অনু-কবিতা :- ৯২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা আর একটি অনু-কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আসলে এই পৃথিবীতে আমরা যতদিন কাজকর্ম করতে পারব ততদিন আমাদের সবাই ভালবাসবে। কেননা এই পৃথিবীতে আমরা হলাম একটা টাকার মেশিন। যতদিন আমরা টাকা উপার্জন করতে পারব ততদিন আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবো। আসলে সব মেশিন কিন্তু সারা জীবন ঠিকঠাক ভাবে চলে না। আর আমাদের এই টাকা ইনকামের মেশিনটা যদি একবার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আমাদেরকে আমাদের আত্মীয়-স্বজন সবাই ছুড়ে ফেলে দেবেন। কারণ আমরা তখন একটা জড় বস্তুর মত হয়ে যাব। আমাদের দিয়ে তখন আর এই পৃথিবীতে কোন কাজ হবে না। এছাড়াও আমরা সংসারের উপর বোঝা হয়ে থাকবো সব সময়। আসলে এইসব কথাগুলো যখন ভাবা হয় তখন আমাদের মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। তাহলে এই পৃথিবীতে যত সম্পর্ক রয়েছে সবকিছুই কি চাহিদা মেটানোর উপর নির্ভর করে। আমার তো মনে হয় এই কথাটি একদম সম্পূর্ণ সঠিক। কেননা আমরা চাহিদা পূরণ করতে পারলে আমরা সব সময় ভালো থাকবো।
আর আমরা যখন আমাদের প্রিয় মানুষগুলোর চাহিদা পূরণ করতে পারব না তখন আমরা আস্তে আস্তে করে তাদের জীবন থেকে দূরে সরে যেতে থাকবো। আসলে এই পৃথিবীতে মনে হয় সবাই স্বার্থপর। কারণ স্বার্থ ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে কখনোই ভালোবাসে না। আপনি যেখানে স্বার্থ দেখবেন সেখানে আপনি যাবেন। কিন্তু যেখানে আপনার স্বার্থ নেই সেখানে কিন্তু আপনি কখনোই যাবেন না। আসলে এই স্বার্থপর পৃথিবীতে এমন এমন কিছু মানুষ আছে যারা কখনো স্বার্থের জন্য আপনার পিছনে ঘোরে না। আসলে এই সব মানুষগুলো আমাদের জীবনে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে। কেননা আমরা যখন কোন বিপদে পড়ি তখন কিন্তু এই মানুষগুলো আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায় এবং আমাদের মনবলকে বৃদ্ধি করে। আসলে এই সব প্রিয় মানুষগুলো যদি আমাদের পাশে না থাকতো তাহলে আমরা আমাদের বিপদের সময় ভেঙে পড়তাম এবং জীবনে কখনো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারতাম না।
আসলে এই পৃথিবীতে সব কিছুই যেন একটা অভিনয়ের ঘর মনে হয়। যেখানে আমরা সবাই সবার সাথে অভিনয় করছি এবং একে অন্যের চাহিদা পূরণ করার জন্য সবসময় ছুটে বেড়াচ্ছে। আসলে আমাদের এই সব কিছুই শেষ হবে আমাদের শেষ জীবনে যখন আমাদের মৃত্যু হবে। কেননা আমাদের এই মৃত্যুর আগে পর্যন্ত যদি আমরা চারিদিকে ছুটে কাজকর্ম করে অর্থ উপার্জন করতে পারি তাহলে আমাদের কদর সবাই করবে। আসলে এর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আমাদের শরীর যতই খারাপ হোক না কেন আমরা সবসময় কাজ করে যাব। আর এই কাজ করতে করতে আমাদের যেন মৃত্যু হয় এটাই আমরা আশা করি। কেননা আমরা যদি একবার জড় বস্তুর মত ঘরে পড়ে থাকি তাহলে সবাই আমাদের অবহেলা করবে এবং এই অবহেলার মাঝেই আমাদের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হবে।
✠ ০১ ✠
জীবনে যখন আমরা থমকে যাই,
তখন চিনতে পারি এই পৃথিবীকে।
কে জীবনে ছিল আপন আমাদের,
আর কে করিল আমাদের পর।
যতদিন আমরা পরিশ্রম করতে পারব,
ততদিন সবাই আমাদের ভালবাসবে।
পরিশ্রম না করলে আত্মীয় পরিজন,
সবাই আমাদেরকে ঘৃণা করবে।
এ জীবনে শুধু আমাদেরই প্রয়োজন,
মনে হয় যেন আমরা টাকার মেশিন।
যেদিন মেশিনটা খারাপ হয়ে যাবে,
সেদিন সবাই আমাদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
✠ ০২ ✠
সবার চাহিদা মেটাতে পারলে আমরা,
তাহলে সংসারে সুখ থাকবে সব সময়।
চাহিদার একটু ঘাটতি পড়ে গেলে,
তখন পাবো আমরা তাদের আসল পরিচয়।
নিজেদের জন্য এ জীবনে কিছুই,
করার সময় তো আর পাইনা।
নিজেদের জন্য ভাবতে গেলেই,
সংসারকে দেখা আর হয় না।
তাইতো আশাগুলো সব দিয়ে জলাঞ্জলি,
প্রতিদিন কর্মের পিছনে ছুটে চলি।
এভাবেই হয়তোবা জীবনের শেষ হবে,
চলে গেলে আমাদের চিহ্ন নাহি রবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে একটি অণু কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা অনু কবিতাটি আপনি দুইটি খন্ডে বিভক্ত করেছেন, কবিতাটি পড়তে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন দাদা আপনি আসলে জীবনে মনে হয় মানুষ শুধুই টাকার মেশিন। এ জীবনে নিজেদের নিয়ে ভাবার কোন সুযোগ নেই সব সময় পরিবারকে নিয়েই ভাবতে হয়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
আমি একটা বিষয় খুব লক্ষ্য করে দেখি ভাইয়া আপনি আমাদের মাঝে বেশ সচেতন মূলক কবিতা লিখে শেয়ার করে থাকেন। যতগুলো কবিতা শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটা কবিতার মধ্যে কোন না কোন শিক্ষনীয় বা কোনো সচেতনমূলক চিন্তা ধারা খুঁজে পেয়েছি। এ সমস্ত কবিতাগুলো সত্যি বেশ ভালো লাগে আমার।
যখন আমাদের কোন আয় থাকবে না তখন ক্রমেই আমাদের গুরুত্ব কমে যাবে। কথাটা কিন্তু একেবারে ঠিক বলেছেন দাদা। এই টা খুবই জটিল একটা বিষয়। দুঃসময়ে আমাদের কাছের মানুষও আমাদের দূরে ঠেলে দিতে ভাবে না। আমরা যতদিন পরিশ্রম করতে পারব আমাদের গুরুত্ব ততদিনই থাকবে। চমৎকার লিখেছেন কবিতা টা দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।।