গরু এবং মহিষের খামার। পর্ব: ০২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ গরু এবং মহিষের খামারে গিয়ে আমার কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে সেদিন একটু সমস্যা হয়ে গেছিল। কারণ আমি যাবার আগে ওই দাদা গরুর দুধ সব বিক্রি করে দিয়েছিল। যেহেতু সকালবেলায় আমি উনার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারিনি তাই উনি ভেবেছিলেন যে আজ আমি আর দুধ নেব না। যাই হোক আমি ওনার কাছে গিয়ে বললাম যে আমি তোমাকে সকাল থেকে প্রায় চার-পাঁচ বার কল করেছি। তখন উনি আমাকে বলল যে উনি বাইরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এজন্য মোবাইল ফোনটি সঙ্গে নিতে ভুলে গিয়েছিলেন। আসলে এর পর মুহুর্তে আমি যখন দুধের কথা বললাম তখন উনি বললেন যে এই কিছুক্ষণ আগে উনি গরুর দুধ বিক্রি করে দিয়েছেন। যাইহোক উনার কথা শুনে আমার একটু রাগ হচ্ছিল।
কারণ এক দিক থেকে এই রোদের ভিতর আমি এত দূরে দুধ কিনতে এসেছি এবং উনি দুধ বিক্রি করে দিয়েছেন এই জেনে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল এবং রাগ হচ্ছিল। যাইহোক আমি ওই দাদাকে বললাম যে আমার আজ দুধের খুব প্রয়োজন। আপনি যে করেই হোক আমাকে আজ গরুর দুধ দিতেই হবে। আর যেহেতু দাদা অনেক সকাল থেকে কাজ করছিল তাই ওনার অনেক বেশি কষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আসলে উনিও বুঝতে পারেননি যে আমি আর আসবো। যাইহোক তখন দাদা আমাকে বলল যে, তুমি কিছুক্ষণ দাড়াও আমি দেখি চেষ্টা করে।
আসলে চারিদিকে রোদের তেজ এতটাই বেশি ছিল যে আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। কারণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলে বেশি কষ্ট হচ্ছিল। যাই হোক আমি একটা গরুর ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে পড়লাম এবং চারিদিকের বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলতে শুরু করে দিলাম। একটি কালো এবং সাদা রংয়ের গরুর পাশে দাঁড়াতেই গরুটি আমায় দেখে ফুসফুস করতে শুরু করে দিল। হয়তোবা তার কাছে দাঁড়ানোতে গরুটি একটু অস্বস্তি বোধ করছিল এবং মাঝে মাঝে আমাকে গুতো দেওয়ার জন্য তেরে আসছিল। যেহেতু গরুটি দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল তাই আমার আর ওই স্থান থেকে সরার কোনো প্রয়োজন মনে হলো না।
পাশে অন্য একটি জায়গায় দেখতে পেলাম যে একটি লোক একটি বড় ড্রামের ভিতরে জল দিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের মিশ্রণ করছে এবং তার সামনে অনেক খড় রাখা রয়েছে। আসলে এই খড়গুলো উনি জল মেশানো শেষ করে এগুলো কাটতে শুরু করে দেবেন। অর্থাৎ ছোট ছোট সাইজ করে কেটে সেই খড় গরুকে আলাদা আলাদা করে খেতে দেবেন। আসলে শুধুমাত্র আমরা দেখি যে গরু পালন অনেক লাভজনক। কিন্তু এই গরু লালন-পালন করতে যে কতটা বেশি কষ্ট তা একমাত্র যারা গরু পালে তারাই বুঝতে পারে।
আর একদিকে দেখতে পেলাম যে বড় বড় ড্রামের ভিতরে মহিষের দুধ এনে সেই ড্রামে রাখা হচ্ছিল। আসলে এখান থেকে যারা দুধ কিনে নিয়ে যায় তারা কিন্তু একদম খাঁটি দুধ পায়। কারণ এনারা দুধে কোন প্রকার জল মেশায় না। কারণ এর আগে আমি এতক্ষন এই খামারে দাঁড়িয়ে থাকিনি কোনোদিন। যেহেতু আজ অনেক দেরি হচ্ছিল তাই চারিদিকে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে লাগলাম। একজন লোক খালি বালতি করে দুধ দুইয়ে এনে আবার সেই দুধ এনে সেই বড় ড্রামে রাখছিলেন। আসলে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এখান থেকে দুধ কিনে সেই দুধে বিভিন্ন প্রকার ভেজাল এবং জল মেশায়। যাই হোক আমি ঘুরে দেখছিলাম চারিদিকটা।
এছাড়াও এই বাড়িতে যেমন প্রচুর পরিমাণে গরু এবং মহিষ রয়েছে ঠিক একই রকম ভাবে এই বাড়িতে অনেক গুলো কবুতর আমি দেখতে পেলাম। আসলে এই বাড়ির লোকজন এই কবুতরের জন্য আলাদা করে একটা জায়গা তৈরি করে দিয়েছে। আসলে এভাবে এনারা একই সাথে কবুতর এবং গরু পালন করেন। আর কবুতরগুলো মাঝে মাঝে উড়ে উড়ে চারিপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেহেতু কবুতরগুলো পোষা তাই মাঝে মাঝে দুই একটা কবুতর আমার কাছে এসে পাশে একটা গাছের ছোট ডালে বসে পড়ছিল। আসলে এই বাড়িটা মনে হয় একটা জীবজন্তুর এর কারখানা। আসলে সত্যিই ভাল লাগল এত ধরনের জীবজন্তুর একই বাড়িতে বসবাস করতে দেখে।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 27/04/2024
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
গরু মহিষের খামার নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তবে দূরদূরান্ত থেকে কোথাও কোন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায় গেলে, যদি না পাওয়া যায় খুবই বিরক্ত লাগে। ঠিক তেমনি আপনার আজকের এই দুধ পাওয়ার বিষয়টা। যাহোক পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
বেশ বিরক্তকর একটা বিষয়। যখন কোন উদ্দেশ্যে কোথাও যাওয়া হয় আর সেখানে যদি সে উদ্দেশ্য পূরণ না হয় তাহলে খুবই খারাপ লাগে। প্রচন্ড এ রোদ গরমে দুধ আনতে গিয়ে না পাওয়াটা সত্যিই দুর্ভাগ্য ও কষ্টদায়ক। তবে গরু খামার দেখে ভালো লাগলো আমার। খুব সুন্দর বর্ণনা এবং ফটোগ্রাফি ছিল এই পোস্টে।