এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -২৫
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
তো আবার আমি বেরিয়ে পড়লাম কিছু গ্রাম অঞ্চলের ছবি তোলার জন্য। সঙ্গে ছিলো আবারও আমার এক বড় দাদা আর এক ভাই। আসলে একা একা ফটো তুলতে ভালো লাগেনা। তাইতো যেখানেই যাই দাদার সঙ্গে যাবার চেষ্টা করি। বাইরের গরমটা একটু বেশি, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এবার কোন একটা গ্রামে গিয়ে ফটোগ্রাফি করব।
তো যাই হোক দাদার গাড়িতে করে আমরা গেলাম নাম না জানা এক গ্রামের উদ্দেশ্যে। আসলে আমরা বেরিয়েই ঠিক করি আজ কোথায় যাওয়া হবে। তো যাই হোক সাথে কিছু শুকনো খাবারও নিয়ে গেলাম। আসলে আমাদের ভিতরে এক একদিন এক একজনের খাওয়ানোর পালা থাকে। একদিন ফটোগ্রাফি করতে গেলে দাদা খাওয়ায়। আর আরেকদিন আমার পালা।
তো আমরা সেদিন এক গ্রামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। চারিদিকে এত বেশি গরম পড়েছিল যে আমাদের আর বেশি দূরে যেতে ইচ্ছে করছিল না। যাইহোক যাবার সময় রাস্তার পাশে গাছের ছায়ার নিচে গাড়ি রেখে আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। তো তখনই পাশে দেখতে পেলাম দুজন বালক গাছ কাটার জন্য কুড়াল নিয়ে এসেছে।
তো আমরা সাথে সাথে আমাদের গাড়ি থেকে ক্যামেরাটি নিয়ে নিলাম। তখন ছেলে দুটো আমাদের কাছে এসে বলল দাদা আমাদের একটি ছবি তুলে দেবে। আসলে ক্যামেরা দেখলে এর আগে অনেকেই এভাবে আমাদের বলেছে যে একটা ছবি তুলে দেওয়ার জন্য। তো আমরা বললাম তোমরা গাছ কাটো, আমরা তোমাদের ছবি তুলব।
আমাদের কথা শুনে ছেলের দুটো খুব খুশি হল। তারপরে খুব দ্রুত একটি ছেলে একদম গাছের প্রান্তে উঠে গেল। আসলে তারা দুপুরে বাড়ি খেতে গিয়েছিল। এসে আবার পুনরায় গাছ কাটা শুরু করল।
আসলে গাছের এত উপরে উঠে গাছ কাটা কিন্তু খুবই কঠিন। আমাদের তো দেখেই ভয় লাগছিল যে কিভাবে এত উপরে উঠে এরা গাছ কাটছে।
কিন্তু এই ছেলেদের আগে অভিজ্ঞতা আছে গাছ কাটার। তাই তাদের একটুও ভয় করছিল না। আসলে আমার শরীর শিরশির করছিল ওদের গাছ কাটা দেখে। কারণ ওরা এত উপরে উঠে কোন সেফটি ছাড়াই আনমনে দাঁড়িয়ে গাছ কাটছে।
একজন তো আবার আরাম করে পা তুলে গাছের উপর বসে রয়েছে। আসলে ছেলেটি বলল দাদা আমি একটা পোস দিব তুমি এই ছবিটা আমাদের তুলবে। আসলে এভাবে গাছের উপরে উঠে গাছ কাটা খুবই কষ্টকর।
তো হঠাৎ করে ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে বলল দাদা এবার এই ভাবে আমার একটা ছবি তুলে দেখাও তো। তো আমি সাথে সাথে তার ছবিটি আমার ক্যামেরায় বন্দি করলাম।
আসলে ছেলেগুলো খুব মজায় ছিল। তখন আমি ওদের বললাম তোরা সাবধানে গাছ কাট ওখান থেকে পড়ে গেলে তোদের শরীরের একটা হাড় ও আর আস্ত তো থাকবে না। তখন একজন জোরে আমাদের উদ্দেশ্যে বলল, আমাদের এরকম গাছ কাটা অভ্যাস আছে দাদা।
আসলে রাস্তার পাশে গাছটি মারা গিয়েছিল অনেক আগে। আর এই ছেলেগুলো ঘরের জ্বালানির জন্য এই গাছ কাটতে এসেছিল। আমি আবার ওদের জিজ্ঞাসা করলাম তোরা কি কোন স্কুলে যাস। তখন তাদের ভিতর একজন বলল আমি স্কুলে যাই কিন্তু আরেকজন স্কুলে যায় না।
আসলে আমার ছবি করা দেখে ওরা গাছের উপরে উঠে দুষ্টুমি করা শুরু করল। এই দুষ্টুমি দেখে আমি আবারো বললাম তোরা গাছের উপরে উঠে দুষ্টুমি করিস না। যাইহোক আমার কথায় কর্ণপাত না করে ওরা ওদের মতো দুষ্টুমি চালিয়ে যেতে লাগলো।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : Nikon D5200
ক্যামেরা লেংথ : 300 mm
আসলে সংসারের সামান্য একটু বোঝা কমানোর জন্য তারা এভাবে গাছ কাটে। ওরা নাকি আবার পয়সার বিনিময়েও গাছ কাটে। যাই হোক আজকের মত ফটোগ্রাফি এখানেই আমি শেষ করে দিলাম। এবং ফটোগ্রাফি বন্ধ রেখে আমরা আবার বাড়ির দিকে ফিরে আসলাম। কারণ বাইরে খুব গরম পড়েছিল।
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাহ আপনি দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। যদিও একই জিনিসের ফটোগ্রাফি করেছেন কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফী বানিয়েছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনার মত আমারও ফটোকপি করতে ভীষণ ভালো লাগে। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দুজনের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দুজনের আবদার পুরুন করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। দাদা আপনার ফটোগ্রাফি সব সময়ই ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
ঠিক বলেছেন দাদা একা একা কোথাও গিয়ে ফটোগ্রাফি করতে একদমই ভালো লাগেনা। সাথে যদি কেউ থাকে তাহলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনার ফটোগ্রাফির কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। কারণ আপনি সব সময় দারুন ফটোগ্রাফি করেন। অসাধারণ ছিল ফটোগ্রাফি গুলো।
সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখে আমি জাস্ট মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। ছেলে দুটো কি সুন্দর ভাবে গাছ কাটছে। ফটোগ্রাফি করতে করতে তাদের সাথে কিছু কথা বলে নিলেন।
মাঝে মাঝে এভাবে বেরিয়ে পড়তে খুব ভালো লাগে নাম না জানা কোন স্থানে অজানা কোন জায়গায়। এভাবে ঘুরে বেড়াতে আসলে কার না ভালো লাগে। তবে ঠিক বলেছেন একা একা কোথাও ভালো লাগে না তাই আপনার দাদাকে সাথে নিয়ে নিয়েছেন ভালো করেছেন। সত্যি ছেলেগুলো দেখে খুব মায়া লাগছে। কিছু পয়সার বিনিময় কিভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাছ কাটছে সৃষ্টিকর্তা ওদের ভালো রাখুক।
আসলে কি করা যাবে বলেন ভাইয়া পরিবারের স্বার্থে তারা স্কুলে যাবার পরিবর্তে কাজে লেগে গিয়েছে। যে সময়টাতে তাদের স্কুলে যাবার কথা ছিল সেই সময়টাতে তারা কার্ড কেটে জীবিকা নির্বাহ করছে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালই লাগলো।
আপনার ফটোগ্রাফিগুলো বেশ সুন্দর ।কি যে পরিস্কার । আর ফটোগ্রাফি যার নেশা তার ছবিতো সুন্দর হবেই। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে ছেলেগুলোকে দেখে খুব মায়া লাগছে । যে বয়সে তারা স্কুলে পড়ালেখা করার কথা সে বয়সে তারা এখন পরিবারের জন্য কাজে লেগে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।