শিক্ষা।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ প্রাকৃতিক শিক্ষা সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমরা সবাই জানি যে, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। পৃথিবীর যেসব দেশ শিক্ষা ক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে সেসব দেশই সবথেকে উন্নত দেশ। এই পৃথিবীতে ভালো কিছু অর্জনের জন্য অবশ্যই আমাদের জ্ঞানী হতে হবে। আর এই জ্ঞান পাওয়ার একমাত্র পথ হল সুষ্ঠু শিক্ষা। সুস্থ শিক্ষায় একটা দেশ অথবা জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।
আসলে কথায় আছে না, শিক্ষার কোন বয়স নেই। মানুষ তার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই পৃথিবী থেকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করে। মানুষেরে জ্ঞান অর্জনের কোনো সময় সীমা নেই। মানুষ যে কোন সময় যে কোন মুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পেয়ে থাকে এই পৃথিবীর বিভিন্ন বস্তু, ব্যক্তি থেকে। আসলে মানুষের আচার-আচরনে বোঝা যায় তার শিক্ষা কতটুকু আছে। কারণ শিক্ষাই মানুষের আচরণকে বিনয়ী নম্র করে।
একটা শিক্ষিত জাতিকে আপনি সহজে ভালবাসতে পারবেন। শিক্ষিত ব্যক্তি সবসময় ভালোবাসার পাত্র হয়। আর একটা শিক্ষিত জাতির নির্মাণের প্রধান অবদান হলো তার মা। কারণ বিশিষ্ট গুণীজন বলেছিলেন যে, আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাকে একটি শিক্ষিত জাতি দেব।
আমরা সবাই জানি যে সুষ্ঠু শিক্ষা একটা সুন্দর ভবিষ্যতের মূল ভিত্ত। অর্থাৎ একটি শিক্ষিত জাতি ভবিষ্যতের সম্পদ। যে জাতি যত শিক্ষিত তারা সব দিক থেকে তত এগিয়ে। তাইতো দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম শিক্ষা সবার মাঝে উন্মুক্ত করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে যেসব দেশ সব থেকে বেশি উন্নয়নমূলক কাজ করে সে সব দেশ সারা বিশ্বের মধ্যে ততো সামনের দিকে এগিয়ে থাকে।
আসলে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো একটা শূন্য মস্তিষ্কে একটা উন্মুক্ত মস্তিষ্ক দ্বারা প্রতিস্থাপন করা। আমরা সবাই নিম গাছ চিনি। এই নিম গাছের শিকড় অথবা ডালপালা তেতো হলেও কিন্তু এর ফল মিষ্টি। তাই শিক্ষার মূল তেতো হলেও শিক্ষার ফল কিন্তু মিষ্টি। তাই তো জীবনকে সুন্দর করতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আসলে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কিন্তু জ্ঞান নয়। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো বাস্তবিক কাজ।
শিক্ষা একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। মানুষ জন্মগ্রহণ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। একটি দেশ, একটি জাতির অগ্রগতি মূল চালিকাশক্তি হলো শিক্ষা। এই বিবেচনায় বলা হয় শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। অর্থাৎ একজন মানুষ মেরুদন্ড ছাড়া যেমন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তেমনি শিক্ষা ছাড়া একটি জাতির ভিত্তিমূল, অগ্রগতি, উন্নয়ন কোন কিছুই অগ্রসর হতে পারে না। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত, অগ্রসর এবং সভ্য।
শিক্ষা মানুষের জন্মগত মৌলিক অধিকার। আমাদের দেশে যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার রয়েছে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সর্বজনীন, অপরিহার্য এবং ব্যাপক। আলো যেমন আমাদের চারদিকের অন্ধকারকে দূর করে। তেমনি শিক্ষা আমাদের মনের অন্ধকারকে দূর করে। একজন শিক্ষিত ব্যক্তি তার জাতিকে সামনের দিকে সবসময় এগিয়ে নিয়ে যায়।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা খুবই কম। বর্তমানকালে সরকার তার জনসাধারণের জন্য শিক্ষা ফ্রি করে দিলেও জনগণ সেই শিক্ষা গ্রহণ করছে না। আর এই শিক্ষার অভাবে দেশের জনসংখ্যা দিন দিন দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে অরাজগতার সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ শিক্ষার অভাবে মানুষের ভিতরে নৈতিকতাবোধ কখনোই সৃষ্টি হতে পারে না।
আসলে শিক্ষা প্রকৃত মানুষের জন্ম দেয়। আর একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি কখনোই সমাজের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। অশিক্ষিত লোক বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এছাড়াও অশিক্ষিত লোকের ফলে দেশ দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। তাই দেশকে উন্নতির চরম শিকরে পৌঁছে দেয়ার জন্য সবাইকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে। কারণ শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
এছাড়াও বর্তমান সময়ে চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতির ফলে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছে না। আর এই যোগ্য প্রার্থী চাকরি না পাবার ফলে দেশের বিভিন্ন ক্ষতি সাধন হচ্ছে। চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতির ফলে এসব শিক্ষিত ব্যক্তিরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাচ্ছে না। আর এর ফলে দেশ ধ্বংসের দিকে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং পৃথিবীকে এক সুন্দর শিক্ষিত সমাজে পরিণত করতে হবে।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
সত্যি ভাইয়া দুর্নীতির কারণে যোগ্য ব্যক্তিরা চাকরি পাচ্ছে না। আর সেই আসনগুলো দখল করে নিচ্ছে আবারও কোন দুর্নীতিবাজ অযোগ্য লোকজন। যাইহোক ভাইয়া আসলে শিক্ষার কোন শেষ নেই। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। দারুন লিখেছেন আপনি।
শিক্ষা হলো জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষার কোন বয়স নেই। ছোট বড় সবাই শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। স্কুলে গেলে যে শিক্ষা লাভ করা যায় এটা বড় কথা নয়। সমাজে প্রত্যেকটা জায়গায় শিক্ষনীয় জিনিস রয়েছে। অনেক মানুষ লেখাপড়া করলেই যে শিক্ষিত হয় এটাও কথা নয়। বড় কথা হলো স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। পাঠ্য বইয়ের শিক্ষার থেকে বাস্তব জীবনের শিক্ষাটাই হলো বড় শিক্ষা। আপনি শিক্ষা নিয়ে দারুন কিছু লিখেছেন ভাই আপনার লেখাটা পড়ে খুবই ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।