দুর্গাপূজা। পর্ব:- ১৯

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


b28ce43a-6aae-4d4e-89ee-aca4b874467d-1_all_1980.jpg

1000012154.jpg


আসলে আমরা যখন পূজার প্যান্ডেলে প্রবেশ করলাম তখন এই পূজার প্যান্ডেল দেখে আমাদের অনেক বেশি ভালো লাগছিল। কিন্তু মূল আকর্ষণ যে এই প্যান্ডেলের বাইরে ছিল তা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। আসলে এজন্য মানুষ এত বেশি ভিড় করছিল এই প্যান্ডেলে মায়ের মূর্তি দেখার জন্য। এজন্য আমরাও আর দেরি না করে চেষ্টা করলাম যাতে করে খুব দ্রুত পুরো প্যান্ডেল দেখে শেষ করতে পারি। কেননা এক রাতের মধ্যে আমাদের পুরো এই এলাকার প্যান্ডেল গুলো দেখে শেষ করতে হবে। যেহেতু আমরা প্রতিদিন রাতে আলাদা আলাদা জায়গায় গিয়ে সেই আলাদা জায়গার চারিপাশের পূজার প্যান্ডেল গুলো দেখে শেষ করছিলাম। যাইহোক আমরা প্যান্ডেলের চারিদিকে সৌন্দর্য গুলো উপভোগ করছিলাম।


1000012155.jpg

1000012157.jpg


যখন প্যান্ডেলের পিছনে মায়ের সুন্দর একটা মূর্তি দেখতে পেলাম এবং সে মূর্তির চারিপাশে এত সুন্দর ভাবে একটা মন্দিরের মতো তৈরি করা হয়েছে তা দেখে আপনাদেরও অনেক বেশি ভালো লাগছে। আসলে ছবির থেকেও কিন্তু বাস্তবে মায়ের মুখটি এবং মায়ের চারিপাশে যে সুন্দর মন্দিরটি তৈরি হয়েছে তা কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগছিল আমার কাছে। এছাড়াও চারিপাশে এমনভাবে লাইটগুলো সবজিতে ছিল যাতে করে মনে হচ্ছে যে ছোট ছোট প্রদীপ যেন জ্বলে রয়েছে। আসলে এই জায়গার আবহাওয়াটা আমার কাছে এত বেশি ভালো লাগছিল যে এখানে আরো বেশ কিছুটা সময় যদি আমরা কাটাতে পারতাম তাহলে কিন্তু আমার কাছে আরো অনেক বেশি ভালো মনে হতো।


b28ce43a-6aae-4d4e-89ee-aca4b874467d-1_all_1985.jpg

1000012162.jpg


যেহেতু মায়ের মূর্তি থেকে অনেক আগে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং আমরা কেউ মায়ের মূর্তির কাছে যেতে পারছিলাম না তাই মায়ের একটা ভালো ছবি তোলার জন্য একজন দাদাকে একটু অনুরোধ করলাম। অর্থাৎ ওখানকার কমিটির যে সদস্য গুলো রয়েছে তাদের মধ্যে একজনকে অনুরোধ করায় তিনি আমার ফোনটি নিয়ে মায়ের খুব কাছ থেকে মায়ের ছবিটা আমাকে তুলে দিলেন। আসলে আপনারা হয়তো বা মায়ের এই মূর্তি খানা দেখে বুঝতে পারছেন যে মায়ের মুখটা কত বেশি মিষ্টি ছিল। যদিও আমি একটা জায়গা ফাঁকা দেখে সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম এবং সেই জায়গার আবহাওয়াটা অনুভব করছিলাম। আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে অনেক বেশি তাড়াহুড়া করার জন্য তারা আমাকে ধাক্কাও দিচ্ছিল।


b28ce43a-6aae-4d4e-89ee-aca4b874467d-1_all_1987.jpg


আসলে এক জায়গায় এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে হয়তোবা অন্যান্য লোকের দেখতে অসুবিধা হবে এই ভেবে আমি আর বেশিক্ষণ সেই জায়গায় অপেক্ষা করলাম না এবং প্যান্ডেল থেকে বের হয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তবুও বের হয়ে আসার আগে আমি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছিলাম এবং বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে মায়ের ছবি তোলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। আসলে এই পুজোর সময় এই ভিড়ের মধ্যে কোন একটা ছবি তুলতে যে কত কষ্ট হয় তারা কিন্তু একমাত্র যারা এই পূজার সময় বের হয় তারাই বুঝতে পারে। অর্থাৎ আপনাকে চলন্ত অবস্থায় ছবি তুলতে হবে এবং সোজা গেটের দিকে বেরিয়ে যেতে হবে। যাইহোক জোর করে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং মায়ের একটা ভালো ছবি তোলার জন্য চেষ্টা করছিলাম।

ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola

ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro

ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm



আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।



সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।



11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.08
TRX 0.29
JST 0.036
BTC 101693.82
ETH 3376.39
USDT 1.00
SBD 0.57