এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পর্ব -৫৯
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আবারও আমার তোলা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা।
তো যেহেতু আমি আগেই বলেছি যে আমি এই বক পাখির অনেকগুলো ফটোগ্রাফি পরপর কয়েকটি পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে শুধুমাত্র এক জায়গায় একটা দুটো বক পাখি থাকে না। যেখানে বক পাখি বিচরণ করে সেখানে একসাথে প্রায় কুড়ি থেকে ত্রিশটা বক পাখি একসাথে দেখা যায়। কারণ বক পাখিরা একসাথে দলবদ্ধ ভাবে থাকতে অনেক বেশি পছন্দ করে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা।
আমি ওদের শিকার করার পদ্ধতি এক জায়গায় চুপচাপ বসে সুনিপুণভাবে দেখছিলাম। একটা বক প্রথম অবস্থায় জলের উপর অনেকক্ষণ এক জায়গায় স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে এবং মাঝে মাঝে খুব আস্তে তারা সামনের দিকে পা ফেলে অগ্রসর হয়। আবার তো কোন কোন সময় তারা এক পা জলের নিচে আর আরেক পা জলের উপরে তুলে রাখে। এভাবে তারা আস্তে আস্তে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা।
আসলে কিছুক্ষণ পর আমি বুঝতে পারলাম যে বকের চোখ খুব তীক্ষ্ণ। কারণ এরা এত জলের নিচ থেকে স্পষ্টভাবে তার শিকারকে দেখতে পায়। যদিও একই জায়গায় অনেকগুলো পাখি নেমেছিল তাই খুব একটা শিকার তারা হয়তোবা পাচ্ছিল না। কোন কোন পাখি অনেক সময় পর একটা শিকার পাচ্ছিল। আবার কোন কোন পাখি মোটেও কোন শিকার পাচ্ছিল না।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা।
আসলে একদিক থেকে বক পাখির ধৈর্য দেখে সত্যিই আমার অবাক লাগছিল। কারণ তারা শিকার না পেয়েও এক জায়গায় চুপচাপ স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করছিল শিকার খোঁজার জন্য। যাইহোক মাঝে মাঝে তারা তাদের সুতীক্ষ্ণ ঠোঁট দিয়ে দু একটা মাছ শিকার করছিল। যদিও এখন গ্রামাঞ্চলের বিলগুলোতে মাছের পরিমাণ তুলনামূলক হারে অনেক বেশি কমে গেছে আগের তুলনায়।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা।
এরপর কয়েকটা পাখি আমাকে দেখে অথবা আমার উপস্থিতি টের পেয়ে তারা একটু দূরে উড়ে গিয়ে একটা গাছের ডালে বসে থাকলো। আর বাকি পাখিগুলো হয়তোবা তারা আমার উপস্থিতি টের পেল না। তাই তারা মনের আনন্দে শিকার চালিয়ে যাচ্ছিল। যাইহোক কিছু পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে হয়তোবা এইসব পাখিরা একটু বেশি শিকার করতে পারছিল। আসলে উপরের ঘোলাটে মেঘ এবং নিচের এই ঘোলাটে মেঘের ছায়ায় জল যেন কালো কুচকুচে মনে হচ্ছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা।
আর এই কালো কুচকুচে জলের উপরে সাদা বক দেখে মনে হচ্ছিল রাতের আকাশের চাঁদ যেন মাটিতে নেমে এসেছে। আসলে এই বকের সাদা রংয়ের জন্যই এই সাদা বককে আমার এতটা বেশি পছন্দ হয়। যদিও বর্তমান সময়ে পাখির শিকার অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু কিছু কিছু পাখি শিকারী এখনো সমাজে রয়ে গেছে। আর তাদেরকে আইনের কাছে নিয়ে আসা আমাদের অবশ্যই দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা।
এছাড়াও তখন চারিদিকে আকাশটা অনেক মেঘলা হয়ে এসেছিল। তাই আমার মনে মনে ভয় হচ্ছিল যে হঠাৎ করে যদি বৃষ্টি নেমে যায় তাহলে হয়তোবা এই বৃষ্টির মাঝে আমি ক্যামেরা নিয়ে হাবুডুবু খাব। যাইহোক আমি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও এই সুন্দর দৃশ্য থেকে আমি নিজেকে বঞ্চিত রাখতে পারলাম না। তাই আমি আমার ছবি তোলার কাজটি চালিয়ে যেতে শুরু করলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Canon
ক্যামেরা মডেল : Canon EOS 7D
ক্যামেরা লেংথ : 600 mm
লোকেশন : নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা।
আসলে অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকতে থাকতে আমার প্রায় কোমর ব্যথা হয়ে এসেছিল। যদিও আমি নাড়াচাড়া করলে পাখিগুলো উড়ে যেতে পারে তাই আমার শত কষ্ট হওয়ার সত্বেও আমি এক জায়গায় বসে রইলাম এবং আস্তে আস্তে মাঝে মাঝে যখন আমি একটু নড়াচাড়া করছিলাম তখন হয়তোবা পাখিগুলো একটা জায়গায় স্থির হয়ে যাচ্ছিল। কারণ তারা হয়তোবা আমার উপস্থিতি সামান্য একটু বুঝতে পারছিল।
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বকের এরকম দৃশ্য আমাদের এলাকাতে মাঝে মাঝে দেখা যায় যখন নদীতে পানি আসে তখন এরকম ভাবেই মাছ ধরে খায় বক। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি, চমৎকারভাবে ক্যাপচার করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রকৃতির মাঝে পাখি উড়াউড়ি করলে দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি প্রতিটা ফটোগ্রাফি সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছেন। আসলে এই সময় নদীতে পানি কম থাকায় আমাদের দিকে অনেক বক পাখির দেখা মিলে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার গত পোস্টে বক পাখির ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। আজকেও অনেকগুলো পাখির ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলেই ভাই আপনার ফটোগ্রাফি থেকে বোঝা যাচ্ছে আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। প্রতিটা ছবির ফ্রেম বেশ ভালোভাবে ক্যাপচার করেছেন। আপনি পাখির মোমেন্ট সুন্দরভাবে ক্যাপচার করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আজকে আপনার বক পাখির ফটো গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। কিভাবে শিকার করছে এই দৃশ্যগুলো দেখতে পেলাম। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন,দেখে খু্বি ভালো লেগেছে আমার।
আমি এই বক পাখি নিয়ে যখন চিন্তা করি । তারা একটি মাছ শিকারের জন্য একটি স্থানে এমনভাবে স্থির ভাবে লক্ষ্য করে তাকিয়ে থাকে। সত্যি তার মধ্যে আল্লাহতালা কি ধৈর্য দিয়েছে আপনি সেটা ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরলেন। অনেক ভালো লাগলো এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো উপভোগ করতে ভালই লাগে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যেহেতু আপনি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার তাই আপনার ফটোগ্রাফি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আগেও আপনার অনেক ফটোগ্রাফি দেখা হয়েছে। আজকে এই বক পাখির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলেই তাই এই পাখিগুলোর ধৈর্য অনেক বেশি। শিকারের আশায় তারা এক জায়গায় স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
সাদা বক পাখির চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সাদা বক পাখি মাছ শিকারে অত্যন্ত কৌশলী এবং চতুর। যাহোক সাদা বক পাখির ফটোগ্রাফির সাথে সাথে সুন্দর বর্ণনাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে জাস্ট অসাধারন লাগতেছে দাদা। আপনার ফটোগ্রাফি আমার কাছে বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। এধরনের ফটোগ্রাফি গুলো করতে অনেক কষ্ট এবং ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। এক জায়গায় বসে থেকে অনেক কষ্ট করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের কে উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।