কর্মফল।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ কর্মফল সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আসলে এই পৃথিবীতে জন্ম মৃত্যু আমাদের নিজের কারো জানা নেই। এই পৃথিবীতে আমরা যখন জন্মেছিলাম তখন আমাদের এই পৃথিবী সম্পর্কে কোন জ্ঞান ছিল না। তখন যে আমরা কোন জগতে ছিলাম তা আমরা নিজেরাও বলতে পারিনা। আসলে ভগবানের কি সৃষ্টি। তিনি এত বড় একটা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এই পৃথিবীতে বিভিন্ন জীবজন্তুর উদ্ভিদ ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন। মনে হচ্ছে যেন তিনি এই পৃথিবীটাকে নিজের হাতে একদম সাজিয়েছেন। আসলে তার কোন তুলনা নেই। তিনি এত বড় একটা পৃথিবী সৃষ্টি করেও পৃথিবীর প্রতিটা জীবজন্তুরকে সুশৃঙ্খলভাবে চালনা করছেন প্রতিনিয়ত। যদিও কখনো অন্যায় অবিচারের সৃষ্টি হয় তখন তিনি পরমুহূর্তেই সেগুলো ধ্বংস করে দেন এই পৃথিবী থেকে।
এত বড় পৃথিবীতে এত ধরনের জীবজন্তুর রয়েছে তার ভিতর তিনি মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব বলে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ মানুষের ভিতরে যেসব জ্ঞান বুদ্ধি রয়েছে তা পৃথিবীর কোন প্রাণীদের ভিতরে হয়তোবা নেই। আসলে তিনি খুব বিচক্ষণভাবেই পৃথিবীতে মানুষকেই সর্বশ্রেষ্ঠ জীব বলেছেন। এই মানুষই তার সৃষ্টির এই পৃথিবীকে আস্তে আস্তে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু মানুষের বুদ্ধি বেশি তেমনি খারাপ কাজের দিকেও তাদের বুদ্ধি অনেকটাই বেশি। আসলে আমরা জন্মের পর থেকে কোন খারাপ কাজ প্রথমে শিখতে পারি না। আর আমাদের জন্ম যদি কোন খারাপ পরিবার হয় তাহলে সেই পরিবার থেকে আমরা আস্তে আস্তে এই খারাপ গুণাবলী গুলো শিখতে থাকি।
আর যারা ভালো জ্ঞানী পরিবারের জন্মগ্রহণ করে তারা জন্মের পর থেকেই এইসব সঠিক গুণাবলী গুলো শিখে জীবনে সেই সঠিক গুণাবলীর ফল আমরা বাইরে প্রয়োগ করতে পারি। তিনি এই পৃথিবীতে বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন ধরনের পরিবারে জন্মগ্রহণ করিয়েছেন। এদের ভিতর কেউবা খুব গরীব পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছে। আবার কেউবা খুব ধনী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছে। আবার কেউবা মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে। আসলে মানুষের পাপ পুণ্যের বিচার কিন্তু এই পৃথিবীতেই হয়ে থাকে। আর আমরা সবাই জন্মান্তরবাদ সম্পর্কে কোন না কোন জ্ঞান অন্যের কাছ থেকে শুনেছি। জন্মান্তর বাদে বলা হয়েছে যে একটা মানুষ নাকি সাত জন্ম এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে।
কেউ যদি আগের জন্মে পূর্ণের কাজ বা ভালো কাজ করে তাহলে পরবর্তীতে তাকে এই পৃথিবীতে ভালো পরিবারে জন্মগ্রহণ করতে হয়। কারণ তার ভালো কর্মের দ্বারাই সে তার পরবর্তী জন্মের সুখ-শান্তি উপভোগ করতে পারে। আবার যারা ধনী পরিবারের জন্মগ্রহণ করে খারাপ কাজ লিপ্ত হয়েছিল তারা পরবর্তীতে গরিব পরিবারের জন্মগ্রহণ করে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূলতার ভিতরে তাদের জীবন যাপন করতে হয়। অর্থাৎ তাদের জীবনটা কষ্টের ভিতর দিয়ে অতিবাহিত হয়। তাদের জীবনে নাকি কখনোই কোন সুখের মুখ দেখতে পারে না। আসলে সত্যিই কিন্তু মানুষ যদি ভালো কর্ম করে তাহলে সেই কর্মের ফল এ পৃথিবীতেই তাকে ভোগ করতে হয়।
ভালো কর্মের দ্বারা ভালো ফল আর খারাপ কর্মের দ্বারা খারাপ ফল তাকে এই পৃথিবীতে ভোগ করতে হয়।আপনারা বর্তমান সময়ে দেখেন যে যারা এই পৃথিবীতে খারাপ কর্ম করেছেন প্রথম দিক থেকে তাদের কিন্তু শেষ জীবনে অনেক কষ্টের ভিতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে। এছাড়াও তারা তাদের কর্মের জন্য তাদের কর্মফল ভোগ করতে হয়েছিল। যারা অন্যায় পথ অবলম্বন করে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে তারাই কিন্তু শেষ বয়সে একদম গরীবের থেকেও অধম হয়ে মারা গেছেন। আপনারা যদি ভালো কর্ম না করেন তাহলে উপর থেকে কিন্তু ভগবান সবকিছুই আপনাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আপনি অন্যের চোখকে ফাঁকি দিতে পারলেও আপনি কিন্তু ভগবানের চোখকে কখনোই ফাঁকি দিতে পারবেন না।
কারণ এই পৃথিবীতে ক্ষুদ্র প্রাণী থেকে উচ্চতর প্রাণীর সবই কিন্তু ভগবানের নখ দর্পণে। আসলে আমাদের ভিতরে যদি এইসব জ্ঞান বোধ থাকে সবসময় তাহলে আমাদের দ্বারা কখনই কোন খারাপ কাজ সম্পন্ন হবে না। আসলে মানুষের ভিতরে ধর্ম কিন্তু সব সময় মানুষকে সঠিক পথে চালনা করতে শেখায়। আর বিভিন্ন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ গুলো কিন্তু ঈশ্বরের বাণী। ঈশ্বর আমাদের এই পৃথিবীতে কি করে চলতে হবে তা তার বাণীর মাধ্যমে আমাদের ভিতরে প্রকাশ করে গেছেন। আর আমরা যদি তার এই বাণী মেনে চলে সেই মতো কাজ করি তাহলে আমরা কখনোই পৃথিবীতে কোন খারাপ কাজে লিপ্ত হব না। আর এর ফলে পৃথিবী এক স্বর্গভূমিতে পরিণত হবে।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
প্রত্যেকটা কাজের কর্মফল আমাদেরকে ভোগ করতে হয় সেটা ভালো হোক কিংবা খারাপ হোক। কথায় আছে "জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভালো।"আমরা যদি খারাপ কাজ করি তাহলে সেগুলোর কর্মফল আমরা ভোগ না করলেও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অবশ্যই ভোগ করবে।খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
পৃথিবী সৃষ্টির শুরুতে কেউই খারাপ হয়ে জন্মায় না,আস্তে আস্তে পরিবেশ পরিবার থেকেই শিক্ষা থেকেই মানুষ খারাপ কিংবা ভালো হয়।সৃষ্টির সেরা জীব হয়েও আমরা ভালো কাজের চেয়ে খারাপ কাজ করতে আগ্রহী বেশি।তবে মানুষ তার কৃতকর্মের ফল পায় হয়ত আগে কিংবা পরে।খুব সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ
সত্যি বলেছেন ভাই যার যার কর্মফল তাকে ভোগ করতে হবে এটা স্বাভাবিক। আর আমরা যা কিছু করিনা কেন সবই আমাদের সৃষ্টিকর্তা দেখেন। সত্যিই তো মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব,মানুষ বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন। আমরা যদি কোন খারাপ বা ভালো যেকাজ করি না কেন তার ফল আমাদের তো অবশ্যই ভোগ করতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
আমরা সনাতনীরা কর্মফল ও পরজন্মে বিশ্বাসী। আত্নার কোন নাশ নেই।ভালো কাজের ফলে ভালো পরিবারে জন্ম এবং খারাপ কাজের ফলে নিম্ন পরিবারের জন্য নিয়ে কষ্ট ভোগ করতে হয়।সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ আর সেই সেরা জিব যদি খারাপ কাজে লিপ্ত হয় তাহলে তো কর্মফল ভোগ করতেই হবে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর করে পোষ্ট টি শেয়ার করার জন্য।