গঙ্গার পাড়ে কাটানো কিছুটা সময়। পর্ব :- ০১

in আমার বাংলা ব্লগlast year

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আমার গিন্নির সাথে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।


IMG_20230604_162244.jpg

IMG_20230604_162203.jpg


তো কিছুদিন যাবত গরমের পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে দিনের বেলা বাইরে বেরোনো একদম মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর দুপুরে স্নান করার সময় মনে হচ্ছে যে গরম জলের ভিতর আমাকে সেদ্ধ করা হচ্ছে। যদিও গরম মসলা এবং নুন বাদেই। গরমে বেশি স্নান করার উপায় নেই। কারণ ট্যাংকির জল এতই গরম যে কোনমতে শরীরটা ধুয়ে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে। আর গরমে মন মেজাজ সবসময় খারাপই থাকছে।



IMG_20230604_164453.jpg



তো ছুটির দিনে কি করব কি করব তাই ভাবছিলাম। পাশে গিন্নি থাকতে বেশী ভাবনার আর প্রয়োজনই হয় না। কারণ তার মাথায় থাকে যে কোথায় ঘুরতে যাব। যাইহোক গিন্নির অনুরোধে বিকালের দিকে একটু ঘুরতে বের হলাম। আমার তো গরমে একদমই বের হতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। এদিকে সকাল বেলা চায়ের ফ্লাক্সটি আমার গিন্নির হাত থেকে পড়ে ভেঙে গিয়েছিল। তাই একই সাথে ভাবলাম বাইরে যেহেতু বের হচ্ছি সেহেতু চায়ের ফ্লাক্সটি ও কিনে নিয়ে আসব।

IMG_20230604_165126.jpg

IMG_20230604_164846.jpg



IMG_20230604_164953.jpg



যদিও গরমের ভিতর আমার বাইরে বের হতে একদম ইচ্ছা করছিল না। তো কি করা যাবে না গেলে তো আবার গিন্নি রেগে একদম ফায়ার হয়ে যাবে। যাইহোক দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে একটু রেস্ট নিয়ে আমরা ঘুরতে বের হলাম। আসলে ঘোরার আগে আমাদের কোন প্ল্যান থাকে না। বেরিয়ে যেদিকে মন চায় সেদিকেই চলে যাই। তো যেহেতু গরম সেহেতু আমরা গঙ্গার পাড়ের বসে থাকার প্লান করলাম।



IMG_20230604_164958.jpg



প্রথমে আমরা ফ্লাক্স কেনার জন্য দোকানে গেলাম। কারণ দুপুরের পর পর দোকানগুলো একটু ফাঁকা থাকে। যাই হোক দোকান খুঁজতে খুঁজতে আমরা অনেকটা সামনে এগিয়ে গেলাম। দোকান দেখতে না পেয়ে একজন লোককে জিজ্ঞাসা করলাম দাদা এখানে চায়ের ফ্লাক্স এর দোকান কোথায় আছে। উনি আমাকে বললেন যে আপনারা দোকানটিকে কিছুদূর আগে ফেলে এসেছেন। যাই হোক আমরা আবার পিছনের দিকে ব্যাক করে দোকানটিতে গেলাম।

IMG_20230604_165005.jpg



IMG_20230604_165208.jpg

তো আমার গিন্নির স্বভাব আছে কোন কিছু কেনার আগে তা নখদর্পণ করে দেখবে। যাইহোক দোকানের অনেকগুলো ফ্লাক্স দেখার পর তার মধ্য থেকে একটি ফ্লাক্স সে বেছে নিল। যাইহোক ফ্লাক্সের দাম দিয়ে আমরা গঙ্গার পাড়ের দিকে এগিয়ে গেলাম। আসলে এই গঙ্গার ঘাটতি আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে। যেহেতু ওখানে বাজারও আছে সে তো আমরা ওই পাড়টিতে গেলাম।

IMG_20230604_165045.jpg

সঙ্গে আমরা কিন্তু দুটো বোতল নিয়ে এসেছিলাম। কারন আমরা বাড়ির জন্য এবং বৌদির জন্য গঙ্গার জল নিয়ে যাব। আমাদের হিন্দু ধর্মে গঙ্গার জলকে আমরা একটা পবিত্র জল হিসেবে গণ্য করি। অর্থাৎ কোন শুভ কাজে যাওয়ার আগে আমরা গঙ্গার জল গায়ে দিয়ে যাই।

IMG_20230604_165056.jpg



যাইহোক গঙ্গার পাড়ে কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম। কয়েকজন লোক গঙ্গার জলের স্নান করছিল। তাদের একটু অনুরোধ করলাম যে দাদা আমাদের বোতল দুটিতে একটু জল ভরে এনে দাও না। যাইহোক তারা আমাদের বোতল দুটিতে জল ভরে দিলেন। এখানে লঞ্চের সাহায্যে গঙ্গা পারাপারও করা হয়। তাই এই ঘাটের পাশে একটা লঞ্চ ঘাটও রয়েছে।



IMG_20230604_165059.jpg

কিছু ছবি তুলে আমরা আবার আমাদের বাড়ির পাশের যে গঙ্গার ঘাটতি রয়েছে সেখানে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। আসলে আমি বাইক নিয়ে উপরে আগে চলে এসেছিলাম। আমার পিছু পিছু আমার গিন্নি হাঁটতে হাঁটতে উপরে চলে এলো। এসে দেখলাম একজন ভদ্রলো মাটি দিয়ে কিছু জিনিস তৈরি করে বিক্রির জন্য বসে আছেন। আসলে হাতের তৈরির জিনিসের মূল্য অনেক বেশি।

IMG_20230604_165350.jpg



IMG_20230604_165405.jpg

তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।


সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।



11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Sort:  
 last year 

গঙ্গার পাড়ে খুব চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে উপভোগ করেছেন।গঙ্গার পাড়ে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আসলে সময় পেলেই আমি গঙ্গার পড়ে চলে যাই। কেন জানিনা গঙ্গার পাড় আমার অনেক ভালো লাগে।

 last year 

আপনার গিন্নির হাত থেকে চায়ের ফ্লাক্সটি পরে ভেঙে গেছে মনে হয় ভালোই হয়েছে। কারণ দুইজন ঘুরতে বের হতে পেরেছেন। আসলে প্রিয় মানুষের সাথে ঘুরতে গেলে মজাই আলাদা। আর গঙ্গার ধারে গিয়ে ঘুরতে গেলেন। আপনাদের অনেক পোষ্টের মধ্যে দেখলাম গঙ্গার ধার দেখতে অনেক চমৎকার। যাক লোক দুটি মনে হয় ভাল ছিল তারা আপনাদেরকে দুই বোতল গঙ্গার জল দিলেন সাগর থেকে। সত্যি বলতে আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালই লাগলো।

 last year 

কিন্তু আপু টাকাগুলো আমার পকেট থেকেই কিন্তু বের হয়েছে। আর কোথাও ঘুরতে গেলে টাকা খরচ হবে না এটা মোটেও হবার নয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 55789.30
ETH 2345.53
USDT 1.00
SBD 2.31