বাসন্তী পূজা। পর্ব: ০২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বাসন্তী পূজার আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
বাঙ্গালীদের বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ছোট বড় অনেক দোকান দেখা যায়। আসলে এই জগদ্ধাত্রী পূজার মাঠের পাশে অনেকগুলো বিভিন্ন ধরনের দোকান ছিল। আসলে এসব দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং কসমেটিকসের জিনিসও পাওয়া যায়। এছাড়াও বাচ্চাদের খেলনা তো রয়েছেই। তো যেহেতু আমাদের এলাকাতে শুধুমাত্র এই একটাই বাসন্তী পূজা হয় তাই আর কোথাও যেতে হয় না আমাদের। কারণ দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন জায়গায় দুর্গা মণ্ডপ তৈরি হয় এবং আমরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন দুর্গা মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুরের মুখ দর্শন করি।
আসলে বাসন্তী পূজা আমাদের এলাকাতে খুব কম হয়। কিন্তু আমরা যে জায়গাটিতে পূজা দেখতে এসেছি সেই জায়গাটিতে বহু কাল থেকে এই বাসন্তী পূজা হয়ে আসছে। আসলে এখানে দুর্গাপূজার সময়ে দুর্গাপূজা উদযাপন করে না। আসলে বাঙ্গালী রীতিনীতিতে তারা সেই বাসন্তী পূজাতে বড় করে পূজা করে। যাইহোক আমরা পূজার মন্ডপ থেকে বেরিয়ে এসে বাইরের মণ্ডপের ছবিটি তুলে নিলাম আমাদের মোবাইল ফোনে। এরপর কিছুক্ষণ পূজা মন্ডপটিকে চারিদিক থেকে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলাম।
আসলে পূজা মণ্ডপ দেখা শেষ হয়ে গেলে আমরা চারিদিকের দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে শুরু করলাম। আসলে আমার কাছে কোন মেলার দোকানের খাবার তেমন একটা বেশি পছন্দ হয় না। কারণ মেলাতে প্রচুর পরিমাণ খাবার বিক্রি হয় কিন্তু তারা কখনো এই খাবারের গুণগত মান ভালো রাখার জন্য চেষ্টা করে না। আসলে এসব খাবার খেলে আমার পেটেও একটু সমস্যা হয়। যাইহোক আমরা বিভিন্ন দোকান পর্যায়ক্রমে দেখতে শুরু করে দিলাম।
যেহেতু দোকানগুলোর সারিবদ্ধভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সাজানো ছিল। তাই আমরা এই দোকানগুলো সর্বপ্রথম দোকান থেকে পর্যায়ক্রমে দেখতে শুরু করে দিলাম। আসলে এক একটা দোকানে এক এক ধরনের জিনিস পাওয়া যাচ্ছিল। যদিও আমার খেতে ইচ্ছা হচ্ছিল তবুও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমি কোন দোকান থেকে তেমন কোন খাবার কিনলাম না। আর গরমের সময় আইসক্রিমের দোকান তো থাকবেই।
এরপর আমরা আরেকটা দোকানে যখন গেলাম তখন একটা ছোট বাচ্চাকে দেখলাম যে বাইরের খাবার খাওয়ার জন্য সে লাফালাফি করছে। আসলে বর্তমান সময়কার বাচ্চাগুলোও বাইরের খাবার খেতে খেতে তাদের শরীর খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কারণ বাইরের খাবারে এত পরিমাণে ভেজাল থাকে যে আমাদের বড়দের শরীরও এই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। আর এসব ছোট বাচ্চারা যদি এসব খাবার খায় তাহলে তো তোদের শরীর অবশ্যই অসুস্থ হবেই। যাইহোক বাচ্চাটির জেদের কাছে তার মা-বাবা হার মেনে গেল।
এরপরে আমরা আরেকটি দোকানে গিয়ে দেখতে পেলাম যে সেই দোকানে বিভিন্ন ধরনের আচার রয়েছে। যাইহোক এই সব ধরনের আচার দেখে আমার জিভে জল চলে এলো। কারণ সাধারণত সবার টক জাতীয় এবং আচার জাতীয় জিনিস দেখলে জিভে জল চলে আসে। যাইহোক আমি ওই দোকান থেকে দ্রুত গিন্নীকে নিয়ে পরবর্তী দোকানে চলে গেলাম। কারণ বেশিক্ষণ ওই দোকানে থাকলে হয়তোবা ওই দোকান থেকে আচার কিনে গিন্নিকে দিতে হবে। আর বাইরের এসব ধরনের আচার দেখতে যতটা সুন্দর হয় কিন্তু এই আচার খাবার জন্য ততটা ভালো নয়। কারণ এই আচারের বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দেওয়া হয়।
আর পরবর্তীতে আমরা দেখতে পেলাম যে মাঠের এক কোণে একটা মোটামুটি বড় স্টেজ করা রয়েছে। আর এই স্টেজে কিছুক্ষণ পর অনুষ্ঠান শুরু হবে। যেহেতু আমরা একটু আগেই এই পূজা মন্দির দেখতে চলে এলাম তাই তখনকার লোকের ভিড়ও কম ছিল এবং তখনও কোন অনুষ্ঠান শুরু হয়নি। যেহেতু পূজার প্রতিদিন এইখানে বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি অনুষ্ঠান হচ্ছে। আর এর আগের দিন যেহেতু সুন্দর সুন্দর নাচ হয়েছিল। আর এই কথা শুনে আমার গিন্নির মনটা খারাপ হয়ে গেল। কারণ তার নাচের ফাংশন দেখতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক আমরা আর বেশিক্ষণ ওই স্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে রইলাম না।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 16/04/2024
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।