জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া আনন্দের সময়।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া আনন্দের সময় সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আমরা যত বড় হচ্ছি ততই বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়ছি। আসলে কাজের ফাঁকে আমরা একটু জীবনটাকে উপভোগ করতে আর পারছি না। কেননা মানুষ যদি তাদের নিজেদের জীবনকে উপভোগ করার জন্য কাজকর্ম ছেড়ে দেয় তাহলে তারা কখনোই জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারবেনা। আসলে এই পৃথিবীতে সোনার চামচ মুখে নিয়ে সবাই কিন্তু জন্মগ্রহণ করেনি। আসলে যারা সোনার চামচ মুখে দিয়ে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছে তারা হয়তোবা তাদের জীবনটাকে একটু উপভোগ করতে পারে। কিন্তু সমাজের যারা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোক তারা কিন্তু তাদের জীবনটাকে উপভোগ করতে মোটেও পারে না। কারণ আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন সন্তান হিসেবে দেখেছি যে ছোটবেলায় যখন আমরা স্কুল কলেজে যেতাম তখন আমাদের মা-বাবা আমাদের সকল প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করতো।
আসলে সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করতে করতেও আমাদের মা-বাবা তাদের নিজেদের জন্য তেমন কোন কিছু করে যেতে পারেনি। আসলে তারা সবসময় চেষ্টা করে কি করে আমাদেরকে ভালো রাখবে। আসলে আমাদেরকে ভালো রাখতে গিয়ে তারা তাদের জীবনের সকল শখ আহ্লাদ সবকিছু অপূরণ রেখে দিয়েছে। এছাড়াও তাদের জীবনে আমাদের বর্তমান সময়ের মতো অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু তখন তারা যদি তাদের নিজেদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য চেষ্টা করত তাহলে তারা আর কখনো নিজেদের পরিবারকে দেখতে পারত না। আর এজন্য তারা শুধু নিজেদের ক্ষেত্রেই স্বার্থপর হয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে তাদেরকে কখনো স্বার্থপর হতে দেখিনি। আসলে আমরা এভাবে কাজ করতে করতে আমাদের জীবনের অনেক আনন্দের সময় আমরা এখন ভোলার পথে।
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের এই পৃথিবীর সম্পর্কে তেমন কোন জ্ঞান ছিল না। এছাড়াও বাইরের জগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল না যে এই বাইরের জগৎটা কতটা বেশি কঠিন। আসলে এই বাইরের জগৎ সম্পর্কে আমরা যখন বুঝতে শুরু করেছি তখন থেকে আমাদের মনের বিভিন্ন ধরনের টেনশন এসে গেছে। আসলে ছোটবেলায় ভাবতাম যে আমরা বড় হয়ে বিভিন্ন ধরনের শখ আল্লাদ পূরণ করব। কিন্তু আমরা যত বড় হয়েছি ততই আমাদের এই শখ আহ্লাদ গুলো আস্তে আস্তে ভুলে যেতে শুরু করেছি। কেননা বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে তখন আমাদের পুরোপুরি জ্ঞান হয়েছে এবং আমরা এই বাইরের কঠিন জ্ঞান সম্পর্কে জানতে পেরে তখন শুধুমাত্র আমরা আমাদের পরিবারের জন্য কাজ করেছি। আসলে কোন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেদের জীবনের সব চাহিদা সব সময় পূরণ হয় না।
আসলে আমরা দেখতে পাই যে এই পৃথিবীতে বহু লোক রয়েছে যারা কাজের জন্য তাদের আনন্দের সময় গুলো আস্তে আস্তে ভুলে গেছে। আসলে আমাদের জীবনে শৈশবকালে অনেক বেশি আনন্দের সময় ছিল। আসলে বর্তমানে কাজের এত বেশি চাপ যে আমরা পূর্বের সেই জিনিসগুলো এখন আর চিন্তা করতে পারি না। আসলে আমাদের শৈশবকালটা কত বেশি আনন্দের ছিল। সে সময় আমরা স্কুলে যেতাম বন্ধু-বান্ধব মিলে। এছাড়াও স্কুল ছুটি শেষে যখন সবাই মিলে একসাথে বাড়ি আসতাম। তখন বাড়ি এসে কিছু খেয়েদেয়ে আবার মাঠে চলে যেতাম খেলাধুলা করার জন্য। আসলে এই দিনগুলোর কথা সত্যিই আমাদের মনে পড়ে এখন। আসলে তখন কত আনন্দেই আমরা সবাই দিন কাটাতাম।
যদিও সেই দিনগুলোর কথা এখন মনে পড়লে আমাদের ভীষণ কষ্ট লাগে। আসলে কষ্টটা এখানেই হয় যে আমরা যখন শৈশবকাল আনন্দ করতাম তখন আমাদের মা-বাবা আমাদের চাহিদা পূরণের জন্য কত বেশি কঠোর পরিশ্রম করত। আসলে তখন আমরা মা-বাবার এই পরিশ্রমের মূল্য বুঝতাম না। কেননা আমরা তো নিজেরাই এই ধরনের কাজকর্ম কখনো করিনি। আর এজন্য আমরা ভাবতাম যে আমাদের জীবনটা ভবিষ্যতেও খুব সুন্দর যাবে। কিন্তু যখন জানতে পারলাম এই পৃথিবীর আসল রহস্য সম্পর্কে। তখন থেকে আমাদের মা-বাবার কষ্টগুলো আমরা বুঝতে শুরু করলাম। আসলে কত বেশি না কষ্ট করেছে আমাদের মা-বাবা আমাদের জন্য। আসলে এত কষ্টের মাঝেও আমরা আমাদের সেই সব সুখের কথা মনে করে একটু ভালো থাকতে পারবো।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
যতদিন যাবে অতীতের ঘটনাগুলো তত বেশি মনে পড়বে। আগে যেমন স্কুল থেকে এসেই সবাই একসাথে খেলাধুলা করতাম এখনকার ছেলেমেয়েদের মাঝে সেটা আর লক্ষ্য করা যায় না তবে আমিও সেটা খুব মিস করি। সে সময়ে কোন টেনশন ছিল না শুধু খাওয়া দাওয়া স্কুলে যাওয়া আর বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করা। কত সুন্দর রুটিন মাফিক চিন্তা মুক্ত জীবন ছিল।
সময়ের সাথে সাথে আমরা আমাদের জীবনের মধুর সময় গুলো পার করে ফেলেছি। এখনো শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে দাদা। সেই স্মৃতিগুলো মনে হলে আবারও সেই সময় গুলো ফিরে পেতে ইচ্ছে করে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবমুখী একটি পোস্ট করেছেন আপনি। আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। স্কুল থেকে এসে খাওয়া দাওয়া না করে খেলতে চলে যেতাম। এবং নানা স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখন কর্মের মাধ্যমে সারাদিনই ব্যস্ত থাকি। এখন মা-বাবার কষ্টগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তারা কতই না কষ্ট করেছে আমাদের জন্য। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট উপহার দিলেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।