বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৫৮
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
গ্রামের চারিদিকে তাকালেই যেসব সৌন্দর্য আমরা দেখতে পাই সেসব সৌন্দর্য সত্যিই মনমুগ্ধকর। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা ভারতবর্ষ অথবা সারা পৃথিবীর যেকোনো গ্রামের পরিবেশ সত্যিই মনোমুগ্ধকর হয় সব সময়। আর এজন্য এই গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে বিভিন্ন লেখক এবং বিভিন্ন কবির লেখনীর কোন শেষ থাকে না। আর এই গ্রাম বাংলার যে মাটির স্পর্শ সত্যিই আমাদের মনটাকে জুড়িয়ে দেয়। এই গ্রাম বাংলার ছয় ঋতুতে ছয় ধরনের রূপে সজ্জিত হয় এবং এসব দৃশ্য দেখার মতো ভাগ্য সবার কিন্তু সব সময় থাকে না।
কারণ আমি ছয় ঋতুতে আমি বিভিন্ন সময় এই গ্রামবাংলায় ছয় ঋতু উপভোগ করেছি। চারদিকে যখন আমি দেখতে পাই যে সবুজের সমরহ তখন আমার মনটা সত্যি পাগল হয়ে যায়। এই ছয় ঋতুতে গ্রাম বাংলার রূপ যারা দেখেছেন তারা গ্রাম বাংলার প্রেমে পড়ে গেছেন। সত্যিই আমার কাছে কেন যেন মনে হয় শহরের এই পরিবেশ থেকে আমার গ্রাম বাংলার এই পরিবেশ অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে গ্রাম বাংলার আগাছা থেকে শুরু করে সকল কিছুই আমার সত্যিই খুব ভালো লাগে।
আসলে আপনি যদি কাউকে ভালোবাসেন তাহলে তার সকল দোষ গুণকে নিয়েই আপনি তাকে কিন্তু ভালোবাসেন। তেমনি আমি যেহেতু গ্রাম বাংলার প্রকৃতিকে ভালোবাসি তাই আমার গ্রাম বাংলার খারাপ এবং ভালো দিক দুটোকেই আমি অনেক বেশি ভালোবাসি। আর বিশেষ করে গ্রাম বাংলার মানুষের মতন মন মানসিকতা হয়তো ভাই পৃথিবীতে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ তাদের মনে জটিলতার কোন ছাপ থাকে না কখনোই। আর এজন্য গ্রাম বাংলার মানুষ খুব সহজ সরল হয়।
আর এই গ্রাম বাংলায় এসে আমি চারিদিক যেমন অনেক বেশি ঘুরেছি তেমনি চারিদিকের প্রাকৃতিক পরিবেশের অনেক বেশি ছবি আমি তুলেছিলাম। আসলে যেখানেই যাই আমি আমার সঙ্গে করে আমার মোবাইল ফোনটি নিয়ে যাই। আসলে গ্রাম বাংলার মানুষেরা এই মোবাইল ফোনের ব্যবহার খুব কম করে। আসলে বর্তমান প্রজন্মের ফলে গ্রামবাংলায় একটু বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং মোবাইলে দেখা মেলে। কিন্তু পূর্বের যেসব লোকরা রয়েছে এখনো গ্রামে সেসব লোকেরা কিন্তু এখনো মোবাইল ফোন তেমন একটা ব্যবহার করে না। আর এছাড়াও তারা যেমন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ফসল ফলাতে যায় এবং বিকেলে এসে বিভিন্ন চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে আবার বাড়িতে এসে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
আসলে এই গ্রাম বাংলার যেসব ছবি আমি আমার ফোনে বন্দি করতে পেরেছিলাম সেসব ছবি আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করার চেষ্টা করি সব সময়। আসলে আমার কাছে মনে হয় যে মোবাইলে ছবি তোলাটা একটু বেশিই কঠিন। কারণ আমার কাছে মোবাইল অপেক্ষা ক্যামেরায় ছবি তোলাটা অনেক বেশি সহজ মনে হয়। কারণ আমি ক্যামেরায় নিজের ইচ্ছামত সেটিং করে ছবি তুলতে পারি। যেটি আমি আমার মোবাইলে তুলতে পারিনা। আসলে গ্রামের অনেক মানুষের সাথে আমি পরিচিত হয়ে আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল।
এছাড়াও যেহেতু শীতের এই সময়ে চারিদিকে জল অনেক শুকিয়ে যায় তাই একটা মাঠের এক কোণে সামান্য একটু জলের উপরে কিছু জলজ উদ্ভিদ জলের উপর ভেসে ছিল। আসলে বর্তমানে এই ধরনের উদ্ভিদ আমি বিভিন্ন ধরনের বাড়ির টবে দেখতে পাই। এটা একটা জলজ উদ্ভিদ। এছাড়াও এই অল্প জলে ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের মাছও ছিল। যদিও চারিপাশ দিয়ে কাদার পরিমাণটা অনেক বেশি ছিল তাই আমি আর জলের বেশি কাছে যেতে পারলাম না।
এরপরে এই কলাই ক্ষেতের পাশে অন্য একটি সরিষা ক্ষেত দেখতে পেলাম। আসলে এই সময়ে সরিষার গাছে ফল ধরে এবং সরিষা ফুলের সংখ্যা অনেকটা কমে যায়। আসলে যত ফল পরিপক্ক হতে থাকে তত সরিষা গাছে ফুলের পরিমাণ শূন্য হতে থাকে। প্রায় শীতের শেষের দিকে এই সরিষা ফুলের বীজ পরিপক্ক হয়ে যায় এবং সেই বীজ থেকে চাষিরা বাড়িতে সরিষা দানা বের করে নেয়। এছাড়াও কোন কোন চাষী এই সরিষা থেকে তেল তৈরি করে আবার কোন কোন চাষী এই সরিষা বাজারে বিক্রি করে।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আজকে অনেকদিন পরে আপনার কাছ থেকে এই বাংলাদেশ ভ্রমণের একটি পর্ব দেখতে পেলাম। খুব সুন্দর ভাবে আপনি এই পর্বের মধ্যে অনেক কিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন এবং দেখতে দেখতে বাংলাদেশ ভ্রমণের পর্বগুলো বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে৷ যখনই আমি আপনার কাছ থেকে এই ভ্রমণের পর্বগুলো দেখি তখন অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগে এবং আজকেও এই পর্বের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অনেক কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন৷ খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷