বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৩৯
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু আমরা পুকুরের কাছে ছিলাম সেহেতু কিছুক্ষণের ভিতরে প্রায় পুকুরের চারিপাশে অনেক লোক জড়ো হয়ে গেল। আসলে জড়ো হওয়ার পিছনে একটা কারণও রয়েছে। আমরা যখন ওই ছোট ছোট মাছ কিনে এই বড় মাছেদের খাবার দিচ্ছিলাম তখন প্রায় সব বড় মাছগুলো এক জায়গায় জড়ো হয়ে গেছিল। আর এই মাছ দেখতে চারিদিক থেকে লোক আমাদের জায়গায় এসে ভিড় করে দাঁড়ালো। আর এদিকে রোদের প্রখরতা বাড়তে শুরু করল।
আসলে এই মুহূর্তে আমরা মাছগুলোকে একদম পুরোপুরি দেখতে পেলাম। কারণ আগে রোদের আলো অনেক কম থাকায় মাছগুলো অস্পষ্ট ছিল। এরপরে যখন রোদের আলো একদম ঝকমকিয়ে উঠলো এবং মাছগুলো জলের আরো উপরে উঠলো তখন আমরা মাছগুলোকে একদম সম্পূর্ণভাবে দেখতে পেলাম। যদিও চারিদিকে লোকের ভিড়ে আমরা একদম পিছিয়ে গেলাম। কারন আমরা সবাইকে সুযোগ করে দিলাম এই মাছগুলোকে দেখার জন্য।
আসলে মাছগুলোকে দেখতে অনেকটা শোল মাছের মত। কিন্তু এই মাছের সামনের দিকের পাখনা গুলো একটু বড় এবং পিঠের উপরের পাখনা টাও কিন্তু অনেক বড়। এই মাছের গায়ে ছোট ছোট হলুদের ফোঁটা রয়েছে। যেহেতু এখানের স্থানীয় লোকেরা এটিকে গজাল মাছ বলছিল। কিন্তু আমার কাছে এই মাছটিকে শোল মাছই মনে হচ্ছিল। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম যে শোল মাছ এবং এই গজাল মাছের ভিতর একটু পার্থক্য হল শোল মাছের গায়ে কোন হলুদ ফোঁটা থাকে না। কিন্তু এই গজাল মাছের গায়ে হলুদ, সাদা বিভিন্ন ধরনের ফোঁটা আমরা দেখতে পেলাম।
যেহেতু ওখানে প্রচুর লোকের ভিড় হতে শুরু করল তাই আমরা পুনরায় একদম মেইন মাজারের দিকে রওনা দিলাম। আসলে এই মাজারের ভিতরে গেস্ট হাউজেরও ব্যবস্থা রয়েছে। কারণ দূর-দূরান্ত থেকে লোক যখন এই মাজারে তাদের মনোকামনা পূরণের জন্য আসে তখন তাদের থাকার ব্যবস্থা করা এই মাজারের অন্যতম একটা দায়িত্বের ভিতর দাঁড়ায়। তাই তারা এই মাজারের ভেতরে একটা গেস্ট হাউজও করেছিল। যাতে বিভিন্ন দূর থেকে লোকজন এসে এখানে সহজেই থাকতে পারে।
আরেকটা জায়গায় যখন আমরা এলাম সেখানে আমরা একটা খেজুর গাছও কিন্তু দেখতে পেলাম। আসলে খেজুর গাছের চারিপাশে একটা স্ট্রাকচার তৈরি করা হচ্ছিল। এই স্ট্রাকচারের উপর এরা টিনশেড দিয়ে এখানে একটু বিশ্রাম এর জায়গা তৈরি করে দেবে। আসলে ওই খেজুর গাছটি ছিল সৌদি আরবের খেজুর গাছ। আমরা সাধারণত সৌদি আরবের খেজুর গাছ খুব কম দেখতে পাই এবং সৌদি আরবের মতো এখানেও এই গাছ পাওয়া গেলেও সৌদি আরবের মত খেজুর আর এখানে হয়না।
এরপর যখন আমরা মাজারের সামনে এসে দাঁড়ালাম তখন আমাদের মনটা সত্যিই ভরে গেল। আসলে পবিত্র জায়গায় আসলে যে কারো মন ভালো হয়ে যায়। হিন্দু বা মুসলিম যেই হোক না কেন পবিত্র জায়গায় আসলে সবারই মন ভালো হয়ে যায়। এই মাজারে লোকজন যাওয়ার জন্য পাশে একটি জায়গায় তাদের জুতা খুলে রেখে গেল। এছাড়া বিভিন্ন লোক তাদের হাত-পা ধুয়ে এখানে নামাজ পড়ার জন্য রেডি হতে শুরু করল। আমরা দূর থেকে আসলে সেই জিনিসটি দেখছিলাম।
আসলে আমাদের কিছুক্ষণের ভিতরে খুব গরম লাগছিল। তাই আমরা আমাদের সব গরম পোশাক খুলে ফেললাম। আসলে গরম পোশাক খুলে সবাই আমার কাছে পোশাক দিয়ে বলল, এগুলো তুই ড্রাইভারকে নিয়ে গিয়ে গাড়ির ভিতর রেখে আয়। আসলে আমি কিছুক্ষণ ওই মাজারের বাইরে ড্রাইভার এর জন্য অপেক্ষা করলাম। কারণ ড্রাইভার ভাইটি কিন্তু মুসলিম ছিল। ও মাজারের ভিতরে প্রবেশ করে নামাজ পড়তে গেল। তাই আমি ওর জন্য বাইরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে লাগলাম এবং ও যখন চলে এলো তখন আমি উনাকে নিয়ে গাড়িতে গিয়ে জামা কাপড় রেখে এলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 14/11/2022
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
যেহেতু এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ নামকরা স্থান তাই প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ এখানে যাওয়া আসা করে এবং এই জায়গার সৌন্দর্য অনুভব করে। পুকুরের মাছগুলো সত্যি শৈল মাছের। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন মাজারের আশেপাশের। এ থেকে অনেক কিছু দেখতে পেলাম।
এই জায়গাটাকে দেখে আমি চিনে ফেললাম এটা হয়তো সিলেটে শাহজালাল মাজার। অনেক ভালো একটি জায়গা। গিয়েছিলাম কিছু মাস আগে। অনেক সুন্দর ছিল মুহূর্তগুলো এবং এখানে মাছগুলি যে এত সুন্দর খাবার দিচ্ছিলাম। আপনি বাংলাদেশি এসেছেন জেনে খুশি হলাম। সিলেট দেখার মত একটা জায়গা সুনামগঞ্জ নিকলি হাওর, তারপর শ্রীমঙ্গল সাদা পাথর ভোলাগঞ্জ, সবগুলি অনেক সুন্দর ঘুরছিলাম আমি বেশ ভালো লাগলো।