অনু-কবিতা :- ২২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা আর একটি অনু-কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমাদের মত মধ্যবিত্ত লোকরা সারা জীবন একটু ভালো থাকার জন্য অর্থের পিছনে ছুটে বেড়ায়। কিন্তু সময়ের অন্তিম ক্ষণে তারা বসে বসে চিন্তা করে যে সারা জীবন শুধু অর্থের পিছনেই ছুটেছে। এই অর্থের পিছনে ছুটতে ছুটতে তারা তাদের পরিবারকে সামান্য টুকু সময় দিতে পারিনি। এছাড়াও শুধু মধ্যবর্তী ব্যক্তিরা নয় ধনী ব্যক্তিদেরাও সারা জীবন শুধু অর্থের পিছনেই দৌড়ে বেড়ায়।
এই অর্থ বেশি থাকার ফলে একদিকে যেমন চিন্তা বাড়ে অন্যদিকে নিজের পরিবারকে সঠিকভাবে সময় দিতে পারে না। আসলে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা অনেকেই আছেন যারা সামান্য অর্থ উপার্জন করে নিজের পরিবারকে সময় দেয় এবং পরিবারের সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করে।
আসলে যৌবন বয়সে যদি আনন্দ করা না যায় তাহলে বার্ধক্য বয়সে এসে শুধু তার আফসোস করতে হয়। যৌবন বয়সে যদি তুমি বন্ধুদের সাথে পরিবারের সাথে সুন্দর সময় না কাটিয়ে অর্থের পিছনে ছুটে বেড়াও তাহলে শেষ বয়সে এসে প্রচুর টাকার মালিক হলেও সেই টাকা নিরর্থক।
তাইতো সময় থাকতে জীবনের সব মুহূর্তকে উপভোগ করা উচিত। প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করার কোন প্রয়োজন নেই। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ইনকাম করে নিজের পরিবারকে সময় দেয়ার ভিতরেই প্রকৃত সার্থকতা রয়েছে। আর যদি তুমি নিজের পরিবারকে সময় না দাও তাহলে তুমি কি করে ভাবলে যে তোমার পরিবার তোমার শেষ বয়সে তোমাকে সময় দেবে।
আসলে সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে থাকার ভিতরেই প্রকৃত সার্থকতা। এছাড়াও অন্যের সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসলে একসময় তারাও তোমার বিপদে এগিয়ে আসবে। আসলে কথায় আছে না, অর্থ মানুষকে অনেকটা পরিবর্তন করে দেয়। সত্যিই তাই। বেশি অর্থ মানুষের লোভকে আরো দশগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং অন্যের সাথে ভালো কথাবার্তা বলার মত মন মানসিকতাকে নষ্ট করে দেয়।
অনেকে আছে যারা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বহু টাকা ইনকাম করে নিজের আচরণকে পরিবর্তন করে ফেলে। অর্থাৎ তারা তাদের পূর্বের ঘটনা অথবা অবস্থানকে অস্বীকার করে। কিন্তু এতে জীবনের কোন শান্তি থাকে না। শুধু তার ভিতরে সৃষ্টি হয় হিংসা-বিদ্বেষ এবং অহংকারের। সে আসলে মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না।
আসলে সব ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য নয়। বিভিন্ন ব্যক্তি আছেন যারা প্রচুর টাকা ইনকাম করেও নিজের শিকড়কে কখনোই ভুলে যান না। বরং সেই শিকড়ের টানে সে আবার চলে আসে তার নিজের স্থানে। টাকা ইনকামের পাশাপাশি তারা তাদের পরিবার-পরিজনদের সময় দিয়ে থাকেন এবং বিপদে আপদে তাদের পাশে এসে সব সময় দাঁড়ান। আর এসব ব্যক্তিদের জীবনে সুখ অবশ্যই আছে।
তাইতো আমাদের প্রত্যেকটা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানো উচিত। কারণ সময় একবার চলে গেলে সে সময় আর কোটি টাকার বিনিময়েও ফিরে পাওয়া যায় না। তাইতো সময়ের যথেষ্ট মূল্যায়ন করা উচিত এবং প্রতিটা সময় নিজের পরিবার পরিজনদের নিয়ে একসাথে চলা উচিত। কারণ এই পরিবার-পরিজনরাই তোমার সুখের সময় যেমন থাকে তেমনি তোমার দুঃখের সময়ও তারা সর্বদা তোমার পাশে থাকে।
০১
জীবনের এই শেষ ক্ষণে,
ভাবছো বসে কি?
সারা জীবন কি করেছো,
সময় নষ্ট নাকি।
অর্থের পিছনে ছুটতে ছুটতে,
সময় গেছে চলে।
এখন অনেক টাকা হয়েছে,
কিন্তু আনন্দের সময় গেছে চলে।
কতটা সময় দিয়েছো,
নিজের পরিবার-পরিজনদের।
এখন বসে ভাবছো,
তারা কি সময় দেবে তোমাকে?
০২
যতই তুমি টাকা কামাও,
তোমার যৌবন বয়সে।
কিন্তু যৌবনের এই আনন্দ,
পাবে কি বার্ধক্যের বয়সে?
প্রয়োজন মত টাকা কামিয়ে,
সময় দাও পরিবারকে।
কারণ এই সময় চলে গেলে,
পাবে নাকো আর ফিরতে।
সারা জীবন টাকা কামিয়ে,
জীবনের অন্তিম ক্ষণে পৌঁছালে।
কোন লাভ নাই তাই,
আনন্দ করো এই যৌবনে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিকই বলেছেন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা সময়ের সাথে অর্থের পিছনে ছুটে। ছুটতে ছুটতে তারা নিজের পরিবারের সময় দিতে পারে না এবং কখন যে সময় ফুরিয়ে যায় তা সে বুঝতে পারে না। অনেক সুন্দর একটি কবিতা আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শিক্ষনীয় কবিতা ।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা উপহার স্বরূপ দেওয়ার জন্য।
অর্থলোভী মানুষ কখনোই সুখী হতে পারে না। স্বার্থপর ও ধাম্বিক প্রকৃতির হয়। প্রকৃতপক্ষে তারাই সবচেয়ে অসুখী। আপনার কবিতাগুলো আমি ফলো করছি আসলে বেশ সুন্দর কবিতা লিখেন আপনি। কালকেও সুন্দর একটি কবিতা পেলাম।
আপনি খুব সুন্দর অনু কবিতা লিখেছেন ভাই। আসলে আপনার অনু কবিতা গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়ে থাকে। বাস্তব কিছু বিষয় কবিতার ছন্দে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন যৌবনের আনন্দের অনুভূতি বার্ধককে পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে এই লাইন গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
আজ আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর অনু কবিতা লিখে প্রকাশ করেছেন। আপনার এই সুন্দর কবিতা গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কোন কবিতাগুলোর মধ্যে প্রথম অন কবিতাটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কারণ এখানে জীবনের কর্ম কি ছিল সেই ভাবনা চিন্তা উঠে এসেছে।