বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ২২
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ অন্যতম একটা আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তো বাংলাদেশের সময়টা আমাদের খুব ভালো কাটছিল। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলাম। নানা এক্সপেরিয়েন্স হচ্ছিল। এছাড়াও বাংলাদেশের অলিতে গলিতে যেসব ছোটখাটো দোকান রয়েছে সেসব দোকানের খাবার আমি টেস্ট করছিলাম। আসলে বাংলাদেশের এই অলিগলির খাবার আমার একটু বেশিই পছন্দ হয়েছে। তো এদিকে আমাদের ইন্ডিয়া যাওয়ার সময়ও চলে আসছে। তো ইন্ডিয়ায় আসার কিছু দিন আগে একটা প্ল্যান হলো যে, আমরা সবাই মিলে সিলেট ঘুরতে যাব।
যাইহোক ব্যাপারটা তেমন আমি পাত্তা দিইনি। কারণ আমাদের হাতে সময় খুবই কম। এই কম সময়ের ভিতরে সিলেট গিয়ে ঘুরে আসার এনার্জিও আমার ছিল না। যাইহোক হঠাৎ করে একদিন কাকি বলল, দুইদিন পর আমরা সিলেট যাব সবাই মিলে। এদিকে আমার হাতের টাকা পয়সা অনেকটা কমে এসেছে। যাইহোক কাকির রিকোয়েস্ট আমি বললাম, ঠিক আছে চলো তাহলে সিলেট থেকে ঘুরে আসা যাক।
আসলে সিলেট আমি এর আগে কখনো যাইনি। আর সিলেট নামটাও তেমন একটা শুনিনি। সিলেট শুধু ম্যাপেই দেখেছিলাম। কারণ আমাদের ভারতবর্ষের আসাম ত্রিপুরার পাশেই এই সিলেট অবস্থিত। যাইহোক মনে মনে প্রস্তুতি নিলাম সিলেট ভ্রমণের জন্য।
এদিকে তো আমার গিন্নি খুবই এক্সাইটেড। কারণ কোথাও ঘুরতে যাওয়ার নাম শুনলে কেউ খুশি না হোক সে সব থেকে বেশি খুশি হয়। কারন আমার গিন্নি ঘুরতে খুবই ভালোবাসে। যাইহোক আমরা কিছু কেনাকাটা করে নিলাম। সময়টা শীতের সময় তো। তাই ভারী কোন শীতের জামা বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়নি। যাইহোক গিন্নীকে নিয়ে মার্কেটে গেলাম তার জন্য একটা নতুন শীতের জামা কিনলাম।
আসলে বাংলাদেশের পোশাকের দাম ইন্ডিয়া থেকে মনে হয় একটু কম এবং কোয়ালিটিও অনেকটা ভালো। যাইহোক সস্তার ভিতর শীতের জামাটি পেয়ে গেলাম।
যাবার আগের দিন আমরা আমাদের ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। সময়টা তখন খুব শীতের। যাইহোক আমরা সবাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম। কারণ সারাটা পথ আমরা একটা ভাড়া গাড়িতে যাব। সিলেট ঘুরতে যাওয়ার সময় সর্বক্ষণ এই গাড়িটি আমাদের সাথে থাকবে। সকালে উঠে হাতমুখ ধুয়ে আমি রেডি হয়ে নিলাম। কিন্তু এদিকে আমার গিন্নির রেডি হতে অনেক সময় লেগে গেছে।
যাইহোক আমরা ঘুরতে যাব এজন্য আগের দিন কিছু শুকনো খাবার কিনে নিয়ে এসেছিলাম। কারন অনেক দূরে জার্নি করতে হবে আমাদের। প্রায় পৌঁছাতে পৌছাতে আমাদের রাত হয়ে যাবে।
তো সবকিছু গাড়িতে তুলে আমি গাড়ির সামনে বসলাম। আসলে তখন রাস্তা অনেক কুয়াশা ছিল। যেতে যেতে আমি যেহেতু গাড়ির সামনে ছিলাম তাই রাস্তার সামনের দৃশ্য আমি আমার ক্যামেরায় বন্দি করতে শুরু করলাম।
সামনে যতগুলো পোস্ট থাকে অর্থাৎ দূরত্ব লেখা থাকে যে সব ব্যানার গুলোতে সেই ব্যানাগুলো ছবিও আমি তুলতে শুরু করলাম। আমাদের অবশ্য ঢাকা দিয়েই সিলেট যেতে হবে। তাই আমি হিসাব করতে শুরু করলাম আর সামনে কতদূর আছে। মোটামুটি দূরত্ব হিসেব করে আমি সময়টা বের করতে শুরু করলাম।
তো কিছুক্ষণ পর আমরা গোপালগঞ্জ জেলা অতিক্রম করলাম। গোপালগঞ্জে জেলা অতিক্রম করতে প্রায় আমাদের এক ঘন্টা সময় লেগেছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 09/11/2022
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাংলাদেশ ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব আজ আপনি একের পর এক আমাদের মাঝে শেয়ার করে চলেছেন। আপনার এই ভ্রমণের প্রত্যেকটা পর্ব কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে বাইরের দেশ থেকে এসে বাংলাদেশের এত সুন্দর গুন আকৃতি এবং দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তা দেখে তো আমি মুগ্ধ। খুবই ভালো লাগে আপনার এই সুন্দর পোস্ট গুলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান। আশা করি পরবর্তীতে আরো অনেক কিছু করবেন।
আসলে মনে হয় বাংলাদেশে অনেক কিছু দেখার আছে। আর বাংলাদেশের কিছু কিছু দৃশ্য সত্যিই মুগ্ধকর।