জলের অপচয় বন্ধ করুন।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ জলের অপচয় বন্ধ করুন সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আমরা জানি যে জলের অপর নাম জীবন। এই পৃথিবীতে মানুষ থেকে শুরু করে যত প্রাণী এবং উদ্ভিদ রয়েছে সকল উদ্ভিদ এবং প্রাণীকুলের এই জলের প্রয়োজন অপরিসীম। কারণ জল ছাড়া এই পৃথিবীতে কোন উদ্ভিদ এবং প্রাণী সামান্য সময়ের জন্য বেঁচে থাকতে পারবেন না। তাইতো আমরা সবাই বুঝতে পারছি যে আমাদের এই উদ্ভিদ এবং প্রাণীগুলোর জন্য এই জলের গুরুত্ব কতটা বেশি। আসলে আমরা প্রতিনিয়ত এই জলের অপচয় বিভিন্ন ভাবে করে থাকি। আসলে এই গরমের সময় সবাই আমরা বুঝতে পারছি যে গরমের সময় জলের কতটা প্রয়োজন হচ্ছে। কারণ আপনি সামান্য একটু পরিশ্রম করলে অনেকটা হাঁপিয়ে যাচ্ছেন এবং পরপর অনেক বেশি জল খাচ্ছেন। কারণ আপনার এক দিক থেকে কাজ করার ফলে দেহে জলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে এবং অন্য দিক থেকে আপনি জল পান করছেন।
আসলে এ থেকে বোঝা যায় যে বর্তমান সময়েও জলের কতটা প্রয়োজন। কিন্তু এই জলের অপচয় মানুষ দিন দিন করার ফলে পৃথিবীর জলপৃষ্ঠের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা যদি বাড়িতে বিভিন্নভাবে জল অপচয় করি এর ফলে কিন্তু সেই জলের চাহিদা বেড়ে যাবে এবং পর্যাপ্ত লোকে জল কখনোই পাবে না। আপনি ধরুন এই পৃথিবীতে যদি একদিন জল শেষ হয়ে যায় তাহলে পৃথিবীর কি অবস্থা হবে। আসলে জিনিসটা ভাবতে সত্যিই আমাদের ভয় হচ্ছে। আর আমরা সবাই জানি যে নদী নালা, খাল, বিল সব হল এই জলের আঁধার। আর মানুষ তাদের প্রয়োজনের জন্য এসব জলের আঁধার দিন দিন বন্ধ করে দিচ্ছে। আসলে আমরা জানি যে জল বাষ্প হয়ে মেঘে রূপান্তরিত হয় এবং সেই জল আবার পুনরায় বৃষ্টি আকারে ভূমিতে ফিরে আসে।
কিন্তু আপনারা বর্তমান সময়ে একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছেন যে এখন মাটির নিচ থেকে জল আর উত্তোলন করা যাচ্ছে না। কারণ মানুষ যে পরিমাণে মাটির নিচের সঞ্চিত জল বের করে ফেলেছে এতে করে জলের লেয়ার অনেকটা বেশি নিচে নেমে গেছে। এছাড়াও মানুষ বিভিন্ন পুকুর বন্ধ করে দেওয়ার ফলে জলের আঁধার কমে যাচ্ছে। আসলে জল কিন্তু এইসব পুকুর এবং নদী নালা থেকে আস্তে আস্তে মাটির নিচে চলে যায়। আর এর ফলে মাটির নিচের জলের স্তর বাড়তে থাকে। কিন্তু এই জলের আঁধার কমে যাওয়ার ফলে আমরা প্রতিবছর বড় বড় বন্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। কারণ মাটির নিচে জল প্রবেশ করতে না পারলে সেই জল কিন্তু ভূমির উপরে থাকবে। আর এর ফলে সৃষ্টি হবে বন্যার।
আসলে আমরা এছাড়াও দেখি যে বিভিন্ন রাস্তার পাশে প্রতিনিয়ত জলের ট্যাপ দিয়ে জল পড়তে থাকছে। আসলে সরকার যদি সেইসব জলের পাইপগুলো বন্ধ করার সিস্টেম দিয়ে দেয় তাহলে কিন্তু এত পরিমাণ জল অপচয় হয় না। আসলে যে পরিমাণে জল অপচয় করছে একদিন কিন্তু আমাদের জল ছাড়াই মৃত্যুবরণ করতে হবে। এছাড়াও আমরা বাড়িতে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে জলের ট্যাপ খোলা রাখি। আমাদেরকে এসব বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। আর আমরা সবাই বুঝতে পারছি যে এই গরমের সময় আমাদের জলের চাহিদা কতটা বেশি হচ্ছে। আর জলের চাহিদা যদিও গরমের সময় অনেক বেশি হচ্ছে কিন্তু সেই পরিমাণ জল আমরা কখনো পাচ্ছিনা। তাইতো এই গরমের সময় জলের অভাবে আমাদের অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে।
কিন্তু এখনো যদি মানুষ সচেতন না হয় তাহলে কিন্তু আমাদের সামনে অনেক বড় বিপদ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কলকারখানা এই জলাশয়ের পাশে গড়ে তোলার ফলে সেইসব কলকারখানা থেকে যেসব নোংরা পদার্থ বের হচ্ছে সেইসব নোংরা পদার্থ সরাসরি জলে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। আর এর ফলে প্রতিনিয়ত সমুদ্র এবং নদীর জল দূষিত হচ্ছে। আর এই জল দূষিত হওয়ার ফলে এই জলের ভিতর যেসব প্রাণীরা বসবাস করছে তারাও কিন্তু দিন দিন মারা যাচ্ছে। আর এইসব নদী এবং সমুদ্রের জল ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। আরেকটা জিনিস হল শহরাঞ্চল থেকে মানুষের বাড়িতে যেসব নোংরা জল বের হয়ে যায় সেই সব জলের ড্রেইন দিয়ে সরাসরি নদীর সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আর এই নদীর সাথে ড্রেনের জল মিশে আরো বেশি ক্ষতি হচ্ছে নদীর জলের। আসলে আমরা যদি এখনো সচেতন না হই তাহলে একদিক থেকে যেমন জলের পরিমাণ কমতে থাকবে আর অন্য দিক থেকে জল ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে যাবে এই জল দূষণের ফলে। তাইতো এই পৃথিবীতে যাতে জল দূষণ না হয় সেদিকে আমাদের সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর আমরা যদি সেদিকে লক্ষ্য না রাখি তাহলে আমাদের এই দূষিত জল পান করার ফলে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ হতে পারে। তাইতো সরকারের সাথে আমাদের সকল জনগণকে হাতে হাত মিলিয়ে দেশের এই জল অপচয়কে বন্ধ করতে হবে। তাইতো আমাদের প্রধান শ্লোগান হবে জলের অপচয় রোধ করুন এবং জীবন বাঁচান।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
জলের অপচয় বন্ধ করুন শিরোনামে জনসচেতনামূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন আপনার লেখায়। আমরা সবাই জানি জলের অপর নাম জীবন। কিন্তু সেই জলকে আমরা যাচ্ছেতাই করে দূষিত করে চলছি -অপচয় করে চলছি। মেগা সিটিগুলোতে পানীয়জলের সংকট হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। এমনিতেই সারা বিশ্বে সুপেয় জলের পরিমান দিন দিন কমছে। এখনেই আমরা সচেতন না হলে সামনে আমাদের জন্য মহাবিপদ অপেক্ষা করছে। গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে জলের অপচয় অধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।যে যেভাবে পারছে সে সেভাবে প্রতিনিয়ত জল অপচয় করে যাচ্ছে। এই গরমের মধ্যে অনেকে অনেক ভাবে জল অপচয় করে যাচ্ছে, বাধা দেয়ার মতো কোনো মানুষ নেই। তবে এই ভাবে জল অপচয় করলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের কে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।তাই আমাদের কে এখন থেকে জল অপচয় করা কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
আসলে সত্যি কথা বলতে কি ভাইয়া আমাদের সব কিছুর সঠিক ব্যবহার করা প্রয়োজন। এ যেমন পানি আমরা ব্যবহার করার সময় কিন্তু জ্ঞান করে ব্যবহার করে না। আজ প্রচন্ড রোদ গরমের কারণে অনেক জায়গায় মানুষ পানি পাচ্ছে না। আমরা যদি সঠিকভাবে এর ব্যবহার করি অবশ্যই অনেক সময় এর যথার্থ সমাধান তৈরি করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আসলে আমাদের পানের অপচয় কম করতে হবে। আমরা যারা পানির সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানিনা তাদের এই বিষয়ে সজাগ ও সচেতন হতে হবে। আজকে আমরা অনেক জায়গায় পানির সংকট লক্ষ্য করছি। তাই এখনই উপযুক্ত সময় এই বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়ার।
গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিকস নিয়ে লিখলেন দাদা বেশ ভালো লাগলো। আপনি একদম সমসাময়িক একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন। প্রতি বছর দেখবেন শুষ্ক মৌসুম আসলেই পানির সংকট শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে যারা গ্রাম অঞ্চলে রয়েছেন তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। পানি লেয়ার এত নিচে নেমে গেছে ডিপ টিউবয়েল খনন করার কারণেও মানুষ যথাযথ পানি পাচ্ছে না। সত্যি কথা মানুষের কথা কি আর বলবো নিজেরটাই বলি যখন ওয়াশরুমে যায় প্রচুর পরিমাণ পানি অপচয় করি। আসলেই কিছু কিছু মানুষ আছেন ঠিকমতো গোসল করতে পারেনা পানির অভাবে। পাহাড়ি অঞ্চলে কিংবা গ্রাম অঞ্চলে গেলে বোঝা যায় তারা কত কষ্টে আছে। আর বিশেষ করে ড্রেনের আবর্জনা গুলো ছেড়ে দিয়ে সাগরের পানি অথবা নদীর পানি দূষণ করতেছে। এ ধরনের পানি অপচয় করার কারণে আজ আমাদের বেহাল অবস্থা। তাই আমাদের সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। তাহলে আমরা আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারি।
এই বছরের প্রকৃতি যেন আমাদের সকলের বিপরীতে চলে যাচ্ছে। আমরা চাইলেও এই সমস্যা সমাধান করতে পারব না। এর জন্য আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে। সব থেকে বেশি সমস্যা দেখা দিচ্ছে পানির ক্ষেত্রে। আমাদের এলাকাতেও পানির লেয়ার অনেক নিচে নেমে গিয়েছে যার কারণে বেশিরভাগ নলকূপে পানি নেই। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের সকলকেই পানির অপচয় রোধ করতে হবে।
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাইয়া , শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই । আসলে বর্তমান সময়ে পানির / জলের যে পরিমান অপচয় হচ্ছে সেটা বলে বুঝানোর মতো না। আমরা যদি এখনো সতর্ক না হই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে অনেক বেশি ভুগতে হবে এর জন্য।