ভয়ানক এক বৃষ্টির রাতে। প্রথম পর্ব।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ ভয়ানক এক বৃষ্টির রাত সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু শীতের এই শেষের সময়টাতে অর্থাৎ শীতকাল যখন শেষ হয়ে যায় তার পরপরই আবহাওয়াটা গরম হতে শুরু করে। মাঝে মাঝে গরমের পরিমাণ একটু বেশি হয় আবার মাঝে মাঝে গরম অনেকটা কমে যায়। এই সময়ে প্রায় সকলেরই বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ হয়। বিশেষ করে আমরা অনেকেই আছি এই ঠান্ডা গরমে জ্বরে ভুগি। আবার হঠাৎ করে কোন রাতে বৃষ্টি হয়।
তাই কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম যেহেতু আমাকে কাজের জন্য বাইরে বেরোতে হয় তাই আমি একটা ভালো রেইনকোট কিনে নেব। কিন্তু সময়ের অভাবের জন্য আমি সেই রেইনকোট কেনার কোন সুযোগই পাচ্ছিলাম না। কিন্তু এদিকে বৃষ্টিও হচ্ছিল না তাই আমার আগ্রহ তেমন একটা ছিল না। এদিকে গিন্নি প্রায় প্রতিদিনই আমাকে বলে যে তুমি খুব দ্রুত একটা রেইনকোট কিনে নাও। তা না হলে যেকোনো সময় বৃষ্টি আসতে পারে এবং বৃষ্টিতে তুমি যদি একবার ভিজে যাও তাহলে তোমার জ্বর, সর্দি অথবা কাশি হতে পারে।
কারণ অনেকদিন ধরেই আমি ভাবছি যে রেইনকোটটি এবার কিনে নেব। যাইহোক হঠাৎ আমি যখন সকালবেলা উঠে কাজে বের হলাম তখন আকাশটা অনেক পরিষ্কার ছিল। কিন্তু বিগত কয়েকদিন আগে আমি ফোনের আবহাওয়া অ্যাপসে দেখেছিলাম যে আজ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাইহোক দিনের রোদ দেখে আমি আর তেমন একটা চিন্তা করলাম না। সেদিন আমার কাজ থেকে একটু আগেই ছুটি হয়ে গিয়েছিল। তাই বাড়িতে ফেরার সময় ভাবলাম একটা চায়ের দোকান থেকে একটু চা পান করে নিই। আর সেই চায়ের সাথে আমি দুটো কেকও খেয়ে নিলাম। যাইহোক ১০ মিনিট কাটানোর পর আমি আবার পুনরায় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
যখন আমি চায়ের দোকান থেকে বের হলাম তখন দেখলাম যে বাইরে ছোট ছোট দু এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। তখন আমার মনের ভিতর একটা চিন্তা এল যে এই বৃষ্টি যদি বেড়ে যায় তাহলে আমার বাড়ি যেতে অনেক বেশি রাত হবে। যাইহোক আমি আর এক মুহূর্তের জন্য দেরি করলাম না। দ্রুত বাইকে উঠে আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
এরপরে আস্তে আস্তে বৃষ্টির ফোঁটা অনেক ভারী হতে লাগলো। তাই আমি একটু দূরে যেতেই বৃষ্টির পরিমাণ যখন বেশি বেড়ে গেল তখন আমি একটা ভালো বড় দোকান দেখে সেখানে দাঁড়িয়ে গেলাম। এভাবে প্রায় কুড়ি মিনিট ভারী বৃষ্টি হতে শুরু করল। কিন্তু তখনো বাইরের আবহাওয়াটা অনেক শান্ত ছিল। যাই হোক বৃষ্টি শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর আমি আবার বাইকে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
যারা নিয়মিত বাইক চালান, তাদের জন্য রেইনকোর্ট সাথে রাখা জরুরি। তা না হলে বাইক চালকদের কাকভেজা হতে দেখেছি অনেক।গিন্নির কথা শুনে রেইনকোর্টটা এবার কিনেই ফেলেন ভাইয়া। তাহলে রাস্তাঘাটে বৃষ্টিতে তেমন ভুগতে হবেনা। ভয়ানক এক বৃষ্টির রাত নিয়ে লেখাটা সুন্দর হয়েছে। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় মানুষ নানা অসুখ-বিসুখে পড়ছে, একদম ঠিক বলেছেন। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া আমাদের মন থেকে যেটা বারবার বের হয়ে আসে সেটা কিন্তু যে কোন একটা সময় গিয়ে প্রকাশ হয়েই যায়। যেমন আপনি ভাবছিলেন যে আপনার একটি রেইনকোট কেনার দরকার বৃষ্টি হতে বাঁচার জন্য কিন্তু সেটা আলসেমির কারণে হচ্ছিল না যে বৃষ্টি নেই এখন তাই পরে কিনব। কিন্তু আপনি চায়ের দোকান থেকে চা এবং কেক খাওয়ার পরই বৃষ্টির সম্মুখীন হলেন যখন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু বৃষ্টি হতে বাছার জন্য আপনি পুনরায় একটি দোকানের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এটি আপনি অনেক ভালো কাজ করেছেন কেননা যেহেতু আপনার বৃষ্টিতে ভিজে গেলেই জ্বর সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই গেছে তাহলে এটাই আপনার সঠিক কাজ হয়েছে। অবশ্যই আশা করব আপনি আপনার পছন্দের রেইন কোটটি খুব তাড়াতাড়ি কিনে ফেলবেন। আপনার আজকের পোস্টটি ভাইয়া একটি শিক্ষনীয় ছিল। যাইহোক এরকম পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
আসলে ঠান্ডা এই গরমে মানুষ বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, আমাদের ঘরে তো প্রায় সবাই অসুস্থ। তবে এটা ঠিক বৃষ্টি না আসলে ছাতা এমন রেইনকোটের কথা মনে থাকে না। গিন্নিরা ঠিকই বলে,আপনি বৌদির কথামত তাড়াতাড়ি রেইনকোট কিনে ফেললে তাহলে বৃষ্টিতে ভিজতে হতো না।ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ
এই সময় টা খুবই খারাপ। ভোর রাতে বেশ ঠান্ডা পড়ছে আবার দিনের বেলা ভালো পরিমাণ গরম আবার সন্ধ্যার সময় বৃষ্টিও হচ্ছে। মানে প্রকৃতি নিজেই কনফিউজড এটা কোন কাল হা হা। আর এইরকম সময়ে অসুস্থতা টা বেড়ে যায় অনেকাংশে। যাইহোক দাদা এবার অর সময় নিয়েন না রেইনকোট টা কিনেই নিয়েন। না হলে এভাবে আবার ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
এখন যেকোনো সময় হুটহাট করে বৃষ্টি চলে আসে এবং এই বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরে অনেকটাই খারাপ করে৷ আর আপনি সেই বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য একটি রেইনকোট কিনে নিয়েছেন এবং রেইনকোট আপনার অনেকটাই সুবিধা দিবে৷ কারণ যেভাবে অন্যান্য সময় আপনি বৃষ্টিতে ভেজার পরে একটি দোকানে অবস্থান নিয়েছিলেন এখন আর সেই দোকানে অবস্থান নিতে হবে না৷ আপনাকে ভিজতেও হবে না৷ যখনই বৃষ্টি আসবে তখনই আপনি আপনার রেইনকোট বের করে নিয়ে পরে নিতে পারবেন৷ একইসাথে আপনার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷