মিলন মেলা। পর্ব:-০৪
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি মিলন মেলা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে মেলায় যদি লোক না থাকে তাহলে সেই মেলাতে কখনো মেলা বলা যায় না। অর্থাৎ প্রতিটা দোকানে গিয়ে দেখি দোকানদারদের মুখে তেমন একটা বেশি হাসি নেই। যেহেতু দোকানের কেনাবেচা কম তাই সবাই মুখ গোমরা করে বসে আছে। আসলে আমারও তাদের দেখে খুব খারাপ লাগছিল। কেননা এসব লোকেরা এই একটা দুটো দিনের জন্য অপেক্ষা করে যে তারা এই সময়টাতে ভালো কেনাবেচা করবে। অর্থাৎ এই অল্প সময়ের টাকা দিয়ে কিন্তু তারা তাদের পরিবারকে পরিচালনা করে। কিন্তু এদিকে মেলার যে অবস্থা এবং মেলার মাঠের যে অবস্থা তাতে করে কোন লোকজন মেলায় আসবে কিনা তার সন্দেহ। আমারও এই মেলায় থাকতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু কি আর করা যাবে। এদিকে গিন্নির চাপে না এসে তো পারা যায় না। তাই মনের অবাধ্য হয়ে মেলায় ঘুরতে এলাম।
আসলে আমরা আস্তে আস্তে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখতে শুরু করলাম। কেননা মেলায় তেমন একটা ভিড় না থাকায় দোকানগুলোর সামনে আমরা একদম মনের মত করে বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখতে লাগলাম। আসলে জিনিসগুলো দেখে মনে হচ্ছিল যে সবই কিনে বাড়ি নিয়ে যাই। কিন্তু এত জিনিস কিনে বাড়িটা কাটতো জায়গা নেই। তাই প্রতিটা জিনিস হাত দিয়ে ধরে দেখছিলাম এবং গুণাগত মান বিচার করে আবার রেখে দিচ্ছিলাম। যাইহোক আমিও বুঝতে পারছিলাম যে দোকানদাররা ভাবছে যে হয়তোবা এবার একটা তারা জিনিস কিনবে। কিন্তু বেশি প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া আমরা আর তেমন কোন জিনিস কখনোই কিনলাম না। যেহেতু সময় কাটাতে হবে তাই বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে সেই জিনিস গুলো দেখে আমরা আমাদের সময় কাটাচ্ছিলাম।
এছাড়াও বিভিন্ন দোকানদারদের সাথে আমি একটু মনের কথা বলছিলাম। একজন দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করলাম যে দাদা আপনাদের কেনাবেচা কেমন হচ্ছে। আসলে লোকটি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বলল যে দাদা মোটেও বাজার ভালো যাচ্ছে না। এবার মনে হচ্ছে যে খরচ করে আমরা এই দোকানটি দিয়েছি এবং যাতায়াত ভাড়া লেগেছিল যত টাকা তার কিন্তু অর্ধেক টাকাও উঠবে না। আসলে এসব কথা শুনলে সত্যিই সবার খুব খারাপ লাগে। যাই হোক তবুও আমি বললাম যে এখনো তো প্রায় চার পাঁচ দিন দেরি আছে। হয়তোবা এর মাঝে যদি আর বৃষ্টি না হয় তাহলে আপনার দোকানের লোকজন আসতে পারে। তখন আমি বললেন যে দাদা দোকান খোলার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে আর এখন পর্যন্ত বৃষ্টির থামার কোন নাম নেই।
বিগত কয়েক দিনে আর বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। কেননা আমি তখন আমার পকেট থেকে মোবাইলটি বের করে তৎক্ষণাৎ আবহাওয়ার খবরটা জেনে নিলাম। যাই হোক আমার কথাটি শুনেন লোকটি বলল যে আপনার কথাটি যদি ঠিক হয় তাহলে তো দাদা ভালো। না হলে এবার একদম পুরো লস করে বাড়ি ফিরতে হবে। এরপর আমরা আস্তে আস্তে উনার সাথে আরও বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে লাগলাম এবং অন্য একটা দোকানের যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। আর আপনারা মাঠের ভিতর দেখতে পাচ্ছেন যে বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গাগুলোতে একটিও লোক নেই। আসলে এরকম শূন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মনে হচ্ছিল যে মেলার মধ্যে শুধুমাত্র আমরা দুজন ঘুরতে এসেছি। আর প্রতিটা লোকের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে তারা মোটেও আনন্দে নেই। কারণ এবারের মেলাটা হয়তোবা তাদের ভালো যাবে না।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।