি পোষ্টের মধ্য দিয়ে। আমি অনেকবার বাবুই পাখি দেখেছি কিন্তু এত কাছ থেকে দেখা হয়নি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা সুযোগ করে দেবার জন্য।
আসলে দাদা এসব ছবি তুলতে গেলে খুবই কষ্ট করা লাগে। এক জায়গাতে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অথবা বসে থাকতে হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আজ আপনি আমাদের মাঝে পাখির সুন্দর ফটোগ্রাফি করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই সুন্দর পাখির ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। বাবুই পাখির অনেক গুন গান রয়েছে এবং এ পাখি নিয়ে অনেক কুইজ রয়েছে আমাদের সাধারণ জ্ঞান বইতে। যাই হোক ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
আপনি সত্যিই বলেছেন দাদা এই পাখি নিয়ে অনেক কুইজ আমাদের সাধারণ জ্ঞান বইতে রয়েছে। কিন্তু এই পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই আমাদের সবার উচিত এই পাখির রক্ষণাবেক্ষণে এগিয়ে আসা।