বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ১১
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ ভ্রমণের একাদশ পর্ব শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তো দুদিন পর বিকালে জ্যেঠু আমাকে বলল, কাল আমাদের বড় ঘেরে মাছ ধরতে লোক আসবে। তাই সকাল সকাল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। কারণ কাল খুব ভোরে আমাদের ঘুম থেকে উঠতে হবে। বাইরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকায় সকাল সকাল মাছ ধরতে হবে।
আমরা সবাই রাতের খাবার তাড়াতাড়ি সেরে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন সকালে খুব ভোরে উঠে আমি হাতমুখ ধুয়ে বারান্দায় গিয়ে একটু বসলাম। জ্যেঠু কোথা থেকে একটা মাছ ধরার জাল ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। জ্যেঠু অনেক আগে ঘুম থেকে উঠে এই জাল আনতে গিয়েছিলেন।
তখন আমাকে জ্যেঠু বললেন, এই জালটা নিয়ে তুই ঘেরের পাড়ে চলে যা। জালটা কিন্তু ভারী ছিল। ঘাড়ে করে নিয়ে গিয়ে জালটা আমি ঘেরের এক পাড়ে রাখলাম। তার কয়েক মিনিট পর মাছ ধরার লোকেরা চলে আসলো।
আমি প্রথমে মোবাইল ফোনটিকে নিচে রেখে জলে নামলাম মাছ ধরার জন্য। কিন্তু আমার দ্বারা তো আর মাছ ধরা হলো না। একটু গায়ে কাঁদার জল মেখে আবার পুনরায় পাড়ে চলে আসলাম।
ওদিকে সবাই মাছ ধরার জন্য নিজেদের ড্রেস চেঞ্জ করছে। কিছুক্ষণ পর একজন মাটি দিয়ে পুকুরের পাড়টি অল্প মাটি দিয়ে বাঁধ দিতে লাগলেন। সবাই জালটি নিয়ে সুন্দর করে পুকুরের চারিদিকে ঘিরে আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগোতে লাগলেন। আমিও আমার মোবাইল ফোন দিয়ে সেই ছবি বন্দি করলাম।
কিছুক্ষণ পর যখন মাছ তোলা হচ্ছিল তখন মাছগুলো জালের ভিতর খুব লাফালাফি করছিল। তখন একজন আমাকে বললেন পুকুরের পাড় হতে একটা ড্রাম নিচে ছুঁড়ে ফেলতে। আমি ড্রামটি জোরে একদম পুকুরের মাঝে ছুঁড়ে ফেললাম।
এদের মধ্যে একজন পুকুরের ভিতরের ডালগুলো তুলে এক পাশে সাজিয়ে রাখছেন। কারণ জাল টানার সময় এই ডালগুলো যাতে জালে না পেঁচিয়ে যায়।
আমাদের এই মাছ ধরতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লেগে গেল। মাছ ধরার শেষ মুহূর্তে আমাকে একটা কাজে জ্যেঠু বাড়ি পাঠালেন। এর ফলে মাছ তোলার সময়টিতে আমি আর থাকতে পারলাম না।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 29/12/2022
আমি বাড়ি গিয়ে জামা প্যান্ট চেঞ্জ করে আবার পুনরায় চলে আসলাম। কারণ আমি আজ বাজারে পুনরায় এই মাছ বিক্রি করতে যাব। মনে মনে খুব মজা হচ্ছিল।
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। পোস্টের বাকি অংশ পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করবো। আর আজকের পোস্টি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
এমন একটা মুহূর্তের সাথে আমি সর্বদা জড়িত। তাই আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনার মাছ ধরার দৃশ্য এবং কাহিনী পড়ে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশি দারুণভাবে তোলা হয়েছে দেখলাম। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট।
মাছ ধরা বা ধরার সময় যে মুহূর্তগুলো সৃষ্টি হয় সেই সময়টা অনেক বেশি উপভোগ্য। এই তো কিছুদিন আগেই আমাদের বাড়ির সামনে পুকুরটাতে মাছ ধরা হয়েছিল। সেদিন অনেক বেশি মাছ উঠেছিল। আপনি আপনার জেঠুসহ মাছ ধরতে গিয়েছেন এবং পরবর্তীতে মাছগুলো বাজারে বিক্রি করতে গিয়েছেন। যাই হোক ব্যাপারটা খুব ভালো লাগলো। বাংলাদেশে এসে অনেক মজাই করলেন তাহলে।
আপনি তো বাংলাদেশে এসে খুব মজাই করতেছেন। তবে মাছ ধরার সাথে থাকলে অনেক মজাই লাগে। তবে আমাদের এদিকে যারা মাছ ধরে তারা জাল নিয়ে আসে। আপনাদের মাছ ধরতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা লাগলো। মনে হয় অনেক বড় জায়গার মধ্যে মাছ চাষ করা হলো। মাছ তোলার সময় জেঠু একটি কাজ দেওয়ার কারণে বাড়িতে আসলেন। এই কারণে মাছ তোলার ফটোগ্রাফি আমাদের কাজ মাঝে শেয়ার করতে পারেন নাই। সত্যি আপনার মাছ ধরার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো বাংলাদেশে এসে খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করতেছেন। তবে মাছ ধরার মজাই আলাদা। যাইহোক আপনি আপনার জেঠুর সাথে জাল নিয়ে মাছ ধরতে গেলেন। যদিও মাছ অন্য লোক এসে ধরেছে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক বড় জায়গার মধ্যে মাস চাষ করেছে। তবে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে যখন জালগুলো ছোট করে তখন মাছগুলো অনেক লাফালাফি করে। অনেক সুন্দর করে মাছ ধরার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ ভ্রমণের এগারোতম পর্বে ঘেরে জাল দিয়ে মাছ ধরার ধারুন অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। নিজেদের ঘের বা পুকুর থেকে মাছ ধরা আবার সেই মাছ বাজারে বিক্রয় করার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া।