বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৬৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে অনেক সময় ধরে আমরা মাছ ধরতে ধরতে একদম ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কেননা এরকম মাছ ধরার অভিজ্ঞতা আমার এর আগে কখনো হয়নি। তাইতো তাই শেষের দিকে আমি আর পেরে উঠতে পারছিলাম না। তাই আমি মাছ ধরা বন্ধ করে উপরে এসে বসে রইলাম এবং ভাই এসে মাছ ধরতে লাগলো। আসলে যেহেতু ও অনেকটা দক্ষ ছিল তাই সে খুব দ্রুত জল সেচ দিয়ে ফেলল। যাইহোক আমি উপরে বসে বসে রেস্ট নিলাম এবং ওর মাছ ধরা দেখতে লাগলাম। আসলে হাঁড়িটি আমার কাছে ছিল এবং ও মাছ ঝুড়িতে করে ধুয়ে আমার কাছে দিলে আমি সেই ঝুড়ি থেকে মাছ হাঁড়ির ভিতরে রাখতে লাগলাম।
আসলে এক পর্যায়ে আমাদের মাছধরা শেষ হয়ে গেল এবং আমরা বাড়ির দিকে রওনা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। যেহেতু আমাদের গায়ে এবং হাতে-পায়ে কাঁদা লেগেছিল তাই আমরা আমাদের হাত-পা ধুয়ে নেবার জন্য পাশের একটি ছোট জলাশয় গিয়ে হাত পা ধুতে শুরু করলাম। আসলে আমাদের সঙ্গে আরো অনেক ধরনের জিনিসপত্র ছিল তাই ভাই সেইগুলো ধুয়ে নিচ্ছিল। যাই হোক আমি আস্তে করে উপরে রাস্তায় চলে এলাম এবং ওর একটু দেরি হচ্ছে দেখে কি করব ভেবে উঠতে পারছিলাম না। যেহেতু ও আমাকে এত সাহায্য করেছে তাই আমি ওকে রেখে বাড়িতে যেতে চাচ্ছিলাম না।
যাইহোক তখন আমি একটি পাশে একটা গাছের পাতা দেখতে পেলাম। আসলে এই পাতাটি দেখে আমার ছোটবেলার একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আসলে ছোটবেলায় যখন রাস্তার পাশে এই ধরনের পাতা দেখতাম তখন ঐ পাতা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতাম। তাইতো আমি আরো লোভ সামলাতে না পেরে দ্রুত ওই পাতার কাছে চলে গেলাম এবং আমার কারুকার্য করার শুরু করে দিলাম। যদিও বহুদিন আগে এই ধরনের কাজ আমি করেছি তাই জিনিসটা তেমন আমার একটা বেশি মনে ছিল না। আর এজন্য আমি প্রথমে মনে করতে লাগলাম যে কিভাবে আমি এই কারুকার্যটি তৈরি করেছিলাম। এরপর আস্তে আস্তে যখন করতে শুরু করলাম তখন আমার সবকিছু মনে পড়ে গেল। আপনারা ছবিতে হয়তোবা দেখতে পাচ্ছেন যে কি করে আমি গাছের পাতাটি সুন্দর একটা ডিজাইনের পরিণত করেছি।
তারপরও দেখলাম যে ভাইয়ের আসতে অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে তাই আমি কি করবো বুঝে উঠতে না পেরে আস্তে আস্তে এদিক ওদিকে হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম। আসলে পায়ে যে কাদা লেগেছিল সেই কাদা শুকিয়ে যেতে পায়ে টান ধরছিল। অর্থাৎ পায়ের কাদা শুকিয়ে গেলে পায়ের যে পশম থাকে সেসব পশম গুলো মনে হচ্ছে যেন ছিড়ে উঠে আসবে। তাই আমি আবার পুনরায় অন্য জায়গায় গিয়ে ভালো করে পায়ের কাদা ধুয়ে নিলাম। আসলে এভাবে তো আর ভালোভাবে ধোয়া যায় না তাই যতটুকু সম্ভব ততটুকু আমি ধুয়ে নিলাম।
এর কিছুক্ষণ পর আমি দেখলাম যে দূর থেকে ভাই সব জিনিসগুলো ধুয়ে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। যদিও আমি কাজের জন্য ব্যাগ সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলাম অর্থাৎ আমার ব্যাগের ভিতর ল্যাপটপ ছিল কিন্তু সেদিন আর কোন কাজ হলো না। অর্থাৎ আমার অনেক কাজ এখনো পেন্ডিং রয়ে গেছে। তাই আমি আর দেরি না করে যেহেতু প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করলে কাজের চাপ অনেকটা কমে যায় তাই আমি দ্রুত বাড়ির দিকে রওনা দিলাম ভাইয়ের সঙ্গে।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে মাটি রাস্তায় এক হাতে জুতো এবং অন্য হাতে ঝুড়ি নিয়ে আমি ল্যাপটপ কাঁধে করে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। আসলে এই অভিজ্ঞতা আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছিল। কেননা এভাবে কাজ করার জন্য বাইরে বের হওয়া এবং কাজ না করে মাছ ধরে বাড়িতে নিয়ে আসা সত্যিই একটা অবাক করা বিষয়। যাইহোক সেদিন অনেক বেশি মজা করেছিলাম এবং এই মজার কোন তুলনা হবে না।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে এসে আপনি এত সুন্দর ইনজয় করেছেন তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি দাদা। আপনি একদম গ্রাম নগর বন্দর সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং সেই বিষয়ে আমাদের মাঝে একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন। আজকের মাছ ধরার বিষয়টা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আপনি যে কলকাতা থেকে এসে বাংলাদেশের একটা গ্রামে কাঁদার মধ্যে মাছ ধরতে নেমে গিয়েছেন এটা সত্যি আশ্চর্যের একটা বিষয় ছিল। যদিও বেশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেননি। সেটা কোন ব্যাপার না। পায়ে কাঁদা হাতে ঝুড়ি কাধে ব্যাগ আপনাকে কিন্তু বেশ লাগছে দাদা। ধন্যবাদ বাংলাদেশ কাটানো মূহুর্ত টা আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আপনার কাজ করার অভ্যাস নেই বিধায় আপনি অনেকটা হাঁপিয়ে গিয়েছিলেন। আসলে পানি সেচ দিয়ে মাছ ধরা খুবই কষ্টকর একটি বিষয়। যাইহোক, আপনি অবশেষে বেশ কিছু মাছ ধরেছেন। আসলে এই মাছ গুলো অনেক দামি মাছ। বাংলাদেশের মধ্যে এসে মাছ ধরেছেন, এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।