এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -৪৮
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে শীতকালীন সময়টা হল পাখির ফটোগ্রাফির জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময়। কারণ এই শীতকালীন সময়ে পাখিরা একদম গাছের ডালের উপরে চুপচাপ বসে থাকে। যদিও দুপুরে যখন রোদ ওঠে তখন তারা একটু উড়ে বেরিয়ে খাবার খেয়ে আবার পুনরায় চলে এসে বিশ্রাম নেয়। আসলে এই শীতকালীন সময়ে অতিথি পাখিদের আগমন সবথেকে বেশি ঘটে।
এছাড়াও আমাদের এইসব এলাকাতে প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আসলে বক কিন্তু একটি কমন পাখি। যে পাখিটি আমরা প্রায় সারা বছরই দেখতে পাই। আসলে এই সময়ে তারা গাছের একদম ডালের মাথায় বাসা বেঁধে সেখানে ডিম পাড়ানোর প্রস্তুতি নেয়। এছাড়াও কিছুদিন পর যখন ওই ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় তখন ওই বক দূর থেকে খাবার সংগ্রহ করে তাদের বাচ্চাদের সেই খাবার দেয়।
এছাড়াও এই সময়ে যখন জলের উচ্চতা কমে যায় অর্থাৎ জমি যখন চাষের উপযোগী হয়ে যায় তখন জমির উপরে প্রায় এক বিঘাতের মতো জল থাকে। অল্প জলে পাখিরা স্বাচ্ছন্দে মাছ শিকার করে তাদের পেট ভরে। আসলে এই সময়ে মাছ শিকার করাটাই সব পাখিদের জন্য খুব একটা ভালো সময়। কারণ তখন তাদের গভীর জলের মাছ শিকার করতে হয় না। তাইতো এই কুচে বকটি এই অল্প জলের উপর দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে এবং ছোট ছোট মাছ ধরে খাচ্ছিল।
এছাড়াও এই সময়ে বিভিন্ন নদী-নালা, পুকুরের জলও অনেকটা কমে যায়। আসলে যে সব বড় বড় পুকুর রয়েছে সেখানে জলের পরিমাণ অনেক কমে যায়। তাই এসব জলাধারের আশেপাশে আমরা বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখতে পাই। সব সময় এইসব জলাশয়ের উপর থেকে পাখিরা উড়ে বেড়ায় এবং সুযোগ পেলে মাছ শিকার করে খায়।
আসলে এই সময়টি হল চাষবাসের জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময়। একদিকে যেমন মাঠের জলের পরিমাণ কমে যায়। তেমনি অন্যদিকে সরিষা লাগানোর জন্য মানুষ তাদের চাষের ভূমিতে সরিষার বীজ বপন করে দেয়। আসলে এই সময়টাতে কিন্তু সরিষা অনেকটা বড় হয়ে যায় এবং সরিষার হলুদ ফুলে সারা মাঠ যেন হলুদে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
এই মাঠের মাঝখান দিয়ে যখন রাস্তা দিয়ে কোন একজন কৃষক সারাদিন কাজকর্ম করে বাড়ির দিকে ফিরতে শুরু করে তখন সেই দৃশ্যকে সত্যিই এক অসাধারণ দৃশ্য মনে হয় আমার কাছে। যদিও এসব কৃষক লোকেরা খুব সকালে এসে মাঠে কাজ করে এবং তাদের খাবার দাবারও কিন্তু তারা মাঠে খায় এবং বেলা শেষে যখন তারা পুনরায় বাড়ির দিকে রওনা হয় তখন চারিদিকের আলোর পরিমান অনেকটা কমে যায়।
এছাড়াও আরেকটা জিনিস হল এই সময় মানুষ ধানের বীজ বপন করে ধানের চারা গাছ তৈরির জন্য। যদিও তাদেরকে এই জমি প্রথমে পরিষ্কার করে নিতে হয়। কারণ এই জমিতে যখন অতিরিক্ত জল ছিল তখন এই জমির উপরে বিভিন্ন ধরনের আগাছা জমে ছিল। জল কমার সাথে সাথে যখন আগাছাগুলো মাটির সাথে অর্থাৎ মাটির উপরে পড়ে থাকে তখন হাত দিয়ে কৃষকেরা আগাছাকে সরিয়ে সেখানে ধানের বীজ বপন করে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Nikon
ক্যামেরা মডেল : Nikon 5200D
ক্যামেরা লেংথ : 50 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বোঝা যায় আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। আজকের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি গ্রামীণ পরিবেশের অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার প্রতিটি ফটো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, শীতকালীন সময়ে ফটোগ্রাফি করার জন্য একদম উপযুক্ত সময়। বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখি দেখতে পাওয়া যায় । নদীতে পানি কম থাকে বক মাছ শিকার করে সেই দৃশ্যগুলো ক্যামেরাও বন্দি করলে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। তারই কিছু দৃষ্টান্ত আপনার আজকের ফটোগ্রাফির মধ্যে তুলে ধরলেন খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।
শীতকালে প্রকৃতি ভিন্ন রুপ ধারন করে।এ সময় অতিথি পাখির আগমন হয়। খেতে ধানের বীচ বপন করা। আর আজ আপনি প্রকৃতির সেই সকল রপ ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।বেশ সুন্দর লাগছে আপনার ফটোগ্রাফিগুলো।সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দাদা আপনার ফটোগ্রাফি মানেই একদম হাই লেভেলের ফটোগ্রাফি দেখা। বেশ ভালো লাগলো দাদা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। প্রতিটি ফটোগ্রাফির সাথে বেশ সুন্দর উপস্থাপন করেছেন দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। শীতের সময়ে প্রকৃতি নতুন রুপে সেজে ওঠে। তারজন্যই আমি শীতকাল এত পছন্দ করি। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে বক এর ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া খুব সুন্দর কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে শীতকাল হলো পাখি দেখার সর্বোত্তম সময়। এ সময় বিভিন্ন জায়গায় অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তাছাড়া চাষের জমির মধ্যে বিভিন্ন পাখি দেখা যায় মাছ শিকার করা অবস্থায়। এই মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক সুন্দর। আপনি খুব দক্ষতার সাথে এই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে যেন আলাদা একটা অনুভূতি দেখতে পেলাম। বিশেষ করে প্রথম ছবিটা দেখে মনটা অনেক ফ্রেশ হয়ে গেল। কারণ খোলামেলায় এরকম দৃশ্য দেখলে বেশ ভালোই লাগে। গাছের ডালে পাখি গুলো বেশ চমৎকার দেখাচ্ছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই দারুন ফটোগ্রাফারের প্রমাণ। বেশ ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি ভাইয়া।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখি আর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করি সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করার জন্য ।এবং নতুন আইডিয়া সংগ্রহ করার জন্য ভালো ফটোগ্রাফি করার জন্য।
আজকের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল বিশেষ করে গাছের একদম মগডালে বসে থাকা বক গুলো।
এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগে। কারণ এলোমেলো ফটোগ্রাফির সাথে বর্ণনা ও জানতে পাওয়া যায়। আপনার আজকে ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।