গরম গরম রসগোল্লা।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি।



IMG_20230730_204647.jpg


তো ছুটির দিনে ভাবলাম একটু বাইরে কোথাও ঘুরতে যাব। কিন্তু কপালে আর ঘুরতে যাওয়া নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি একটানা বৃষ্টি চলছিল। তো ঘরে বসে বসেও সময় কাটছিল না। তাই প্রায় সারাদিন শুয়ে বসে সময় কাটছিল। যখন বৃষ্টি থামে তখন একটু ছাদে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করি। আবার বৃষ্টি শুরু হলে নিচে এসে আবার বিছানায় শুয়ে পরি।


IMG_20230730_204605.jpg


IMG_20230730_204614.jpg


যাই হোক রাত আটটার পরে বৃষ্টি অনেকটা কমে গেল। তখন গিন্নি আমাকে বলল যে, চলো একটু মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি খেয়ে আসি। আসলে আটটার পরে ওই দোকানদার কাকু গরম গরম রসগোল্লা তৈরি করে। যাই হোক গিন্নির কথামতো আমরা কাকুর দোকানের দিকে হাঁটতে লাগলাম। গিয়ে দেখি যে কাকু সবে রসগোল্লা তৈরীর জন্য ছানা গোল গোল করে পাকাচ্ছে।


IMG_20230730_204543.jpg


IMG_20230730_204547.jpg


তখন আমি পুরো বিষয়টি কাকুর কাছে বসে দেখতে লাগলাম। আসলে কাকু আমাকে খুব ভালো করেই চেনেন এবং আমি প্রায় রবিবারই কাকুর দোকানে এই গরম রসগোল্লা খেতে আসি। আসলে কাকুর রসগোল্লার খুব নাম আছে। অনেক লোক অনেক দূর থেকে এই কাকুর রসগোল্লা কিনতে আসে।


IMG_20230730_204554.jpg


যাইহোক প্রথমে কাকু ছানা হাত দিয়ে একটা কাঠের গুড়ির উপরে ডলতে লাগলো। এরপর তিনি ওই ছানা প্রথমে হাত দিয়ে রসগোল্লার তৈরির জন্য আলাদা আলাদা করতে লাগলো। উনার এই রসগোল্লা করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই উনি প্রায় নিখুঁতভাবে প্রতিটা ছানার দলা আলাদা করতে লাগলেন। এরপর ওই ছানার দলাগুলো হাতে নিয়ে গোল গোল করে পাকাতে লাগলেন। উনি একসঙ্গে চারটি করে রসগোল্লা তৈরি করতে লাগলেন।


IMG_20230730_204601.jpg


এরপর তিনি এই রসগোল্লা গুলো একটা ট্রের উপর সাজিয়ে রাখলেন। পরবর্তীতে ভিতর থেকে একজন লোক ওই রসগোল্লা গুলো নিয়ে গরম ফুটন্ত জলের ভেতর ছেড়ে দিলেন। রসগোল্লার তিনি প্রায় ৩০ মিনিট গরম করতে লাগলেন। তিনি খুব সাবধানের সাথে রসগোল্লা গুলো নাড়াচাড়া করতে লাগলেন। কারণ একটু জোরে নাড়াচাড়া দিলে রসগোল্লা গুলো ভেঙ্গে যাবে।


IMG_20230730_204713.jpg


পরবর্তীতে যখন রসগুলো গুলো প্রায় জালানো হয়ে গেল তখন তিনি এই রসগোল্লা গুলোকে একটা বড় পাত্রর ভিতরে সাবধানে সহিত রাখলেন। এই বড় পাত্রে আগে থেকেই চিনি মিশানো জল ছিল। কিছুক্ষণ এই চিনির জলে রসগোল্লাকে ভিজিয়ে রাখা হলো। ওখান থেকে চারটে রসগোল্লা আমাদের দুজনকে কাকু খেতে দিলেন।


IMG_20230730_205258.jpg


আসলে একটা মজার বিষয় হল যে, কাকু কিন্তু কখনো এই গরম রসগোল্লার দাম আমাদের কাছ থেকে নেন না। আমি যদিও জোর করে দিতে চাই কিন্তু তিনি কখনোই আমাদের কাছ থেকে টাকা নেন না। কারণ কাকু আমাদের দুজনকে খুব ভালবাসেন। যাইহোক আমি রসগোল্লা খেয়ে বাড়ির জন্য দশটা রসগোল্লা কিনে আনলাম।


IMG_20230730_204704.jpg


আসলে সত্যিই কাকুর রসগোল্লার স্বাদ অসাধারণ। আমি যখনই সময় পাই তখনই রাতের দিকে কাকুর কাছে এই রসগোল্লা খেতে আসি। আর কাকু খুব ভালো মনের একজন মানুষ। আসলে রসগোল্লা খাবার থেকেও কাকুর সাথে গল্পটাই বেশি হয়। তো কিছুক্ষণ গল্প করে আমরা বাড়ির দিকে চলে আসলাম।


IMG_20230730_204641.jpg

ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 30/07/2023



আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।



সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।



11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Sort:  
 last year 

রসগোল্লা তৈরি করা দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এটা সব সময় আমি বাজার থেকে কিনে খেয়েছি কিন্তু কোন সময় বাড়িতে তৈরি করা হয়নি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে রসগোল্লা তৈরীর রেসিপিটা শিখে গেলাম।

 last year 

ভাইয়া আপনার রসগোল্লার কথা শুনে জিভে জল চলে আসলো।আমিও রসগোল্লা খেতে অনেক পছন্দ করি। বৃষ্টি ভেজা রাতে দু'জন মিলে বাহিরে গিয়ে এভাবে দোকানে বসে রসগোল্লার খাওয়ার যে অনুভূতি তা কখনো ভুলার মতো নয়। আমাদের এদিকে গরমে অবস্থা খারাপ আর আপনারা বৃষ্টির জন্য ঘর থেকে বের হতে পারেন না। ভাইয়া একটু বৃষ্টি আমাদের এদিকে পাঠিয়ে দিয়েন।

 last year 

অতি চমৎকারভাবে মিষ্টি তৈরি করে আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই অসাধারণ প্রতিভা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি,কারণ এভাবে মিষ্টি তৈরি করা স চোখকে আমি কখনো কোথাও দেখি নাই। আজকে প্রথম দেখলাম এ ব্লগে আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 67338.51
ETH 2672.27
USDT 1.00
SBD 2.72