মিলন মেলা। পর্ব:-১১
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি মিলন মেলা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আমি যখন এক পাশে বেলুন ফাটাচ্ছিলাম তখন অন্য পাশে আরেকটা খেলা দেখতে পেলাম। যদিও ওই খেলাটা আমার তেমন একটা বেশি পছন্দের নয়। আসলে এই ধরনের খেলা কিন্তু আপনারা বিভিন্ন মেলাতে ঘুরে হয়তোবা দেখতে পেয়েছেন। যেখানে একটা বক্সের মধ্যে বিভিন্ন সংখ্যা লেখা রয়েছে এবং সেই সংখ্যা অনুযায়ী যদি আমরা বল খেলি এবং সেই সংখ্যার যোগফল অনুযায়ী কোন প্রাইজের সঙ্গে মিলে যায় তাহলে আমরা সেই প্রাইজটি পেতে পারি। যদিও আমি যখন গুলি করছিলাম এবং গুলি করার পর ভিতরের গুলি শেষ হয়ে যাচ্ছিল তখন দোকানদার দাদা এই গুলি ভরার জন্য আমার হাত থেকে বন্দুক নিয়ে যাচ্ছিল তখন সেই মুহূর্তে আমি পাশের খেলাটি উপভোগ করছিলাম। আসলে এই দুটো দোকানদারের মালিক একই ব্যক্তি।
তখন বন্দুক দোকানে যে লোকটি কাজ করছিল তখন উনি আমাকে বললেন যে আপনি কি ওই ধরনের খেলাও খেলতে চান। তখন আমি উনাকে বললাম যে ওই ধরনের খেলা আমার মোটেও পছন্দ নয়। ঠিক অল্প সময় পর একটা বাচ্চাকে দেখতে পেলাম যে আমার পাশের যে খেলাটি রয়েছে সেই খেলাটি খেলার জন্য তার মা-বাবার সাথে জেদ করছিল। যাইহোক তার মা-বাবা তার সন্তানকে সে খেলাটি খেলার জন্য পারমিশন দিল এবং ছেলেটির হাতে এক ঝুড়ি বল দিয়ে দিল। আর ছেলেটি মহা আনন্দে সেই খেলাটি খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। আসলে ছেলেটিকে দেখে আমার আবার হঠাৎ করে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল যখন মা বাবা আমাদের মেলায় নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করাতো। এখন আমরা বড় হয়ে গেছি তাই মা-বাবা আমাদের সঙ্গে আর আসে না।
আসলে এইসব লোকের মুখ আপনি দেখলে বুঝবেন যে তারা হাসিখুশি রয়েছে কিন্তু তারা কিন্তু ভেতর থেকে হাসিখুশি নেই। কেননা যেহেতু বাজারদর এখন খুবই খারাপ এবং এই মেলাতে তেমন একটা বেশি লোক আসেনি তাই তাদের মনটা বেশি একটা ভালো নেই। যাইহোক যখন দুই একজন কাস্টমার আসে তখন তাদের আবার মুখটা হাসিতে ভরে ওঠে। কেননা এত বড় মেলাতে যদি লোক না থাকে তাহলে মেলার দোকানদার গুলোর কি অবস্থা হয় তা আপনারা একবার ভেবে দেখুন তো। আসলে ওই লোকের সঙ্গে গুলি করার ফাঁকে ফাঁকে আমি একটু কথা বলছিলাম মেলা সম্পর্কে। আসলে লোকটি সহজ সরল মনে তার মনের কথাগুলো আমাকে আস্তে আস্তে বলে দিতে শুরু করল। যাইহোক আমি বললাম যে কয়েক দিনের ভিতরে যদি বৃষ্টি থেমে যায় তাহলে আরও লোক হতে পারে।
আসলে আমি যে দোকানে বেলুন ফাটাচ্ছিলাম সেই দোকানে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের প্রাইস ছিল। অর্থাৎ প্রতিটা বেলুনের পিছনে একটা কাগজ লুকিয়ে রাখা হয় যে কাগজের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের প্রাইজ লেখা থাকে। যাইহোক আমি সব সময় একটু চেষ্টা করছিলাম যাতে করে সবার নজরে যে বেলুন গুলো না পড়ে সেই বেলুন গুলো ফাটানোর জন্য। আসলে যেহেতু আমি একবারে দুই রাউন্ড খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তাই যেহেতু দুই রাউন্ড যদি শেষ না হয় তার আগে আমরা সেই কাগজ গুলো দেখতে পারবো না। অর্থাৎ আমাদের খেলা শেষ হবে তখন দোকানদার দাদা ওই বেলুনের জায়গা থেকে কাগজ গুলো নিয়ে আসবে। অর্থাৎ একটা কাগজে বিভিন্ন ধরনের গিফট লেখা থাকে সেই অনুযায়ী তারা আমাদের বিভিন্ন ধরনের গিফট দিয়ে দেবেন।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বেশ কিছুদিন ধরে আমি লক্ষ্য করে দেখছি দাদা আপনি মিলন মেলা থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করেছেন এবং সেখানকার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন পর্ব আকারে। ঠিক তেমনি আজকে নতুন একটি পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। এই জাতীয় মেলা ভ্রমন আমিও খুব পছন্দ করি।
মেলা ভ্রমণ করতে আমি খুব পছন্দ করি এখানে বিভিন্ন রকমের জিনিস পাওয়া যায় পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকে। যাইহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন আপনি। আপনার এই মেলা ভ্রমণ সম্পর্কে বেশ ধারণ ধারণা পেলাম এবং অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন খেলার বিষয়গুলো। যাই হোক অনেক ভালো লেগেছে আমার।