বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৫৪
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে বাংলাদেশে এসে কখনো একটু সময়ের জন্য আমার মুখ এক মুহূর্ত বন্ধ ছিল না। কারণ বাংলাদেশের প্রতিটা খাবার আমার কাছে অনেকটা বেশি ভালো লেগেছিল। আর বিকালের দিকে সময় পেলে আমরা বেরিয়ে পড়ি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার জন্য। তাইতো প্রতিবারের মতো এবারও আমরা বাইরে খাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লাম।
আসলে বাংলাদেশের ছুটির দিনে প্রত্যেকটি পার্ক একদম কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে। আসলে ব্যাপারটা আমার কাছে অনেকটা বেশি ভালো লেগেছে। কারণ সারা সপ্তাহ কাজের জন্য ছুটি না পেলেও এই ছুটির দিনের সন্তানেরা তাদের মা বাবার সাথে এই বিভিন্ন পার্কে ঘুরতে আসে। এছাড়াও পার্কে এসে এইসব ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলাও করছিল। আসলে ছুটির দিনগুলোতে প্রত্যেকটি মা-বাবা এরকম তাদের সন্তানদেরকে সময় দেওয়া অবশ্যই উচিত।
তাই আমরা চলে গেলাম একটু বাইরের দিকে। আসলে বাংলাদেশের জায়গা গুলো আমার মোটেও চেনাজানা ছিল না। আর এ জন্য আমাদের দুজনের যেদিকে দুচোখ যায় আমরা দুজনে সেদিকে ঘুরে বেড়াতাম। এইভাবে আমরা ঘুরতে ঘুরতে একটা পার্কের পাশে গিয়ে একটা রাস্তার পাশের খাবারের দোকান দেখতে পেলাম। আসলে লোকটির দোকানে বিভিন্ন ধরনের খাবার ছিল। আসলে বাংলাদেশের অন্যতম একটা জনপ্রিয় খাবার হল হালিম।
এর আগে হালিম খাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলাম। কিন্তু কোথাও এই হালিম খেতে পারেনি। লোকটি তার দোকানে খাসির হালিম বিক্রি করছিল। যাইহোক আমরা কিন্তু অল্প অল্প করে প্রতিটা খাবার খেতাম এবং প্রতিটা খাবার একটি করে অর্ডার দিতাম। তাই প্রথমে আমরা দুজনে এক বাটি হালিম অর্ডার দিলাম। এছাড়া লোকটির মুখে বিভিন্ন ধরনের গল্প শুনছিলাম। এই জায়গাতে লোকটি প্রায় ৪০ বছর ধরে এই একই ধরনের ব্যবসা করছে। এখন লোকটির সাথে তার ছেলেও এই একই ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে।
আসলে এই হালিমটা আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগেনি। যদি আমার গিন্নির কাছে এই হালিম অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। এরপর আমি একটা স্পেশাল চপ অর্ডার দিলাম। এই চপটিও খাসির তেল দিয়ে তৈরি করা ছিল। আমার কাছে এই চপটি এক কথায় অসাধারণ লেগেছিল। তাই আমি পুনরায় আরেকটি চপ অর্ডার দিলাম। কারণ এই চপটি আমি একাই পুরোটা খেয়ে নিয়েছিলাম। তাই গিন্নির জন্য আমি আরেকটি চপ অর্ডার দিলাম।
এরপরে আমরা আরেকটি চিকেন চপ অর্ডার করলাম। কারণ উনার দোকানে বিভিন্ন ধরনের চপ ছিল। আসলে এই চপটি তৈরি করতে ওনার একটু দেরি হচ্ছিল। তাই আমরা একটু চারিপাশ দেখতে লাগলাম। আসলে পার্কটি ছোট হলেও এখানে প্রচুর লোক ছিল। বিশেষ করে এখানে একটু জায়গাও খালি ছিল না। কিছুক্ষণ পর আমাদের সেই চিকেন চপটি চলে এলো। আমরা সেই চপটি খেয়ে পুনরায় আবার অন্য একটি জায়গায় যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
একের পর এক আপনি আমাদের মাঝে বাংলাদেশ ভ্রমণ বিষয়ে সুন্দর সুন্দর পোস্ট শেয়ার করে চলেছেন। ঠিক পূর্ব দিনগুলোর মত আজকেও আপনি আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে আমার সত্যি অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আশা করব আরো নতুন কিছু আপনার মাধ্যমে দেখতে পারব।
আমাদের এই বাংলাদেশে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আপনি৷ আজকের এই পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো৷ আজকের এই পর্বের মধ্যে বাংলাদেশ ভ্রমনের খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর পোস্টটি পড়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷