শরীরের সাথে মনের সম্পর্ক।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ শরীরের সাথে মনের সম্পর্ক সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমরা সবাই জানি যে শরীরের সাথে মনের সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ আমাদের শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে আমাদের মন কখনো ভালো থাকে না। এজন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করব যাতে করে আমাদের শরীরটাকে সবসময় ভালো রাখা যায়। আমাদের এই শরীর কিন্তু বিভিন্নভাবে আমরা ভালো রাখতে পারি। প্রথমত আমরা বাইরে বিভিন্ন ধরনের খারাপ খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকবো এবং ঘরের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করব সবসময়। আমাদের শরীর কিন্তু আমাদের কর্মকাণ্ডের উপর অনেকটা নির্ভরশীল। কেননা আমরা যদি বিভিন্ন ধরনের খারাপ কর্মকান্ড করে বেড়াই তাহলে কিন্তু আমাদের শরীরটা যেমন দুর্বল মনে হবে তেমনি আমাদের মন মানসিকতা কখনো ভালো থাকবে না। অর্থাৎ খারাপ কাজকর্ম করলে আমাদের মন খারাপ থাকবে তাই আমাদের মন খারাপ থাকলে আমাদের শরীরও খারাপ থাকবে।
আসলে এই পৃথিবীতে বর্তমান সময় আমরা দেখতে পাই যে কেউ তাদের শরীরের প্রতি তেমন একটা বেশি যত্ন নেয় না। তারা সবসময় চেষ্টা করে কি করে বিভিন্ন ধরনের অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা যায় এবং পুষ্টিকর খাবারের থেকে সবসময় দূরে থাকা যায়। এছাড়াও এখন ছোট ছোট বাচ্চাদের আপনারা দেখতে পাবেন যে তারা খুব ছোটবেলায় ভালো খাবার দাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকে এবং বাইরের বিভিন্ন ভেজাল জাতীয় খাবার খেতে সব সময় বাহানা ধরে। আসলে একটা শিশু যখন ছোট থাকে তখন তার বুদ্ধি বিকাশে এই পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অনেক বেশি থাকে। কেননা তারা যদি ছোটবেলায় সঠিক খাবার গ্রহণ না করে তাহলে তাদের মানসিক বিকাশ থমকে যায়। মানসিক বিকাশ থমকে যাওয়ার ফলে তারা কিন্তু অন্যান্য বাচ্চাদের থেকে অনেক বেশি পিছিয়ে থাকে।
আসলে এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের রঙিন রঙিন জাতীয় খাবার যা বাচ্চাদেরকে সব থেকে বেশি আকৃষ্ট করে। আর এই অভিভাবক যদি তাদের সন্তানদেরকে এই ধরনের খাবার কিনে দেয় তাহলে এতে করে তারা তাদের সন্তানদের মানসিক বিকাশকে সবথেকে বেশি নষ্ট করে দেবে। এছাড়াও শুধুমাত্র ছোটদের ক্ষেত্রে নয় বড়দের ক্ষেত্রেও আমরা যদি সঠিকভাবে খাদ্যগ্রহণ এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ না করে তাহলে কিন্তু আমরা আমাদের শরীরটাকে তেমন একটা বেশি ভালো রাখতে পারব না। কেননা আমরা বর্তমান সময়ে অর্থাৎ যৌবন বয়সে শরীরের প্রতি যদি আমরা চাপ দিয়ে চলার চেষ্টা করি তাহলে এই শরীরটা আমাদের বার্ধক্যের সময় সবথেকে বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে এবং আমরা তখন আর তেমন কোন কাজ করার সামর্থ্য থাকবে না।
আর এজন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করব যাতে করে আমাদের শরীরটা সবসময় ভালো থাকে এবং এবং শরীরের পাশাপাশি নিজেদের মনটাকেও সব সময় আমরা ভালো কাজে লাগাতে পারি। তাইতো একজন শারীরিক সুস্থ লোকের সাথে যখন আপনি কথা বলবেন তখন আপনার খুব ভালো লাগবে। কেননা একজন অসুস্থ লোকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আপনি বিরক্ত হবেন। তাইতো শরীরের সাথে যেমন মনের সম্পর্ক রয়েছে তেমনি মনের সাথেও আমাদের শরীরের সম্পর্ক অবশ্যই রয়েছে। আর আমরা যদি আমাদের শরীর এবং মনকে ভালো রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমরা কিন্তু জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারব এবং আমাদের দ্বারা সকল ধরনের কঠিন কাজ দ্রুত সম্ভব করা হবে। আর এভাবে আমরা জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারব।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
2 место !!! здоровье надо беречь !!!