মিলন মেলা। পর্ব:-০৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি মিলন মেলা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে প্রতিবার যখন আমি মেলায় যাই তখন আমার মনের ভিতর হালকা হালকা ভয় জমা হয়। কেননা সারা সপ্তাহে গিন্নীকে নিয়ে কোথাও বের হতে পারি না এজন্য যখন কোথাও ঘুরতে যাই তখন সে যদি কোন কিছু কিনতে চায় তাহলে আমি আর সেই বিষয়ে না করতে পারি না। যাইহোক মেলা তো ঘুরে দেখতে লাগলাম। আসলে সব থেকে আমার বেশি খারাপ লাগছিল এই কাঁদা দেখে। কেননা মেলার মাঠে এত পরিমান কাঁদা যে আপনি কোন একটা দোকান থেকে অন্য একটা দোকানে যাবেন তাহলে আপনাকে অনেক বেশি সাবধানে সেই দোকানে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও তেমন কোন ভাল ব্যবস্থা করা নেই দোকানগুলোর সামনে। মাঝে মাঝে কয়েকটা দোকানের মাঝে ছোট ছোট কতগুলো ইটের টুকরো দেওয়া রয়েছে।
কিন্তু ওপাশ থেকে যদি একজন আসতে চায় তাহলে এই পাশের লোকগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আসলে বড়ই একটা সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমি সাহস করে গিন্নিকে বললাম যে এই কাঁদার ভিতর আর মেলায় ঘুরে লাভ নেই। চলো আজকের মত আমরা বাড়ি চলে যাই। কিন্তু ও বলল যে তুমি যদি আজকে বাড়ি চলে যাও তাহলে এই সপ্তাহের ভিতরে আর তুমি কখনো সময় পাবে না এবং এই সপ্তাহের মধ্যে মেলা শেষ হয়ে যাবে। খুব একটা সমস্যায় পড়ে গেলাম। আসলে এভাবে কাঁদার ভিতর দিয়ে মেলা দেখতে আমার মোটেও ভালো লাগেনা। তাই আমি যখন বিভিন্ন দোকানে যেতে লাগলাম তখন একটা ভালো শুকনো জায়গা দেখে সেখানে দাঁড়িয়ে রইলাম এবং গিন্নি পুরো দোকানটি ঘুরে ঘুরে দেখতে শুরু করলো।
এছাড়াও আমি তখন হালকা করে বুঝতে পারলাম যে মেলার লোক সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে। যেহেতু বর্ষার দিন তাই সবাই বর্ষার কারণে মেলায় আসতে ভয় পাচ্ছে। যেহেতু আজ দুপুর থেকে কোথাও তেমন কোন বৃষ্টি হয়নি বলে লোকজন গুলো আস্তে আস্তে এই সন্ধ্যার পর মেলা দেখতে চলে এসেছে। যাই হোক আমিও তাদের মতো একদম দ্রুত কাজ সেরে বাড়িতে এসে গিন্নীকে নিয়ে মেলায় চলে এলাম। আসলে কি এমন এমন কিছু জিনিস গিন্নি দেখছিল যা দেখে আমার খুব রাগ হচ্ছিল। কেননা এই জিনিসগুলো আমাদের বাড়িতে রয়েছে এবং এগুলো আমাদের এখন কোন প্রয়োজন নেই। তবুও কি জানি সে একটু ঘেঁটে দেখছিল এবং পুনরায় সেই জিনিসগুলো রেখে দিচ্ছিল। আসলে মেলায় আমার থাকতে ইচ্ছা করছিল না তাও জোর করে মনটাকে বুঝিয়ে রেখে দিয়েছিলাম।
এর কিছুক্ষণ পর আমি বললাম যে এবার আমি আর অন্য কোন দোকানে যাব না তুমি পারলে অন্যান্য দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখে আসো। যাইহোক আমার কথা শুনে দেখলাম যে গিন্নির মুখের আবহাওয়াটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। অর্থাৎ একদম পরিষ্কার আকাশ থেকে মেঘ যুক্ত আকাশে পরিণত হয়েছে। যাইহোক অবস্থা ভালো না বুঝে আমি বললাম যে ঠিক আছে চলো পরবর্তী দোকানে যাওয়া যাক। আসলে একটা জিনিস আমি সবসময় ভাবি যে বিয়ের আগে মা বাবার কথা শুনে চলাচল করতে হতো এবং বিয়ের পর বউয়ের কথা শুনে চলাচল করতে হয়। আসলে পুরুষ মানুষের জীবনের স্বাধীনতা বলে মনে হয় কিছু নেই। তাই মনে মনে ভাবলাম যে কবে যে আমরা পুরুষ জাতি স্বাধীন হব এবং নিজেদের মতো করে চলাচল করব।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আসলে দাদা আমরা তো কাঁদা জলের মানুষ কাদা দেখে ভয় করতে গেলে তো হবে না। আপনিও বৌদির সাথে ঘুরে ঘুরে মেলা দেখতে পারতেন। কারণ এই সমস্ত আয়োজন তো বারবার জীবনে আসে না। আর প্রিয়জনের সাথে মেলা ভ্রমন করতে কান্না ভালো লাগে। তবে যাই হোক খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি ব্লগ দেখে।