বাসন্তী পূজা। পর্ব: ০৬
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বাসন্তী পূজার আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে মেলার মাঠে আর বেশিক্ষণ ভালো লাগছিল না। তাই আমরা ওই মেলার মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আসলে সবার মাঝে সময় কাটাতে একটু বেশি ভালো লাগে। যদিও বিভিন্ন ধরনের লোক আসছিল এই মেলার মাঠে এবং তাদের কর্মকাণ্ড ছিল আলাদা ধরনের। এদিকে গিন্নি বললো যে যদি তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠান শুরু হয় তাহলে আমরা কিছুক্ষণ অনুষ্ঠান দেখে যাব। তাই আমরা আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে লাগলাম। যেহেতু প্রায় আরো আমরা কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করেছিলাম ওই মেলার মাঠে। কিন্তু কুড়ি মিনিট পরেও ওই অনুষ্ঠানের কোন কিছুই তখনো শুরু হয়নি। আসলে কোন অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে অনেক প্রস্তুতি থাকে।
যদিও আমরা তেমন কোন প্রস্তুতি আর দেখতে পেলাম না তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে মেলার মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। যেহেতু আমরা বেশিক্ষণ ওই মেলার মাঠে ছিলাম না তাই আমরা ভাবতে লাগলাম যে অন্য একটা পার্কে গিয়ে দুজন মিলে একটু খাবারদাবার কিনে খাব। আসলে বাড়ির পাশে যে এত সুন্দর একটা পার্ক রয়েছে তা কিন্তু আমি কখনো জানতাম না। যাইহোক গিন্নি আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলো। কিন্তু আমরা আরো কিছুটা সময় ওই মেলার মাঠে কাটালাম। আসলে এরপর যেহেতু আমার হাতে যে বাদাম কেনা ছিল সেই বাদাম প্রায় শেষ হয়ে গেছে তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আরো কিছু বাদাম বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাব।
আসলে মেলার মাঠে যদি হাতে বাদাম না থাকে এবং বাদাম খেতে খেতে যদি আমরা মেলা দেখতে না পারি তাহলে হয়তোবা সবকিছু সঠিকভাবে পূর্ণতা পায় না। অনেকে কিন্তু আবার এই বাদামকে প্রেমফলও বলে। কারণ নাকি কোন প্রেমিক প্রেমিকা কোন জায়গায় বসে বসে গল্প করে তখন তারা সেই গল্পের সাথে সাথে বাদাম খেতে থাকে। আর বাদাম খেতে খেতে তারা তাদের সেই সুন্দর মুহূর্তটা উপভোগ করে। আর এজন্যই নাকি বাদামকে প্রেমফলও বলা হয়।
এরপর আমরা বাদাম কিনে আস্তে আস্তে মেলা বাইরে বেরোনোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। যেহেতু মেলার মাঠে প্রচুর লোকের আগমন ঘটেছে এতক্ষণে তাই আমরা শেষবারের মতো আরেকবার পুরো মন্দিরটা দর্শন করে নিলাম। আসলে মানুষের হাতের কাজের কখনো কোন তুলনা হয় না। কারণ মানুষ ছোট ছোট কাজ এত সুন্দর ভাবে করে তা দেখলে সত্যিই মন ভরে যায়। আর মানুষের হাতের কাজের মত এমন নিখুঁত কাজ আর কেউ কখনো করতে পারে না। আর এজন্য মানুষের হাতের কাজের কদর সারা জীবন থেকে যাবে। তখন আমরা আস্তে আস্তে বাইরে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিলাম।
আসলে বাইরে বেরোনোর সময় দেখি কয়েকটি বাচ্চা একটা জাম্পিং টেবিলের উপরে উঠে লাফালাফি করছিল। আসলে ওদের লাফালাফি দেখে আমারও সেই শৈশবকালের কথা মনে পড়ে গেল। কিন্তু আমাদের শৈশবকালে এ ধরনের লাফানোর কোন যন্ত্রপাতি ছিল না। তাই আমরা কোন একটা গাছের ডালে বসে বসে জোরে নিচের দিকে টেনে ধরে উপরে ছেড়ে দিলে আমরাও সেই ডালের সাথে সাথে উপরের দিকে উঠে যেতাম। যাইহোক ওদের আনন্দ দেখে আমার খুব ভালো লাগছিল। যাইহোক এরপর আমরা মেলার মাঠ থেকে বের হয়ে গেলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 16/04/2024
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।