সারাটি বেলা। কবিতা নং :- ১২৬
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে আমার লেখা একটি কবিতা পোস্ট করলাম । আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আসলে এই কবিতাটি হঠাৎ করে দুই এক লাইন লিখতে লিখতে হয়ে গেল। আমি এই কবিতার মাধ্যমে সেই ভোরের সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাতের আগে পর্যন্ত মানুষের জীবনের কিছু চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অর্থাৎ মানুষের এই সকাল ভোর থেকে উঠে কি করে এবং রাত্রে কি করে। এছাড়াও সেই ভোরের আলোতে যখন চারিদিক আলোকিত হয় তখন পাখিরা কিচিরমিচির করে ওঠে এবং সারা পৃথিবী যেন নতুন করে একটা প্রাণ পায়। কেননা এই সময়ে কৃষকেরা ওঠে মাঠে চলে যায় সোনার ফসল ফলানোর জন্য। আসলে এই জীবনে যারা সব সময় কঠোর পরিশ্রম করে তাদের জীবনে অবশ্যই সুখ আসে। আসলে অলস মানুষ শুধুমাত্র ঘরে অলসভাবে পড়ে থাকে এবং তাদের জীবনে তারা কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না। এছাড়াও এদের জীবনের কোন মূল্য নেই।
একমাত্র যারা একবার জীবনের মূল্য বুঝতে পারে তারাই কিন্তু সব সময় কাজ করার চেষ্টা করে এবং জীবনের প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করার চেষ্টা করে। আসলে এভাবে যদি আমরা ছোটখাটো কাজ করতে করতে জীবনের উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমরা এই জীবনে হয়তো একটু সুখ উপভোগ করতে পারবো। আসলে এই পৃথিবীতে আমরা বিভিন্ন ধরনের মানুষকে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড সব সময় করতে দেখতে পাই। আসলে কৃষকের কাজ হল মাঠে সোনার ফসল ফলানো, শিক্ষকের কাজ হলে শিক্ষা দেওয়া, চিকিৎসকের কাজ হল সেবা শুশ্রুষা করে মানুষকে সুস্থ করা এবং এক একজন ব্যক্তিদের কাজ এক এক ধরনের হয়ে থাকে। এই পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে থাকি এবং বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা নিয়ে থাকি সেই সব বিষয় থেকে।
এই পৃথিবীর মাঝে যখন আস্তে আস্তে দিনের আলোর শেষ হতে থাকে তখন সবাই কিন্তু তাদের গৃহে ফিরতে থাকে। মানুষের মত পশু পাখিরাও কিন্তু তারা দিনশেষে রাতে তাদের বাসায় ফিরে। এভাবে ক্লান্ত মানুষগুলো আস্তে আস্তে রাত্রের খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। তখন এই পৃথিবীতে কোন ধরনের প্রাণীদের চলাচলের শব্দ শোনা যায় না এবং মনে হয় যেন পৃথিবীটা থমকে গেছে এই রাতের অন্ধকারে। আসলে রাত যত গভীর হতে থাকে ততই পৃথিবী নিস্তব্দ হতে থাকে এবং চাঁদমামা আকাশে উকি দিতে থাকে। আসলে এই পৃথিবীর এই চিত্র গুলোর সাথে আমরা কিন্তু সবাই পরিচিত। তবুও আজ আমি চেষ্টা করলাম আমার কবিতার মাধ্যমে পৃথিবীর কিছু দৃশ্যের কল্পনা আমার কবিতা লাইনে ফুটিয়ে তোলার জন্য। আসলে কবিতাটি কেমন হয়েছে কমেন্ট অবশ্যই জানাবেন।
✠ সারাটি বেলা ✠
সূর্যি মামা পূর্ব গগনে ওঠে,
প্রকৃতির সব আনন্দে নেচে ওঠে।
পৃথিবী যেন আবার জীবন ফিরে পায়,
সবাই আবার কর্মের গান গায়।
কৃষকেরা সেই ভোর সকালে ওঠে,
সারাটা দিন তাদের বহু কষ্টে কাটে।
মানুষেরা কর্মস্থলে বের হয়,
পৃথিবীর সবকিছু চলমান মনে হয়।
পৃথিবীর নানান চিত্র আমরা দেখতে পাই,
কত কিছুই না ঘটে চলেছে এ জীবনে।
তবুও আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই,
থেমে থাকবো না আমরা আর কোন ক্ষনে।
কত ঘাত প্রতিঘাত পেতে হয় জীবনে,
তবুও জীবনের থাকে বহু মানে।
এ জীবনে যারা অলস এর মত পড়ে রয়,
উন্নতি কখনো তাদের দ্বারা নাহি হয়।
পাখিরা সব কিচিরমিচির করে ওঠে বাগানে,
বাচ্চারা সব স্কুলে যায় বহু আনন্দে।
জীবনের মানে যদি খুজতে চাও কেহ,
ভোরের সকাল থেকে সারাটা দিন মানুষকে দেখো।
কত রকম রংঙ্গ-লীলা দেখি এই জীবনে,
তবুও শিক্ষা হলো না কোন ক্ষণে।
খারাপ গুলো বাদ দিয়ে শিক্ষা নিয়ে,
মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে এই জীবনে।
জীবনের মানে যারা একবার বুঝতে পারে,
তারা এই জীবনের সার্থকতা খোঁজে।
জীবনের সার্থকতা হয় কর্মের মাঝে,
যারা দিন-রাত কর্মের পিছনে ছোটে।
রাতের আলোতে সব আবার থমকে যায়,
পৃথিবীর বুকে নিস্তব্ধতা দেখা যায়।
সবাই চলে যায় গভীর নিদ্রায়,
চাঁদ মামা আকাশে শুধু উঁকি দেয়।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
দারুণ একটি কবিতা লিখেছেন দাদা। আপনার কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে এই ধরনের বাস্তবভিত্তিক কবিতা পড়তে অনেক ভালো লাগে। একটি মানুষের সারাটি দিন কিভাবে কাটে তা কবিতার মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ দাদা চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।