এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -২৬
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
টিয়া পাখি আমরা তো সবাই চিনি। এই পাখিটি আগে সচরাচর দেখা গেলেও বর্তমান সময়ে এই পাখিটি বিলুপ্তির পথে। আগেরকার সময় বিভিন্ন মরা গাছে টিয়া পাখি তার ঠোঁট দিয়ে বাসা তৈরি করত। অর্থাৎ তার ঠোঁট দিয়ে গাছের ভিতর গর্ত করে সেখানে বসবাস করত। বিশেষ করে মরা কোন নারকেল বা তাল গাছে এদের বেশিরভাগ বাসা দেখা যেত।
এই পাখিটির ঠোঁট অনেক সূচালো। অর্থাৎ এই ঠোঁট দিয়ে এরা খুব সুন্দরভাবে বিভিন্ন ফলগুলো খেয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন গাছে আম অথবা পেয়ারা পাকে তখন এসব গাছে এদের দেখা যায়। সাধারণত এরা পাকা ফলমূল খেতে বেশি পছন্দ করে।
এদের ডাকটা কিন্তু খুব সুমধুর। বিভিন্ন ধরনের টিয়া পাখি আমরা সাধারণত দেখতে পাই। কিন্তু এই সবুজ রঙের টিয়া পাখি আমাদের এসব এলাকায় বেশি দেখা যায়। এদের পুরো শরীর সবুজ হলেও এদের ঠোঁট কিন্তু লাল।
এসব টিয়া পাখির লেজ অনেক লম্বা হয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অসাধু ব্যক্তিরা এইসব টিয়া পাখি ধরে বাজারে বিক্রি করে। আর এর ফলে এসব পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এসব পাখির সংখ্যা দ্রুত হারে হ্রাস পাচ্ছে দিন দিন।
আমরা অনেকেই দেখে থাকি যে অনেক বাড়িতে এই টিয়া পাখি পোষা হয়। এ টিয়া পাখি কিন্তু মানুষের মতো কথাও বলতে পারে যদি এদের সুন্দর ট্রেনিং দেওয়া হয়। আসলে আমার মামার বাড়িতেও একটা টিয়া পাখি ছিল যেটি কিনা মানুষের মতো হুবহু কথা বলতে পারতো। আর তাই আমাদের সবার উচিত এটিএ পাখি রক্ষার জন্য এসব অসাধক ব্যক্তিদের প্রশাসনের হাতে ধরিয়ে দেওয়া।
একটা কথা আছে না, বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেবো কিসে। আর এই বুলবুলি পাখি আমাদের অতি পরিচিত একটি পাখি। গ্রামাঞ্চলের দিকে এসব পাখিদের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। এসব পাখির রং অনেকটা ধূসর হলেও নিচের দিকে লাল অংশ রয়েছে।
এসব পাখি সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সবজি খেতে অর্থাৎ লাউ, কুমড়া, শশা এসব ক্ষেতে বেশি দেখা যায়। এদের প্রধান খাদ্য হল বিভিন্ন ধরনের ফলমূল। এছাড়াও এসব পাখি বিভিন্ন পোকামাকড় শিকার করে খায়। এসব পাখিও বিভিন্ন প্রকার অসাধু ব্যক্তিদের শিকারের ফলে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
আর মাছরাঙ্গা তো আমরা সবাই চিনি। এই মাছরাঙ্গা পাখিটি খুবই ছোট হয়। কিন্তু এদের গলার স্বর অনেক উঁচু। অর্থাৎ অনেক দূর থেকে এই পাখির শব্দ শোনা যায়। এই পাখিটি উপরের অংশ নীল এবং নিচের অংশ কিছুটা কমলা রঙের। এবং এর একটি তীক্ষ্ণ ঠোঁট রয়েছে। যার সাহায্যে এরা বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ, মাছ শিকার করে খায়।
আসলে বিভিন্ন হাওর বাওর এলাকায় এই মাছরাঙ্গা পাখি বেশি দেখা যায়। এরা বিভিন্ন ফড়িং জাতীয় পতঙ্গ শিকার করে খায়। এছাড়াও এই পাখির প্রধান খাদ্য হলো বিভিন্ন ধরনের ফলমূল।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : Nikon D5200
ক্যামেরা লেংথ : 300 mm
আসলে এই পাখির কণ্ঠস্বর খুব সুমধুর। আর এই পাখি সাধারণত ছোট ছোট গাছের ডালে বাসা বাঁধে। আসলেই পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো বিভিন্ন অসাধু ব্যক্তি এই পাখি শিকার করার ফলে।
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
জি ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি।সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে টিয়া পাখির ফটোগ্রাফিটা। আর আপনি ঠিকই বলেছেন সচরাচর টিয়া পাখি এখন আর দেখা যায় না বিলুপ্তর দিকে আগে অনেক দেখা যেত টিয়া পাখি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
দাদা আপনি প্রতিটি ফটোগ্রাফিই সাথে অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। টিয়া, বুলবুলি, মাছরাঙ্গা এসব পাখিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
অসাধারণ অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন । আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
টিয়াপাখি এবং মাছরাঙ্গা পাখির ফটোগ্রাফি দেখে চোখ ফেরাতে পারছি না ভাইয়া। আপনি প্রতিনিয়ত খুবই মনমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে থাকেন। আপনার সব সময় দারুন দারুন ফটোগ্রাফি গুলো আমি দেখি এবং মুগ্ধ হই। আপনি সত্যি কারের একজন খুব ভালো মানের ফটোগ্রাফার।
ভাই আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু পাখির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। টিয়া পাখি ,মাছরাঙ্গা, বুলবুলি পাখি সবগুলো পাখি আমার খুব পরিচিত। আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই পাখিটি এখন খুব একটা দেখা যায় না। মাছরাঙ্গা পাখি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে মাছরাঙ্গা পাখির ডিজাইনটি খুবই সুন্দর হয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।