বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ৬০
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক সময় ঘুরিয়ে বেরিয়েছি। কিন্তু এসব শহর অঞ্চল অপেক্ষা আমার কাছে গ্রাম বাংলা অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। কারণ আমি শহরাঞ্চল অপেক্ষা এই গ্রাম বাংলায় অনেক বেশি মজা পেয়েছিলাম। তাইতো আমার কাছে এই গ্রাম বাংলা অনেক বেশি ভালো লাগে। যেহেতু আমি আগের দিন খুলনা একটু মার্কেট করতে গিয়েছিলাম তাই সেদিন রাতে আমি আর খুলনায় অপেক্ষায় না করে এই গ্রামের উদ্দেশ্যে আবার রওনা দিলাম। আসলে গ্রামের পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় রাত ন'টা বেজে গিয়েছিল।
আসলে এই রাত নটার সময় আমার মনে হচ্ছিল যে আমি গভীর রাতে গ্রামের ভিতর প্রবেশ করছি। কারণ গ্রামের মানুষেরা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে এবং সারাদিন কঠোর পরিশ্রমের পর তারা সন্ধ্যার সময় বাড়িতে এসে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। যাইহোক আমি সেদিন বাড়িতে এসে সামান্য একটু খাবার খেয়ে সেদিন রাতের মতো ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন সকালে আমি জ্যেঠুর বাড়ির পাশে যে কলাই শাকের ক্ষেত ছিল তার পাশে একটি ছোট ডোবা ছিল। আমি সেই ডোবার থেকে মাছ ধরার জন্য আমি সকাল সকাল একটা হাড়ি এবং একটা প্লেট নিয়ে সেই ক্ষেতের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আসলে সবাই আমাকে বারণ করেছিলে যে তুই পারবি না। তা আমি অন্যের কথায় কর্ণপাত না করে জোর জবরদস্তি সেই ছোট ডোবাটি সেচ দিতে চলে গেলাম। যাইহোক আমার সাথে এক ভাইও গেল। এরপর আমি যখন প্রথম অবস্থায় ডোবাটিতে নামলাম আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারণ প্রথম অবস্থায় উপরে এত আগাছা ছিল যে তা দেখে বোঝা যাচ্ছিল না যে এখানে এত বেশি জল থাকতে পারে। যাইহোক আমি নামার পর আমাদের সেই ভুল ভেঙ্গে গেল। কারণ আমাদের চিন্তা ভাবনার থেকেও অনেক বেশি জল রয়েছে সেখানে।
আসলে তখন আমি কি করবো বুঝে উঠতে না পেরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং হাত দিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরছিলাম। এরপর উপরের ভাইটি আমাকে বলল যে তুমি প্রথমে একটা বড় বাঁধ দিয়ে নাও। আমি তার কথামতো মাটি দিয়ে একপাশে বাঁধ তৈরি করতে শুরু করে দিলাম। এরপর বাঁধ তৈরি করা শেষ হয়ে গেলে আমি হাত দিয়ে একটা জায়গায় একটা বড় গর্ত করতে শুরু করে দিলাম। কারণ আমি যদি সেখানে গর্ত না করি তাহলে অন্য অন্য জায়গার জল সেখানেই থেকে যাবে।
আসলে এইটুকু কাজ করতে করতে আমার অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। কারণ এতো কাজ করার অভ্যাস আমার কখনোই ছিল না। তাইতো আমার সেই গ্রাম বাংলার কৃষকদের কথা আবারো মনে পড়ে গেল। যারা সারাদিনরাত রোদে পুড়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজে যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করে তাতে করে তাদের কষ্টের সামান্য অনুভূতি আমি একটু টের পাচ্ছিলাম। আসলে তাদের যতই কষ্ট হোক না কেন তাদের সেই মুখের মিষ্টি হাসি দেখলে যেন সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ভ্রমণের বেশ কয়েকটি পর্ব দেখতে পেরেছি। আজকে আপনি বাংলাদেশ ভ্রমণের আরেকটি নতুন পোস্ট শেয়ার করেছেন। বাংলাদেশের মধ্যে শহরের থেকে গ্ৰামের মানুষেরা একটু সহজ সরল হয়। আপনি আপনার জ্যেঠুর বাড়ির পাশের একটি ডোবা সেচ দিয়েছেন, তবে অনেকেই বাঁধা করেছিল, প্রত্যেকের বাধা উপেক্ষা করে আপনি আপনার কাজ চালিয়ে গেছেন। তবে এই কাজটি করতে একটু কষ্ট হয়ে পড়ছিল। আসলে মাঠে কাজ করতে হলে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
আপনি এক বছর আগে আমাদের দেশে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন। এরপর থেকে ভ্রমণ করার মুহূর্তে যে সমস্ত ফটো ধারণ করেছিলে তা প্রায় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন। আমি সব পোস্টগুলো লক্ষ্য করেছি। আজকে মাছ ধরা বিষয়ে পোস্ট করেছেন। বিশেষ বিশেষ স্থানেও ভ্রমণ করেছিলেন দেখেছি। যায় হোক আপনার এই পোস্টগুলো কিন্তু বেশ ভালো লাগে ভাই।
আপনি বাংলাদেশে ভ্রমণের একের পর এক পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন এবং একটির পর একটি পর্ব যখন দেখি তখন অনেকটাই ভালো লাগে৷ আজকে আপনি সেরকমই একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ এখানে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছুই আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন৷ আপনার জেঠুর বাড়ির পাশে ডোবায় সেচ দিয়েছেন এবং সেখানে মাছ ধরার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷