এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -৩৭

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


IMG_5014 copy.jpg


আসলে মাছরাঙ্গা পাখি নিয়ে আমার আর বেশি কিছু বলার নেই। কারণ আমি এর আগেও এই পাখি নিয়ে অনেক কথা বলেছি আপনাদের সাথে। আসলে এই পাখি এতটা বেশি দেখা যায় যে আমি যেখানেই যাই না কেন সাধারণত এই পাখিটি দেখতে পাই এবং আমি এই পাখিটির ছবি তোলা লোভ মোটেও সামলাতে পারি না। কিন্তু এই পাখি দেখলে আমার মনে হয় যে এই পাখি যেন পৃথিবীর সব রং এর নিজের শরীরে ধারণ করে আছে।


IMG_5041.jpg


আসলে আমরা বিভিন্ন ধরনের মাছরাঙ্গা পাখি দেখতে পাই আমাদের চারিপাশে। কিছু কিছু মাছরাঙ্গা পাখি ছোট হলেও আবার কিছু কিছু মাছরাঙ্গা পাখি আছে যেটি আকার আয়তনে অনেক বড় এবং বিভিন্ন মাছরাঙ্গা পাখির রং কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কোন কোন মাছরাঙ্গা পাখির ঠোঁট ছোট হয় এবং সরু হয়। আবার কোন কোন মাছরাঙ্গা পাখি ঠোঁট একটু মোটা এবং লম্বা হয়। আসলে এই তীক্ষ্ণ ঠোঁটের সাহায্যে এরা খুব সহজেই মাছ শিকার করতে পারে।


IMG_4998.jpg


আসলে বক পাখিকে নিয়েও আমি এর আগে অনেক পোস্ট করেছি। আসলে এই পাখিটিও কিন্তু আমরা গ্রাম অঞ্চলে গেলে সচরাচর সব জায়গাতেই দেখতে পাই। এ পাখিটি যখন দূর আকাশে উড়ে বেড়ায় তখন মনে হয় যেন আকাশে সাদা পালক উড়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও এই বক পাখির ঝাঁক যখন আকাশ দিয়ে উড়ে বেড়ায় তখন মনে হয় যেন আকাশ পুরোটাই এই বক পাখির সাদা রং দিয়ে রাঙিয়ে নিয়েছে নিজেকে।


IMG_5000.jpg


আসলে বর্ষাকালে এই বকবকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই থাকে। যদিও শীতকালে এই বক পাখির সংখ্যা বেশি থাকে। কিন্তু শীতকাল অপেক্ষা বর্ষাকালে এই বক পাখির সংখ্যা বেশি থাকার কারণ হলো এই সময়ে নদী-নালা, বিল সব জলের নিচে থৈথৈ করে। এইসব নদী-নালায় এবং বিলে তখন অনেক ছোট ছোট মাছের আনাগোনা দেখা যায়। আর এই মাছ শিকারের জন্য এই বক পাখি সব সময় কোন না কোন গাছে অথবা আকাশ দিয়ে উড়ে বেড়ায়। যখন তারা দূর থেকে কোন মাছকে দেখতে পায় তখন তারা ছো মেরে মাছ নিয়ে আবার গাছের উপরে বসে খায় সেই মাছটি।


IMG_5039.jpg


আসলে আমাদের চারিপাশে যেসব গ্রামাঞ্চল রয়েছে সেখানে কোন কোন পাখি আমরা দেখতে না পেলেও এই শালিক পাখি কিন্তু আমরা সব জায়গাতেই দেখতে পাই। তাই এই শালিক পাখির সংখ্যা গ্রাম অঞ্চলের দিকে সব থেকে বেশি। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে যখন ধান পাকে তখন এই শালিক পাখি এই ধান ক্ষেতের চারিপাশে আমরা লক্ষ্য করতে পাই। কারণ এই ধান গাছে তখন বিভিন্ন প্রকার উপদ্রব দেখা দেয়।


IMG_5040.jpg


এই শালিক পাখি এই ধানক্ষেত থেকে এসব পোকামাকড় খেয়ে ধানক্ষেতকে এই পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এরা কিন্তু ধান খেয়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু এদের প্রধান খাদ্য হলো বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়। আমরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের শালিক দেখতে পাই আমাদের চারিপাশে। এক এক শালিক পাখির এক এক ধরনের নাম রয়েছে বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে।

IMG_5042.jpg


এই শালিক পাখির ভিতরে কিছু কিছু পাখি আছে যারা মানুষের মত হুবহু কথা বলতে পারে। অর্থাৎ মানুষ যদি এই শালিক পাখিকে পোস মানতে পারে এবং কথা বলানো শেখাতে পারে তাহলে এই শালিক পাখি কিন্তু মানুষের মতো কথা বলতে পারে। আমরা বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল ঘুরলে দেখতে পাই যে বিভিন্ন বাড়িতে এই শালিক পাখি পোষা হয়।


IMG_5043.jpg


সাধারণত যখন পাট পচানো হয় তখন ওই জলে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের জন্ম হয় এবং এই পাট ক্ষেতের চারিপাশে তখন আমরা ঝাঁকে ঝাঁকে শালিক পাখি দেখতে পাই। কারণ তারা এই নোংরা জলে পোকামাকড় খেয়ে তারা বেঁচে থাকে।


IMG_5053.jpg


আসলে আজকের ছবিটি আমার কিন্তু এই পাট পচানোর জায়গা থেকে তোলা। আমি অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করলাম যে একটি শালিক পাখি এই পাট পচানোর জায়গাতে যে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় জন্মেছিল সেখান থেকে পোকামাকড় ধরে ধরে খাচ্ছিল।


IMG_5054.jpg


যদিও ছবিটি আমার অনেক সাবধানে তুলতে হয়েছিল। কারণ আমার উপস্থিতি জানতে পারলে পাখিটি আর এক মুহূর্ত সেখানে থাকবে না। আসলে এই পাট পচানোর ফলে সবথেকে বেশি জল দূষিত হয়। আর এর ফলে বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই সময়ে সবথেকে বেশি শালিক পাখি এই পাট পচানোর জায়গাটিতে দেখা যায়।


ক্যামেরা পরিচিতি : CANON
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 6D Mark II
ক্যামেরা লেংথ : 42 mm



আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Sort:  
 11 months ago 

আশা করি দাদা ভালো আছেন? আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি বেশ দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন । আজকে পাখির ফটোগ্রাফি গুলোর সৌন্দর্য বেশ অসাধারণ হয়েছে । কয়েক রকমের পাখির ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। এত চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দাদা।

 11 months ago 

দাদা আপনার তোলা শালিক, বক, মাছরাঙ্গার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 11 months ago 

আপনি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার সেটা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বোঝা যায় ভাই। মাছরাঙা এর ফটোগ্রাফি টা অসাধারণ ছিল। আর শালিক তো গ্রামের দিকে প্রচুর পাওয়া যায়। তবে সকাল বেলা শালিকের কিচিরমিচির বেশ বিরক্তিকর হা হা। সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

ভাই আপনি বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি খুবই চমৎকার ফটোগ্রাফি করে নেতা আমরা সবাই জানি। প্রত্যেকটা ফটো ভালো ছিল তার মধ্যে বকের ফটোগ্রাফি টা ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। মাছরাঙ্গা, বক এবং শালিকের প্রত্যেকটি ছবি আমাকে মুগ্ধ করেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

মনোমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে থেকে আমার কাছে মাছরাঙ্গার ফটোগ্রাফি এবং উড়ন্ত বকের ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে।

 11 months ago 

বেশ চমৎকার ভাবে আপনি পাখির দৃশ্য ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। আপনার সুন্দর সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। একদম প্রাকৃতির মাঝে থেকে সুন্দর ভাবে ধারণ করেছেন সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো।

 11 months ago 

ভাই আপনি আসবেন কয়েকটি পাখির ফটোগ্রাফি আমাদের শেয়ার করেছেন। আসলে পাখি সকলেই কম বেশি পছন্দ করি। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি-র মধ্যে মাছরাঙ্গা এবং বক পাখিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59991.95
ETH 2664.96
USDT 1.00
SBD 2.45