শিশুদের আদর যত্ন করে বড় করে তুলুন।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ শিশুদের আদর যত্ন করে বড় করে তুলুন সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আজকে শিশুরা হলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের সব সময় সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। কেননা এই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি ঠিকঠাকভাবে সামনের দিকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ না করে এগিয়ে যায় তাহলে তারা কিন্তু আমাদের দেশকে কখনোই সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। আসলে শিক্ষা একটা জাতিকে নিচু স্তর থেকে একদম সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে দিতে পারে। আর এজন্য আজকের শিশুদের মধ্যে যদি আমরা সঠিক শিক্ষা প্রবেশ করিয়ে তাদেরকে সামনের দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের দেশও তাদের সাথে সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আসলে একটা শিশুর শৈশবকাল হল তার বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা অর্জনের সময়। এছাড়াও এই সময়ের শিশুরা অনেক বেশি কোমল হয়ে থাকে।
আসলে এই সময় যদি আপনি শিশুদের সাথে খারাপ আচরণ করেন তাহলে এসব শিশুদের উপর এই খারাপ আচরণ যে কতটা প্রভাব ফেলবে তা আপনি কখনো বুঝে উঠতে পারবেন না। আসলে আপনি শিশুর সাথে যে ধরনের আচরণ করবেন সেই ধরনের আচরণ আপনি ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে পেয়ে থাকবেন। কেননা একটা শিশু তার সেই কোমল মস্তিষ্কে যা দেখবে তাই শিখবে। এছাড়াও আমরা যদি সেই শিশুর সাথে ভালো আচরণ করি এবং তাকে সবসময় ভালোবাসি তাহলে কিন্তু সেই শিশু বড় হয়ে আমাদেরকে ভালবাসবে এবং আমাদের সব সময় যত্ন নেবে। আর আপনি যদি সব সময় কোন শিশুদের সাথে রাগান্বিত সুরে কথা বলেন এবং তাদের সাথে মোটেও ভালো ব্যবহার না করেন তাহলে কিন্তু এসব শিশুরা ভবিষ্যতে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে গড়তে পারবে না।
আসলে আমরা দেখতে পাই যে বিভিন্ন পরিবারে যেসব শিশুরা জন্মগ্রহণ করবে সেসব পরিবার থেকে একটি শিশু এক এক ধরনের আচরণ শিখে জীবনে বড় হয়। কোন পরিবারের শিশুদের সাথে কোন পরিবারের শিশুর কোন মিল আপনি কখনো খুঁজে পাবেন না। আসলে এর প্রধান কারণ হলো এক এক পরিবারের পরিবেশ সবসময় এক এক ধরনের হয়ে থাকে। ধরুন একটা শিশু কোন ধনী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেই ধনীর পরিবারের তার জীবনে কোন অভাব না থাকলেও পরিবারের লোকগুলো সেসব বাচ্চাগুলোকে তেমন একটা বেশি সময় দিতে পারে না। কেননা এই ধনী পরিবারের লোক সবাই তাদের কাজে সব সময় ব্যস্ত থাকে। আর এই ব্যস্ততার জন্য তারা তাদের সন্তানদের সাথে তেমন কোনো ভালো মুহূর্তের সময় কখনো কাটাতে পারে না।
যদি সন্তানদের সাথে ভালো কোন মুহূর্ত কাটানো না যায় তাহলে সেই সব সন্তানেরাও জীবনে বড় হয়ে তাদের মা-বাবাকে কখনো দেখাশোনা করে না। কিন্তু একটা জিনিস আপনি কখনো খেয়াল করে দেখেছেন যে গরিব ঘরে যদি কোন বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে তাহলে সেই বাচ্চাগুলোকে তার মা-বাবা অনেক বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করে। এছাড়াও তারপরও শৈশব কালটা তার মা-বাবা তাদের সঙ্গে কাটিয়ে দেয়। যদিও তারা কম শিক্ষায় শিক্ষিত তবুও তারা তাদের সন্তানদেরকে চায় জীবনে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং শিক্ষিত করে তোলার জন্য। আর এজন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে গরীবের সন্তানেরা জীবনে অনেক বেশি বড় হতে পারে এবং তারা সব সময় জীবনে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে অন্যের সামনে প্রকাশ করতে পারে।
আর এজন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করব যে এই বাচ্চাদের সাথে ভালো আছড় করা এবং তাদেরকে আমরা যা শিক্ষা দেব তারা ভবিষ্যৎ জীবনে সেই জিনিসটাকে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করবে। এছাড়াও আমরা সব সময় তাদেরকে ভালো পরিবেশের মধ্যে বড় করে তোলার চেষ্টা করব। কেননা তাদের যদি আমরা কখনো খারাপ পরিবেশে ফেলে দিই তাহলে তারা সেই পরিবেশ থেকে খারাপ জিনিস গুলো শিখে শেষ জিনিসগুলোকে পরবর্তী জীবনে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করবে। আর আজকের শিশুকে যদি আপনি ভালো আচরণ শেখাতে পারেন তাহলে তারা জীবনে অন্য মানুষদের সাথেও ভাল আচরণ করবে এবং সবার সাথে মিলেমিশে চলার চেষ্টা করবে। আর এজন্য আমরা সব সময় শিশুদের প্রতি অনেক বেশী যত্নশীল হবো এবং তাদের সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করব।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আমরা জানি শিশুরা কাদা মাটির মতো, ছোটবেলা থেকে যেভাবে গড়ে তোলা হবে সেভাবেই বড় হয়ে উঠবে। এজন্য আমরা ছোটবেলা থেকে শিশুদের প্রতি সদয় হব তাদের প্রতি কখনো রাগান্বিত হয়ে বা উচ্চস্বরে কথা বলবো না। তবে শাসন অবশ্যই করতে হবে সেটা হচ্ছে অবশ্যই লিমিটের মধ্যে থেকে। যাতে করে অতিরিক্ত শাসনের কারণে তারা বিপথগামী না হয়ে যায়। আর এই সময়টা এসে অবশ্যই শিশুদের প্রতি আমাদের অতিরিক্ত খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এই সময়টা শিশুদের বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
শিশুরা আসলে স্প্রিং এর মতো হয়ে থাকে। আপনি তাদের যতজোরে চাপ দিবেন তারা ঠিক তার দ্বিগুণ জোরে তার প্রতিক্রিয়া দেখাবে। এটা অনেকেই জানে না। আর বাচ্চাদের সাথে কঠোর আচরণ করে। কিন্তু এইটা কখনোই করা যাবে না। একটা বাচ্চা কে বড় করতে হলে সুস্থ্য স্বাভাবিক পরিবেশ দিতে হবে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রতিটি পরিবারের পরিবেশ আলাদা থাকে। এজন্যইতো প্রতিটি বাচ্চাও আলাদা। একেক পরিবারে একেক রকম ভাবে বেড়ে ওঠে। তাছাড়া ধনীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা দেখা যায় তারা বাচ্চাদেরকে সময় দেয় না। কিন্তু তাদের চাওয়াগুলো না চাইতেই পূরণ করে। তাইতো তাদের সাথে বাচ্চাদের একটা দূরত্ব রয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।