অনু-কবিতা :- ২৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আমার লেখা আর একটি অনু-কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমি প্রথমে বলতে চাই, শিক্ষার কোন বয়স নেই। মানুষ যে কোন মুহূর্তে যেকোনো সময় বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা নিয়ে থাকে এই সমাজ অথবা দেশ থেকে। অবশ্য বিভিন্ন জিনিস থেকে শিক্ষা অর্জনের প্রথমে আগে ওই ব্যক্তিকে শিক্ষিত হতে হবে। কারণ শিক্ষিত না হলে বাইরের পরিবেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যায় না। তাই তো সবার প্রথমে সবাইকে শিক্ষাই মননিবেশ করতে হবে।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের সবথেকে বড় সমস্যা হলো শিক্ষার অভাব। এছাড়াও আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এই শিক্ষা আমাদের সাহায্য করে আমাদের জ্ঞান বুদ্ধিকে বাড়াতে। আসলে শিক্ষা মানুষের ভিতরকার জ্ঞান বুদ্ধিকে বাড়ানোর ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শিক্ষা আমাদের শেখায় কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল।
আসলে শিক্ষার অভাব থাকলে মানুষের ভিতর এই জ্ঞান বুদ্ধি কমে যায়। আর এর ফলে মানুষ বিভিন্ন কুসংস্কারের দিকে ধাবিত হয়। শিক্ষিত লোক কখনোই কুসংস্কার বিশ্বাস করে না। আর এই কুসংস্কারও আমাদের সমাজের একটা বড় সমস্যা। তাই এই কুসংস্কারকে দূর করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের সবাইকেই শিক্ষিত হতে হবে।
আসলে যেসব দেশে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা যত কম, সেই সব দেশ উন্নত দেশ অপেক্ষা হাজার গুণ পিছিয়ে রয়েছে। কারণ শিক্ষা মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে জাগ্রত করে। এবং শিক্ষা মানুষকে সামনের দিকে ধাবিত করে। আর যেসব দেশ আজ পিছিয়ে রয়েছে সেসব দেশে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে সেই সব দেশে শিক্ষিত লোকের হার খুবই কম।
আসলে একজন শিক্ষিত ব্যক্তির পক্ষে পুরো দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। শিক্ষিত ব্যক্তিরা যতই চেষ্টা করুক না কেন তারা কোন মতেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না কারণ হলো অশিক্ষিত লোকেদের বিবেক বুদ্ধির অভাবে তারা সবসময় শিক্ষিত ব্যক্তিদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বাঁধা দেয়।
মূর্খ ব্যক্তিরা সবসময় চায় যে কখনোই দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কারণ তারা বোঝেই না যে শিক্ষার গুরুত্বটা কতটা বেশি। বর্তমান সমাজে দেখা যায় শহর অঞ্চল অপেক্ষা গ্রাম অঞ্চলের দিকে অশিক্ষিত লোকেদের সংখ্যা তুলনামূলক হারে অনেক বেশি। ফলে শহর অঞ্চল অপেক্ষা গ্রাম অঞ্চলের উন্নয়ন খুব ধীর গতিতে সম্পন্ন হয়।
তাইতো আমাদের সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে এইসব ব্যক্তিদের শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা দিতে হবে যাতে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষিত হতে পারে। আমাদের এত বড় দেশ তাই এত বড় দেশের জনগণকে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের একার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। যদি না আমরা সরকারের সাথে এগিয়ে না আসি। তাইতো সরকারের সাহায্যের জন্য আমাদের এইসব শিক্ষিত ব্যক্তিদের কেউ এগিয়ে আসতে হবে।
আমার মনে হয় এই শিক্ষার বিষয়টা অশিক্ষিত ব্যক্তিদের ভিতরে জাগ্রত করা খুব একটা সহজ কাজ। কারণ তারা প্রথমে এই শিক্ষার গুরুত্ব কখনোই উপলব্ধি করতে পারবে না। কিন্তু তাও আমাদের চেষ্টা করতে হবে এসব ব্যক্তিদের শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জানানোর। যখন তারা বুঝতে পারবে শিক্ষার গুরুত্বটা কতটা বেশি তখন তারা এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অবশ্যই এই শিক্ষা নিতে আগ্রহী থাকবে।
বিভিন্ন মনীষীরা বলে গেছেন বিভিন্ন ধরনের বাণী শিক্ষা সম্পর্কে। এই প্রসঙ্গে একটা বাণী রয়েছে যে, আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে একটি শিক্ষিত জাতি দেব। তাইতো প্রত্যেক মা-বাবাকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে। আর শিক্ষিত হওয়ার ফলে তারা শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে অবশ্যই বুঝতে পারবে এবং এর ফলে তাদের সন্তানদের শিক্ষাক্ষেত্রে যেতে তারা সব সময় উদ্বুদ্ধ করবে।
✠ ০১ ✠
শিক্ষার নেই কোন শেষ,
শিক্ষা নিয়ে গড়ি নতুন দেশ।
শেখার কোন বয়স নেই,
তাই শিক্ষায় কর মনোনিবেশ।
শিক্ষিত মানুষ এই সমাজে,
পায় সম্মানের স্থান।
শিক্ষিত মানুষের থাকে,
ভালো-মন্দ বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান।
শিক্ষা মানুষের বাড়ায়,
বিচার, বুদ্ধি, জ্ঞান।
তাইতো সবাই মিলে,
শিক্ষা অর্জনে দেবো মনপ্রাণ।
✠ ০২ ✠
শিক্ষার অভাবের জন্য,
বহু দেশ আজ অনেক পিছিয়ে।
শিক্ষাই পারে একটি দেশকে,
নিয়ে যেতে সামনে এগিয়ে।
শিক্ষা সবার জন্য,
করতে হবে উন্মুক্ত।
মানুষকে বুঝাতে হবে,
শিক্ষার এই গুরুত্ব।
জ্ঞান-বুদ্ধি বাড়াতে হলে,
করো শিক্ষায় মনোনিবেশ।
শিক্ষা ছাড়া আর উপায় নাই,
তৈরি করতে হবে এক শিক্ষিত দেশ।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
এমনিতেই আপনার লেখা অনু কবিতাগুলো আমার অনেক ভালো লেগে থাকে। আজকে আপনি অনু কবিতার মধ্যে শিক্ষা নিয়ে খুব সুন্দর কথা তুলে ধরেছেন আমাদের সকলের উচিত সকল মানুষের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করে দেওয়া আর এই দিকে সকল নাগরিকের সচেতন হতে হবে।