অনু-কবিতা :- ৬৫
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা আর একটি অনু-কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আসলে আমাদের পৃথিবীতে আমরা যে খাবার খেয়ে থাকি সেই খাবারের মর্ম কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝিনা। বাংলার কৃষকেরা সারা বছর ঘুরে বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে গিয়ে সোনার ফসল ফলায় তারা। কিন্তু ভাগ্যের কি নিয়তি দেখো, যারা আমাদের জন্য সারা বছর মাঠে ফসল ফলায় তারাই কিনা সারা বছর দুবেলা দু মুঠো পেট ভরে খেতে পায় না। আসলে এটা ভাবলে সত্যিই কষ্ট লাগে। অর্থাৎ যে লোক আমাদের জন্য ঘর বানায় তাদেরই নিজেদের কোন ঘর নেই। সত্যিই এমনটা জানতে পারলে আমাদের সবারই মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। আসলেই কৃষক সারা বছর যেভাবে পরিশ্রম করে তাতে করে মনে হয় যে এই কৃষকরা কিন্তু বাংলার শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি হওয়া উচিত। কিন্তু কৃষকেরা সারাজীবন কষ্টের ভিতর দিয়ে তাদের দিন যাপন করে।
এই পৃথিবীতে আমার কাছে মনে হয় যে এই কৃষকরা সবথেকে বেশি পরিশ্রম করে। কারণ অনেকের কাছে মাঠে ফসল ফলানোর ব্যাপারটা সহজ হলেও বাস্তব জীবনে কিন্তু অতটা সহজ নয়। কারণ আপনাকে যদি মাঠে ফসল ফলাতে হয় তাহলে আপনার ঘুমকে ত্যাগ করে দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আর আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম না করেন তাহলে আপনার হয়তোবা ফসল হবে কিন্তু সেই ফসল কখনোই ভালো হবে না। আর এজন্য কৃষকেরা ঝড়-বৃষ্টিতে ও শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। কারণ অনেক সুখে রয়েছেন যাদের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিবছর তাদের সোনার ফসল নষ্ট হয়ে যায়। আরে সোনার ফসল একবার নষ্ট হয়ে গেলে তাদের পুরোটা বছর খুব দারিদ্রতার ভিতরে দিন কাটাতে হয়। তখন তাদের দুঃখের কোন সীমা থাকে না।
আসলে একটা কৃষক তার সারা বছরের জীবনযাত্রা নির্ভর করে তার ফসলের উপর। তার ফসল যদি ভালো হয় হয়তোবা তার পুরোটা বছর একটু ভালো সুখে শান্তিতে দিন কাটাতে পারবে। কিন্তু তার ফসল যদি কোন এক বছর খারাপ হয়ে যায় তাহলে তার পরিবারসহ তাকে সারাটা বছর অনাহারে দিন কাটাতে হবে। এছাড়াও বাংলার কৃষকেরা শহরের অর্থাৎ দেশের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে সবসময় বঞ্চিত থাকে। তারা শহরের আধুনিক জীবনযাত্রা থেকে সবসময় পিছিয়ে থাকে অনেকটা। আর এর ফলে তারা আধুনিক সমাজ থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে বাংলার কৃষকেরা একটু ভালোভাবে তাদের দিন যাপন করতে পারছে। এছাড়াও এসব কৃষকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন প্রথা চালু করেছে সরকার। এছাড়াও এসব কৃষকদের প্রতি বছর সরকার থেকে বিভিন্ন ধরনের ফসলের বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
✠ ০১ ✠
সোনার ফসল ফলায় যারা,
এই গ্রাম বাংলার সবুজ মাঠে।
দিনরাত পরিশ্রম করেও তাদের,
দুই বেলা আহার না জোটে।
সারা বছর পরিশ্রম করে তারা,
আমাদের জন্য অন্ন যোগায়।
তবুও তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন,
তারা কখনো দেখতে না পায়।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা,
সুখের মুখ কখনো দেখতে না পায়।
বিধাতার কি নিয়ম দেখো,
কষ্ট তাদের সারাটা দিন যায়।
✠ ০২ ✠
খাবারের মর্ম আমরা না বুঝলেও,
কৃষকেরা বোঝে খাবারের মূল্য কত।
এই খাবারের জন্য তারা,
তাদের জীবনে শান্তি ঘুম না আসে।
দেশের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে,
বাংলার কৃষকেরা বঞ্চিত হয়।
এমনটা কেন হলো রে ভাই,
পরিশ্রমই কৃষকের শান্তি না পায়।
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তারা,
ফসল ফলায় সারাবছর জুড়ে।
হয়তো তাদের ভাগ্যের টাকায় একদিন,
যেতে পারো হয়তোবা ঘুরে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
কথায় বলে পেটে যদি ক্ষুধা না থাকে তাহলে কোন কিছুই স্বাদ লাগেনা। কৃষকেরা সারাদিন পরিশ্রম করে যা পায় সেটা খেতে তাদের কাছে ভালো লাগে। যাইহোক আপনি আজকে খুবই চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার এই অনু কবিতাগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আজকের কবিতা সুন্দর করে লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।