মনোবল। কবিতা নং :- ৯৬
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে আমার লেখা একটি কবিতা পোস্ট করলাম । আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে এই পৃথিবীটা বড় আজব এক পৃথিবী। এ পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত মানুষ তাদের কর্ম ক্ষেত্রে দিন-রাত ছুটে চলেছে। আসলে এই কাজ কখন যে শুরু হয়েছে আর কখন যে শেষ হবে এটি আমরা মোটেও বুঝতে পারব না। কারণ এত দ্রুত কর্মযজ্ঞের মাঝে আমাদের এই সময় যে কিভাবে চলে যায় তা আমরা কখনো ধরতে পারবো না। কারণ এই পৃথিবীতে যারা কর্মঠ লোক তারা কখনো সময়ের জন্য অপেক্ষা করে না। কারণ তারা জানে যে আমাদের এই পৃথিবীতে আমরা খুব কম সময় নিয়ে অবস্থান করি। আর এই অল্প সময়ের মাঝে আমাদের প্রচুর কাজ করে যেতে হবে এই পৃথিবীতে। তাই সময়ের কথা না ভেবে যদি আমরা সব সময় নিজেদেরকে কাজের ভিতরে নিয়োজিত করে রাখি তাহলে আমরা অবশ্যই জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারব। এছাড়াও সৎ উপায় সব সময় সকল ধরনের কাজ করতে হবে।
এই পৃথিবীতে এক একজন মানুষ সবসময় এক এক ধরনের কাজ করে থাকে। বেশিরভাগ মানুষ কেউ কারো উপর কখনোই নির্ভরশীল নয়। আর আমরা যদি কোন কাজে কারোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি অথবা তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি হয়তোবা হঠাৎ করে আমরা দেখতে পাবো যে আমাদের সময় একদিক থেকে চলে যাচ্ছে কিন্তু সেই ব্যক্তি আমাদের কখনোই সাহায্য করছে না। আসলেই পৃথিবীতে আমাদের নিজেদের যুদ্ধে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে হবে। কারণ এই যুদ্ধে কেউ আমাদের কখনোই সাহায্য করবে না। আর কারো জন্য অপেক্ষা করাটা কিন্তু একদিক থেকে বোকামির মতো। কারন সে কখনো তার নিজের কাজ ফেলে তোমার কাজকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসবে না। তাইতো কারো জন্য অপেক্ষা না করে নিজের কাজকে নিজেই করা উচিত।
আসলে সকল কাজে যে সব সময় জয়ী হতে হবে এমন কোন কথা নেই। এছাড়াও পৃথিবীতে সকল কাজ কিন্তু সবার দ্বারা সম্ভব হয় না। কিন্তু আমাদের দ্বারা যে কোন কাজ হবে না তাই ভেবে যদি আমরা বসে থাকি তাহলে আমাদের দ্বারা আর কখনোই কোনো কাজ হবে না। আমাদের মনে করতে হবে যে এই পৃথিবীতে সকল কাজই আমাদের দ্বারা সম্পন্ন হতে পারে। আর আমাদের মনোবল যদি দৃঢ় থাকে তাহলে কোন কাজই আমাদের কাছে কঠিন হবে না। সকল কাজকেই আমরা খুব সহজে সমাধান করতে পারবো। তাইতো প্রথমে কাজ করার আগে ভয় পেলে চলবে না। এছাড়াও নিজের খুশিকে দেখার মত আমাদের সময় কখনোই থাকবে না। এই পৃথিবীতে যারা কাজ করে তারা কখনো নিজেদের খুশিকে বড় করে দেখেনা। তারা পরিবারের অন্য লোকদের খুশি করতে পারলেই তাদের মনের শান্তি।
✠ মনোবল ✠
জীবনে যদি কখনো হঠাৎ করে,
কোন কাজে আমরা পিছিয়ে পড়ি।
মনে রেখো মনোবল রাখতে হবে,
পিছানো যাবে না এত তাড়াতাড়ি।
তাড়াহুড়ো করে যদি কোন কাজ করি,
সেই কাজ সঠিকভাবে করা যায় না।
ধীরের সুস্থ্যে কাজ করতে হবে,
কোন কাজ দ্রুত কখনো হয় না।
মনোস্থির করে আমরা সবসময়,
সকল সিদ্ধান্ত জীবনে নিতে হবে।
কোন কাজে একবার ভুল হলে,
হয়তোবা দ্বিতীয়বার সেই কাজ নাহি হবে।
কারণ সুযোগ জীবনে একবার আসে,
এই সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে হবে।
তাড়াহুড়ো করলে ভুল হতে পারে,
তাইতো ভেবেচিন্তে সামনে এগোতে হবে।
ভাবনা চিন্তা জীবনে অবশ্যই দরকার,
কিন্তু অলসের মতো বসে থাকলে চলবে না।
জীবনে উন্নতি করতে হলে,
কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প কিছু হবে না।
জীবনটা বিশাল একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র,
যেখানে কেউ তোমাকে সাহায্য করবে না।
সাহায্যের আশায় বসে থাকলে,
সময় চলে গেলেও কেউ আসবে না।
নিজের কাজ নিজেকে করতে হবে,
সাথে অন্য মানুষকেও সাহায্য করবে।
অন্যের উপকারে আসলে পরে,
সে তোমায় সারাজীবন মনে রাখবে।
উপকার করলে আঘাত পাবে,
তবুও উপকার করে যেতে হবে।
স্বার্থের আশায় কোন কাজ করলে,
সেই কাজ জীবনে আর নাহি হবে।
সবার জন্য তোমাকে করতে হবে,
নিজের জন্য ভাবার কোন সুযোগ নাই।
অন্যের খুশি দেখতে পেলে,
দেখবে তোমার আনন্দের সীমা নাই।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
মনোবল কবিতাটির মধ্যে মনের দারুণ একটি শক্তি খুঁজে পেলাম ভাইয়া। নিজের কাজগুলো আসলেই নিজেকেই করতে হবে অন্যের উপর ভরসা করে থাকলে একটা সময় দেখা যায় সেই ভরসাযোগ্য মানুষটি কে আর পাওয়া যায় না ফলে পড়তে হয় মহাবিপদে। আমাদের সৃষ্টকর্ম থেকে কখনোই আমরা চাই না বা মনে করার চেষ্টা করি না নিজের খুশির বিষয়টি সর্বদা সচেষ্ট থাকি পরিবারকে খুশি রাখার জন্য আর তাতেই মনের প্রশান্তি মিলে। সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রিয় দাদা আপনার লেখা কবিতা গুলো বরাবরই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ঠিক তেমনি আজকে আপনার লেখা মনোবল শিরোনামের কবিতাটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় লেখা চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।