বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ২৫
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তোর ড্রাইভার দাদার সাথে গল্প করতে করতে আমিও একটু ক্লান্ত হয়ে গেলাম। কারণ আমরা অনেক ভোরে রওনা দিয়েছি। আর রাতে ঠিকঠাকভাবে ঘুমাতে পারিনি। তাইতো যেতে যেতে আমারও একটু ঘুম পেয়ে গেল। কিন্তু গাড়িতে বসে ঘুমালে আমার শরীর খুব খারাপ লাগে। তাই চেষ্টা করলাম না ঘুমানোর জন্য। যাইহোক গাড়ি মিউজিক স্পিকার সাউন্ড আস্তে করে গান শুনতে লাগলাম এবং মাঝে মাঝে ড্রাইভার তাদের সাথে গল্প করতে লাগলাম।
একটু পরে আমরা শাহবাজপুর সেতুর কাছে পৌঁছে গেলাম এবং ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলাম যে আমাদের আরো কত পথ রয়েছে যেতে। উনি বললেন আমাদের এখনো অনেকটা পথ বাকি রয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পর আমরা লোহর নদীর ব্রিজ পার হলাম। আসলে নদী গুলো দিন দিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ছোট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নদীর গতি মুখ পরিবর্তন হচ্ছে এবং দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসব নদীর পাশে যেসব ইটের ভাটা শিল্প গড়ে উঠেছে। আসলে বহু প্রাচীন এইসব নদীগুলো ছোট হতে হতে একদম খালে রূপান্তরিত হয়েছে।
যেহেতু আমাদের অনেকটা পথ অতিক্রম করেছি এবং সকাল থেকে কিছুই তেমন খাওয়া হয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম রোডের পাশে যে কোন একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারটা সেরে নেব। যাইহোক যেতে যেতে আমরা হোটেল হাইওয়েতে প্রবেশ করলাম।
যেহেতু ড্রাইভার দাদার কথাতে আমরা এই হোটেলে প্রবেশ করেছি। ড্রাইভার দাদার বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাইতো তিনি আমাদের এই হোটেলে নিয়ে আসলেন। এরপর আমরা হোটেলে ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে নিলাম।
এরপর হাত মুখ ধুয়ে আমরা প্রথমে একটা কফি অর্ডার করলাম। যাইহোক কফিটা তেমন একটা বেশি ভালো ছিল না। কারণ কফিতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল।
এরপর খাবারের মেনু নিয়ে আসলেন রেস্টুরেন্টের একজন লোক। আসলে আমি অর্ডার করলাম খিচুড়ি আর কষা মাংস। খিচুড়ি এক কথা অসাধারণ ছিল। অপূর্ব এক ধরনের স্বাদ ছিল এই খিচুড়িতে।
এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা একটু বিশ্রাম করে আবার পুনরায় বেরিয়ে পড়লাম। তখন আবহাওয়াটা একটু পরিষ্কার হয়েছিল। চারিদিকে সুন্দর রোদ উঠেছিল।
যেহেতু খাবার পর সবাইকে একটু সচল লাগছিল। এরপর আমি দেখতে পেলাম যে সিলেট আর মাত্র ১১৬ কিলোমিটার রয়েছে। যাইহোক সবাই মিলে গাড়িতে বসে আনন্দ করতে লাগলাম।
বাংলাদেশের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের স্তম্ভ দেখতে পেয়েছিলাম। যাইহোক কিছুক্ষণ পর আমরা মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে প্রবেশ করলাম।
বাংলাদেশের রাস্তার দুপাশে সুন্দর গাছের মনোরম পরিবেশ দেখে আমার খুব ভালো লাগছিল। গাছের পরিচর্যা বাংলাদেশের সরকার খুব সুন্দরভাবেই পরিচালনা করেন। আসলে রাস্তার দু'পাশের গাছের ছায়ায় অনেকে বসে বসে বিশ্রাম করেন।
যেহেতু আমরা সিলেটের কাছাকাছি চলে এসেছি। তাই আমরা রাস্তার দুপাশে ছোট ছোট পাহাড় দেখতে পেলাম এবং কিছুতে যেতে না যেতেই আমরা একটি স্টিলের ব্রিজ পার হলাম।
এরপরে আমরা শেরপুর সেতু টোল প্লাজায় টোল দিয়ে সিলেটে প্রবেশ করলাম। যাইহোক এরপরে আমার শরীরটা খুব দুর্বল অনুভব করতে লাগলো। তাই আমি একটু গাড়িতে বিশ্রাম করতে লাগলাম।
আমরা প্রায় বিকালের দিকে হোটেলে এসে পৌঁছলাম। যাইহোক রুমে ঢুকে প্রথমে আমি রুমের একটি ছবি তুলে নিলাম। আমার এক সম্পর্কের আত্মীয় আমাদের আসার আগে তারা এই হোটেলটি আমাদের জন্য বুক করে রেখেছিলেন।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 09/11/2022
হোটেলের সব থেকে ভালো লেগেছিল হোটেলের ব্যালকনিটি। কারণ রুমের সাথে এই ব্যালকনিটি থাকায় বাইরের ঠান্ডা হওয়া রুমে প্রবেশ করতে সহজ হচ্ছিল। মাঝে মাঝে আমরা এই ব্যালকনিতে বসে গল্প করেছিলাম।
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
সত্যি দাদা সময়ের সাথে সাথে নদীর সৌন্দর্য অনেকটা কমে যাচ্ছে। হয়তো সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমনটা হচ্ছে। আর ভুনা খিচুড়ি দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে দাদা। যাই হোক আপনার জার্নির অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো।
ভাইয়া আপনার সিলেট যাওয়ার ভ্রমন কাহিনী পড়ে অনেক ভাল লাগলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির নিচে বর্ণনা দেওয়ার কারনে খুব ভাল হয়েছে। সিলেট সত্যিই খুব সুন্দর জায়গা। আশা করি খুব আনন্দ করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।