না খেয়ে মরে। কবিতা নং :- ৯১
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে আমার লেখা একটি কবিতা পোস্ট করলাম । আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আমাদের পৃথিবীতে যে হারে দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই হারে মানুষ ততটা উন্নত হচ্ছে না। অর্থাৎ একদিকে যেমন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি অন্যদিকে গরিব মানুষের সংখ্যা দিন দিন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বিশাল সংখ্যক গরিব লোকেদের জন্য তেমন কোন বাসস্থানের ব্যবস্থা নেই আমাদের সমাজে। তাইতো এসব গরিব লোকেরা তাদের বসবাসের জন্য বিভিন্ন রাস্তার পাশে এবং নর্দমার পাশে বাসস্থান তৈরি করে সেখানে বসবাস করছে। একমাত্র যেসব দেশে আজ উন্নতির সর্বশিখরে পৌঁছে গেছে সেসব দেশে এই হতদরিদ্র লোকের সংখ্যা একদম নেই বললেই চলে। আসলে ওইসব উন্নয়নশীল দেশের প্রধান দিক হল একদিকে যেমন তারা তাদের জনসংখ্যাকে কন্ট্রোল রাখবে তেমনি অন্যদিকে কেউ যাতে দিনমজুর বা গরিব হয়ে দিনযাপন না করে সেজন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা সবসময় করেই থাকেন।
আমরা যখন কোন কাজে ঘরের বাইরে বের হই তখন আমরা বাইরের পরিবেশটাকে পুরোপুরি দেখতে পাই যে কত হতদরিদ্র লোক কিভাবে কষ্টে তাদের দিন যাপন করছে। আসলে তাদের কষ্ট দেখে ভালো মানুষের কখনোই সহ্য হয় না। কারণ এই গরিবের যন্ত্রণাটা যে কতটা বেশি তা শুধুমাত্র সেই গরিব শ্রেণীর লোকজন জানে। এছাড়াও এই গরিব পরিবারের লোকজন তাদের খাবার যোগাড়ের জন্য সব সময় অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করেও তারা তাদের নিজেদের জীবনকে উন্নত করতে কখনোই পারেনা। শুধুমাত্র তারা এইসব অর্থ কষ্টের ভিতর দিয়ে দিন যাপন করে এবং তাদের পরিবারের কোন লোকের স্বাদ আহ্লাদ কখনোই পূরণ করতে পারে না। আসলে এসব গরিব লোক শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় যে কতটা বেশি কষ্ট পায় তা সহ্য করার মত নয়। আসলে এসব গরিব পরিবারের লোকেদেরকে সমাজের উঁচু শ্রেণীর লোকেরা সব সময় ঘৃনা করে।
এছাড়া আমরা দেখতে পাই যে এইসব ধনী লোকেরা কখনো এই গরিবদেরকে সামান্য একটুকুও সাহায্য করে না। যদিও তাদের কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অনেক বেশি অর্থ সম্পত্তি থাকে তবুও তারা এই গরিব মানুষদের দেখে তাদের মনে একটু করুনার উদয় হয় না। আসলে এসব লোকেরা মনে করে যে সমাজের এই গরিব শ্রেণীর লোকেরা একদম নোংরার মত। আসলে এই পৃথিবীতে কিন্তু কেহ গরীব হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। আসলে ভাগ্যের কি পরিহাস দেখো। কেউ জন্ম গ্রহণ করে ধনী পরিবারে আবার কেউ জন্ম গ্রহণ করে গরিব পরিবারে। আর এইসব গরিব লোকেরা যদি কঠোর পরিশ্রম করেও তাদের জীবনে উন্নতি সাধন করতে চেষ্টা করে তাহলে এই ধনী লোকেরা তাদেরকে সব সময় বাঁধা দিয়ে তাদেরকে নিচু শ্রেণিতে ধরে রাখে। কারণ তাদের মনে হয় যে এই গরীব শ্রেণীর লোকেরা তাদের অর্থ উপার্জনের প্রধান উৎস। আর এই পরিশ্রমির লোকেরা যদি তাদের কাজ না করে তাহলে হয়তোবা তারা ধনী থেকে গরিবে পরিণত হতে আর বেশিদিন সময় লাগবে না।
✠ না খেয়ে মরে ✠
এই পৃথিবীতে এত মানুষের ভিড়ে,
রাস্তার পাশে শুয়ে থাকে কত মানুষ।
দ্বারে দ্বারে দ্বারে তারা ভিক্ষা করে,
নিজেদের জীবন রক্ষার তাগিদে।
খাবার যে এত ভাল হয়,
তা তারা বুঝলো না কোনদিন।
উসৃষ্ট খেয়ে তাদের জীবন কাটে,
নোংরা আবর্জনার পাশে কাটায় সারাদিন।
পরনে তাদেরও নোংরা পোশাক,
চুলগুলো সব সময় উস্কো খুস্কো থাকে।
পাগলের মত ঘুরে বেড়ায় তারা,
পাগল বলে সবাই তাদের ডাকে।
ঠান্ডার রাতে ভীষণ কষ্টে,
শুয়ে থাকে রাস্তার পাশে।
তবুও বাবুরা সব সময় ভাবে,
জঞ্জাল কেন রাস্তার পাশে থাকে।
রাস্তার মানুষের জঞ্জাল নাকো,
তাদেরও বাঁচার অধিকার আছে পৃথিবীতে।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দেখো,
জন্ম নিয়েছে তারা অভাবের ঘরেতে।
সমাজের লোকজন তাদের ঘৃণা করে,
কাছে আসলে তাদের দূরে ঠেলে দেয়।
তারা নাকি অস্পৃশ্য বলে,
তাদের থেকে সবাই দূরে সরে যায়।
এটাই কি তাদের দোষ শুধুমাত্র,
জন্ম নিয়েছে গরিব পরিবারে।
তারাও যদি একটু সুযোগ পেতো,
তাহলে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতো এই সমাজে।
শুধুমাত্র সুযোগের অভাবে আজ,
তারা ভিখারীর মত রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।
তাদের জন্য নাকি দেশ উন্নতির দিকে,
এগিয়ে যেতে নাকি সব সময় বাঁধা পায়।
শোনো বন্ধু হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে,
এইসব গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াই।
মানুষের মাঝে আজও মনুষত্ব আছে,
তাইতো তাদের সাহায্যে আমরা হাত বাড়াই।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
দাদা অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখায় কবিতাটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। কবিতার মাঝে অসহায় মানুষের চিত্রটি দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন। আমাদের সকলের উচিত অসহায় মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। যাহোক চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কথাগুলো ঠিক ছিল ভাই আপনার কবিতার কিছু ,কিছু লাইন যেগুলো আমাদের উপর উপলব্ধি করায় যে এই সমাজে যারা ধনী লোক রয়েছে তাদের কাছে যারা হতদরিদ্র মানুষের অনেকটা নোংরা মত তবে সবাই এরকম নাই এটাও ঠিক সব মিলিয়ে একটা বাস্তব জীবন নিয়ে একটি সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
বিশেষ করে কিছু উঁচু শ্রেণীর লোকেরা এসব গরিবদের সবসময় ঘৃণা করে। এছাড়াও এইসব গরিবরা নাকি দেশের বোঝা। আসলে এরকম গরিবদের উপরে উঁচু শ্রেণীর লোকেদের অত্যাচার দেখলে আমাদের সবারই খুব মন খারাপ লাগে।
আসলে সমাজে ধনী লোকগুলা সবসময়ই গরিবদেরকে অবহেলিত করে। যাদের কারণে তারা কঠোর পরিশ্রম করেও সাধনা করতে নিজেকে উন্নতি করতে পারে না। কারণ তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আপনি খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কবিতাটি যেন সমাজের বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছে।
যতদিন না দেশ থেকে এই গরিব নামক নামটি মুছে না যাচ্ছে ততদিন দেশ কখনো উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না। আর এই জন্য সফল উঁচু স্তরের লোকেদের এসব গরিব লোকেদের প্রতি একটু সহানুভূতি স্বীকার করে তাদেরকে সাহায্য করতে হবে।
আসলে ভাই এখানেই বড় সমস্যা ধনী লোকেরা গরিব লোকগুলোর পাশে দাঁড়ায় না। যদি ধনী লোকেরা তাদের অর্থের বিনিময়ে রাস্তার পাশের লোকগুলোর অর্থ দিয়ে সাহায্য করত তাহলে হয়তো পুরো সিস্টেমটাই পরিবর্তন হয়ে যেত। যাইহোক কবিতার ভাষায় বিষয়টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার কথাটি ঠিক। আসলে বর্তমানে ধনী লোকেরা চায় তারা শুধুমাত্রই এই পৃথিবীতে ধনী হয়ে এই পৃথিবীটাকে শাসন করুক। আর গরিব লোকেরা তাদের সব সময় নিচে থাকুক।
বাহ আপনি সব সময় ভিন্ন রকম কবিতা লেখেন।না খেয়ে মরে কবিতাটি পড়ে সত্য অনেক ভালো লাগলো। আপনার কবিতার ভাষা অসাধারণ। তবে বেশিরভাগ বড় লোক গুলো গরীবদেরকে ভালো চোখে দেখে না। অথচ এই বড়লোকগুলো গরিব লোকদের কারণে আজকে বড়লোক হয়েছে। তবে আপনার কবিতাটি যতবার পড়ি ততই ভালো লাগে পড়তে। খুব সুন্দর করে কবিতাটি প্রতিটি লাইন চমৎকারভাবে লিখে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আজকে আপনি খুব সুন্দর করে না খেয়ে মরে কবিতাটি লিখেছেন। তবে আপনার কবিতাটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। কবিতার মাধ্যমে অনেক বাস্তবিক কিছু কথা তুলে ধরেছেন। বর্তমানে বড়লোকগুলোই হচ্ছে মানুষ আর গরিব মানুষগুলো হচ্ছে অন্য কিছু। যদি সবাই মানুষ মানুষের জন্য চিন্তা করত তাহলে পৃথিবী অনেক সুন্দর হতো। তবে কবিতাটি খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আর আপনার কবিতাগুলো পড়তে আমার কাছে এমনি বেশ ভালো লাগে।